আহ! কী দারুন ছিল সেই গোলাপী সাইকেল! : বিজরী বরকতুল্লাহ

আনন্দ আলো: জন্মদিন নিয়ে এবারের পরিকল্পনা কী?

বিজরী বরকতুল্লাহ: জন্মদিন নিয়ে আমি কখনোই কোন পরিকল্পনা করিনা।  আমার আশে পাশে যারা থাকে তারাই সব পরিকল্পনা করে।  বড় করে জন্মদিনের অনুষ্ঠানও কখনো করিনি।  ছোটবেলা থেকেই এটা হয়ে এসেছে।  ঠিক জন্মদিনের ঐ সময়টাতেই আমার বার্ষিক পরীক্ষা চলতো।  তাই পরিবার থেকেও অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা করা হতো না।  আর এখন নিজের জন্মদিনটা একেবারে নিজের মত করেই পালন করতে মন চায়। অনেক মানুষ দাওয়াত দিয়ে সারাদিন ধরে রান্নাঘরে রান্নার আয়োজন করে জন্মদিনটাকে মাটি করতে ইচ্ছে করেনা। বড় হয়েছে।  ওর তো মাকে নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা থাকে?

বিজরী বরকতুল্লাহ: হ্যাঁ তার তো অনেক পরিকল্পনা থাকে।  তবে উর্বানা যখন ছোট ছিল তখন ফিসফিস করে জন্মদিন বিষয়ক পরিকল্পনা বাসার অন্য সবার সাথে শেয়ার করত।  এমনভাবে কথা বলত যেন আমি না শুনতে পাই।  আমিও ভান করতাম যেন কিছুই বুঝতে পারছি না।  এটা অনেক মজার ছিল।

আনন্দ আলো: জন্মদিনের সবচেয়ে মজার বিষয় কোনটি?

বিজরী বরকতুল্লাহ: আমি জানি রাত ১২টার সময় আমাকে কেক কাটতে হবে।  বাড়ির সবাই সেই আয়োজন করেই রেখেছে।  কিন্তু সবাই এমন ভান করবে যেন তারা কেউ কিছু জানে না।  সবার খেয়ে দেয়ে তো আর কাজ নেই আমার জন্মদিনের হিসেব রাখতে হবে।  তবে সেই রাতে সবারই আগে আগে ঘুম পেয়ে যায়।  বিছানায় যাওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করে।  আমিও সব বুঝে না বোঝার অভিনয় করি।  রাত ১১.৩০ থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত এই অভিনয় পর্ব চলতে থাকে।  আমি এই অভিনয়ের বিষয়টিকেই সবচেয়ে বেশি উপভোগ করি।

আনন্দ আলো: জন্মদিন নিয়ে মজার স্মৃতি?

বিজরী বরকতুল্লাহ: তখন ক্লাস থ্রিতে পড়তাম।  অনেক শখ ছিল একটি বাইসাইকেলের।  আব্বাকে সেটা জানালে তিনি বললেন ভালো রেজাল্ট কর তবেই কিনে দেব।  আমিতো তুমুল পড়ালেখা করলাম।  পরীক্ষার ভেতরেই আমার জন্মদিন।  পরীক্ষা দিয়ে এসে দেখি আব্বা আমার জন্য একটি গোলাপি সাইকেল কিনে এনেছেন।  এখন পর্যন্ত জীবনের শ্রেষ্টতম উপহার আমার সেটাই।  এখন কেউ জাহাজ কিনে দিলেও ঐ খুশি এনে দিতে পারবে না।

আনন্দ আলো: জন্মদিন নিয়ে দুঃখের স্মৃতি?

বিজরী বরকতুল্লাহ: গত বছরের জন্মদিনে আমার স্বামী আমাকে খুব দামী একটি মোবাইল ফোন উপহার দিয়েছিলেন।  ঠিক দুই দিনের মাথায় আমি ফোনটি হারিয়ে ফেলি।

  • সাক্ষাৎকার
Comments (০)
Add Comment