থিয়েটারকে ইমার্জেন্সি না ভাবলে কাজের কাজ কিছুই হবে না- মামুনুর রশীদ

বিটিভির একটি ধারাবাহিক নাটকের শ্যুটিং এ ব্যস্ত ছিলেন মামুনর রশীদ। মাত্র কয়েক দিন আগে তাঁর জন্মদিন পালিত হয়েছে। ২৯ ফেব্রুয়ারি জন্মেছেন বলে ৪ বছর পর পর তাঁর জন্মদিন পালিত হয়। এবার জন্মদিনের অনুষ্ঠান উপলক্ষে সেগুনবাগিচায় শিল্পকলা একাডেমীতে ৬ দিন ব্যাপি এক নাট্য উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। উৎসবে মামুনুর রশীদ নির্দেশিত ও অভিনীত কয়েকটি নাটক মঞ্চস্থ হয়। সঙ্গত কারনেই অনেক ব্যস্ত সময় পার করতে হয়েছে তাঁকে। জন্মদিনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ। নাটকের মানুষ আবার নাটকেই জড়িয়ে পড়েছেন। ফোন করতেই বললেন, বিটিভিতে আছি। চলে আসো। শুটিং এর ফাঁকে বিটিভির গেস্ট রুমে বসে অভিনয় জীবনের অনেক কথাই বললেন। তারই চুম্বক অংশ আনন্দ আলোর পাঠকদের জন্য।
সম্পাদক
আনন্দ আলো: আপনার জন্মদিন মানেই একটা চমক থাকে। এইবারের জন্মদিন নিয়ে কিছু বলুন।
মামুনুর রশীদ: এইবারের জন্মদিনের একটা পটভূমি আছে। আমাদের নাটকের দল আরন্যক একটা সিদ্ধান্ত নিল যে, নাট্য উৎসব করবে। যেখানে আমার পুরনো নাটক মঞ্চস্থ হবে। তবে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমার জন্মদিন পালন হোক বা না হোক, উৎসব হোক বা না হোক এই জন্মদিন উপলক্ষে মঞ্চে একটা নতুন নাটক উপহার দিব। এবং সেটা আমি করেছি। আরেকটি সিদ্ধান্ত ছিল যে, এই নাটকে যারা অভিনয় করবে তারা সকলেই হবে তরুণ নাট্যকর্মী। আমাদের সাথে যারা ১০/১৫ বছর হলো যুক্ত হয়েছে তারাই হবে এই নাটকের অভিনেতা-অভিনেত্রী এবং এই সিদ্ধান্তটাও আমি বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। ইতিমধ্যেই ‘কহে ফেসবকু’ নামে এই নাটকটির দুটি শো হয়েছে। সামনে আরও শো হবে। নাটকটি নিয়ে আমি খুবই উৎফুল্ল! ৬ দিনের একটা নাট্য আয়োজন ছিল। এতো মানুষ যে আমাকে ভালোবাসে এই আয়োজনটি না করলে হয়তো বোঝা যেত না। আমি সত্যি অভিভূত! আমার জন্মদিনের জন্য যে এতো লোক অপেক্ষা করে এটা আমি জানতাম না। এটা আমার কাছে একটা নতুন অনুভূতির সৃষ্টি করেছে। অন্যান্যবারে জন্মদিন পালন হতো একদিন। এবার ৬দিন ধরে জন্মদিন পালন হয়েছে। ৬ দিনের জনস্রোত, বন্ধু-বান্ধবদের আগমন সব কিছু মিলিয়ে বেশ ভালই লেগেছে!
আনন্দ আলো: অনেকে বলেন মঞ্চে দর্শক আসে না। অথচ আপনার জন্মদিনের এই নাট্য আয়োজনে প্রতিদিন অসংখ্য দর্শক এসেছেন। তাহলে কি আমরা না বুঝেই অভিযোগটা তুলি? সমস্যাটা কোথায়?
মামুনুর রশীদ: সমস্যা হলো ভালো নাটকের অভাব। আরেকটা সমস্যা হলো অব-কাঠামোগত ত্রুটি। যেমন ধরো শিল্পকলা একাডেমির ৩টি হলেই অনেক জিনিস কমে গেছে। লাইট নাই। সাউন্ড সিস্টেম ভালো নয়। বাইরে থেকে লাইট ভাড়া করে আনতে হয়। অনেক কষ্ট করে নাটক করতে হয়। সাউন্ড এর অবস্থা খুবই খারাপ! যদি ভালো ভাবে শব্দ শুনতে না পায় তাহলে নাটকের গল্পের সাথে কমিউনিকেট করবে কি ভাবে? মঞ্চ নাটকের অন্যতম শক্তি হলো আলো। আলোর খেলায় একটি মঞ্চ নাটক অসাধারন হয়ে উঠতে পারে। স্বল্প আলোতে তুমি কিছুক্ষনের জন্য বসে থাকতে পারবে, লিখতেও পারবে। কিন্তু এক সময় হাঁপিয়ে উঠবে। স্বল্প আলোয় তোমার কিছুই ভালো লাগবে না। আমাদের সেরিব্রেরাল সিস্টেমের মধ্যে একটা জিনিস আছে। যাকে বলা হয় ‘আইফেটিক’। চোখ যখন স্বল্প আলোতে কিছু দেখে, কিছুক্ষণ পর চোখ ক্লান্ত হয়ে যায়। তখন আর দেখতে চায় না। ভালো লাগে না। আমাদের মঞ্চে আলোর স্বল্পতা প্রকট। বাইরে থেকে ‘আলো’ ভাড়া করে আনতে হয়। শুধু তো আলো নয়, হল ভাড়া, পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ছাপানো, সেট আনার জন্য ঠেলাগাড়ি ভাড়া, মেকআপ ম্যানের বিল সহ নানা খাতের টাকা যোগান দিয়ে মঞ্চে নাটক করে যাওয়া সত্যি কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটা একটা বড় সমস্যা। আরও একটি সমস্যা হলো, ভালো নাটকের অভাব। নাটকটি তো ভালো হতে হবে। যে নাটক মঞ্চে আনব সে নাটকে যাতে একটি বক্তব্য থাকে। দর্শক যাতে নাটকটি দেখে আনন্দ পায় সে কথাও ভাবতে হবে। নাটক দেখে যেন দর্শকের মাঝে একটা বোধের সৃষ্টি হয় সে কথাও ভাবা জরুরি। কোনো নাটক যদি দর্শকের মাঝে ভাবনার উদ্রেকই সৃষ্টি না করলো তাহলে তো কাজের কাজ কিছুই হবে না।
আনন্দ আলো: একথাতো সত্য আপনি যখন মঞ্চে কাজ করতে শুরু করেন তখনকার দিনের অনেকেই আজ আর মঞ্চের সাথে যুক্ত নাই। আপনি ঠিকই যুক্ত আছেন এবং আপনার দলের নাট্যকর্মীরাই মূলত আমাদের নাটক, সিনেমায় গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এটা কি ভাবে সম্ভব হলো?

মামুনুর রশীদ: এর পেছনে একটাই কারণ আছে, তাহলো ভালোবাসা! আমি শুরু থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, আজীবন নাটক করবো। মঞ্চ নাটকেই জড়িত থাকব। অন্য কোথাও যাব না। ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরি আমাকে কখনই টানেনি। আমার একটাই কাজ হবে নাটক করা। আমার সাথে যারা থাকে তারাও এটা বোঝে। যে কারণে শত ব্যস্ততা সত্বেও আমার দলের যারা ‘স্টার’ অর্থাৎ তারকা তারাও মঞ্চে নাটক করছে। যখনই রিহার্সেলের জন্য ডাকছি তারা এসে রিহার্সেলে আসে। যারা টিভিতে নাটকে অভিনয় করে তারাতো দিন হিসেবেও অনেক টাকা পায়। কাজেই সেই টাকার মোহ ত্যাগ করে তারা থিয়েটারের প্রতি ভালোবাসা দেখায়। আমি অভিভূত হয়ে যাই। সত্যি কথা বলতে কী আরন্যকে এখন কর্মীর অভাব নাই। কর্মী বেশী হয়ে গেছে। কর্মী বেশী হলেও কিন্তু একটা সমস্যার সৃষ্টি হয়। কর্মীরা যদি কাজ না পায় তাহলে তারা হতাশ হয়ে যায়। তারা হয়তো অন্য কাজে যুক্ত হয়ে পড়ে। এটা একটা সমস্যা… তবে আরন্যকের কর্মীরা খুবই কমিটেড। তারা সব কিছু বোঝে বলেই আমার কথা শোনে। একটা জরুরি কথা বলি। নাটক আমার কাছে ইমার্জেন্সি বিষয়। তুমি যতদিন পর্যন্ত নাটককে ইমার্জেন্সি ভাবতে পারবে ততদিন সঠিক দায়িত্ব পালন করতে পারবে। তাই আমার কাছে, আমার দলের সকল সদস্যের কাছে মঞ্চ নাটক আসলে একটি ইমর্জেন্সী বিষয়। সোসাইটিকে বাঁচাতে হলে নাটককে বাঁচাতে হবে। একজন ইমার্জেন্সী রোগীকে যেভাবে ট্রিটমেন্ট দিতে হয়, নার্সিং করতে হয়। নাটককেও সেভাবে ট্রিটমেন্ট দিতে হবে। নার্সিং করতে হবে।
আনন্দ আলো: টেলিভিশন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক সময় মঞ্চের প্রতিদ্বন্দ্বি হতে পারে এই ভাবনাটাকে কি আমরা কখনই গুরুত্ব দিয়েছি? এব্যাপারে ভেবেছি?
মামুনুর রশীদ: হ্যা, আমি ভেবেছিলাম। আমার মতো হয়তো অনেকেই ভেবেছেন। একটা কথা মনে রাখতে হবে। সোসাইটি পরিবর্তনশীল। পরিবর্তনের হাওয়া কিন্তু ৮০’র দশকেই লেগেছিল। আমরা বুঝতে পারছিলাম যে, আমাদের মধ্যে যারা ভালো ভালো অভিনেতা, অভিনেত্রী তারা অন্য জায়গায়ও ব্যস্ত হয়ে যাচ্ছেন। এটাই স্বাভাবিক। কারণ একজন অভিনেতা সারা মাস হয়তো দুইটা, তিনটা নাটকে অভিনয় করবে। বাকিটা সময় কী সে বসে থাকবে? তাকে অন্য জায়গায় কাজ করতে হবে। ১৯৯৪ সালে আমাদের দেশে যখন বেসরকারী খাতে টেলিভিশন চলে এলো, অনেক গুলো টেলিভিশন স্টেশন হয়ে গেল। অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রী কাজ পেয়ে গেল। সার্বক্ষনিক কাজ। এবং এই সার্বক্ষনিক কাজ পাওয়ার একটা হাওয়া কিন্তু এসে পড়লো আমাদের মঞ্চ নাটকে। ফলে মঞ্চে এক ধরনের শূন্যতা তৈরি হতে থাকলো। এই শূন্যতাকে ভরাট করার চেষ্টা করেছে সবাই। নতুন অভিনেতা অভিনেত্রী আনার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু সমস্যাটা হলোÑ যারা এখন এই অভিনয় শিল্পে এসেছে, অথবা নাটকে এসেছে তাদের অনেকের ক্ষেত্রে নাটকের প্রতি ৮০’র দশকের মতো কমিটমেন্ট নাই। যার ফলে তারা কিন্তু মঞ্চ নাটকে ঠিক মতো প্রভাব ফেলতে পারছে না।
আনন্দ আলো: এই যে আপনি বললেন, ওরা সে ভাবে কমিটেড নয়। সেটা কি ওদের দোষ?
মামুনুর রশীদ: কিছুটা… কিছুটা ওদের দোষ। কারণ ওরা অনেকেই একটু শর্টকাট খোঁজে… শর্টকাট পথে থিয়েটার করা যায় না। থিয়েটারের পথটাতো শর্ট কার্ট না। ফিল্মে রাতারাতি একজন হিরো হয়ে যেতে পারে। মিডিয়াতেও সেটা সম্ভব। কিন্তু থিয়েটারে সেটা সম্ভব নয়। থিয়েটার আজীবনের কাজ। থিয়েটারে যারা কাজ করবে তাদেরকে কমিটেড হতে হয়। কারণ থিয়েটার থেকে আমরা কোনো টাকা পাই না। সে কারণে থিয়েটারকে পেশা ভিত্তিক চর্চায় রূপ দেয়া সম্ভব হয়নি। যদিও এক্ষেত্রে রাষ্ট্রের একটা বড় দায়িত্ব রয়েছে। কারণ রাষ্ট্রদায়িত্ব পালন না করা পর্যন্ত সার্বক্ষনিক থিয়েটার কর্মী তৈরি হবে না।
আনন্দ আলো: রাষ্ট্র কিভাবে দায়িত্ব পালন করবে?
মামুনুর রশীদ: রাষ্ট্র অর্থ দিবে এবং থিয়েটারের অবকাঠামো নির্মাণ করবে। যেমন ধরো ঢাকা শহরের উত্তরা থেকে যদি একজন দর্শক শিল্পকলা একাডেমিতে নাটক দেখতে আসে তাকে কি পরিমান যন্ত্রনা সহ্য করতে হয় ভাবো একবার। আসতে ২ ঘণ্টা, নাটক দেখা ২ ঘণ্টা, ফিরে যেতে ২ ঘণ্টা। তার দিনের ৬ ঘণ্টা সময় শেষ। উপরুন্তু কিছু টাকাও খরচ হবে তার। এই যে ৬ ঘণ্টা সময় দেয়ার লোক কোথায়? কে নাটক দেখার জন্য ৬ ঘণ্টা সময় দিবে? কাজেই উত্তরায় একটা মঞ্চ থাকা দরকার। গুলশান এবং বনানী, বাংলাদেশের সবচেয়ে সমৃদ্ধ এলাকা। অথচ ওই এলাকায় একটা মঞ্চ নাই। সিনেমা হলও নাই। বইপড়ার লাইব্রেরীও নাই। কিন্তু হরেক রকমের খাবারের দোকান আছে। প্রসাধনীর দোকানও রয়েছে অনেক। এই এলাকার লোক গুলো কি শুধুই খাবে আর সাজগোজ করবে? তাদের বিনোদনের দরকার নাই? মীরপুর এত বড় একটা এলাকা। সেখানে কোনো থিয়েটার হল নাই? ধানমন্ডি, যেটা একটা সমৃদ্ধ লোকালয়। সেখানেও একটা থিয়েটার হল নাই। এই কাজটা কে করবে? সরকারকেই করতে হবে। অবকাঠামোটা সরকারকেই নির্মাণ করতে হবে। পাশাপাশি শুধু ঢাকায় নয় সারাদেশে যে নাটকের দল গুলো অ্যাকটিভ আছে এমন ১০০/১৫০ নাট্যদলকে সরকার ফাইন্যান্স করতে পারে। ভারতে যেমন আছে, স্যালারি গ্রান্ড… আমাদের এখানেও এই ব্যবস্থা চালু করা যেতে পারে। থিয়েটারের কাজটা কিন্তু সার্বক্ষনিক। এটা খন্ডকালীন কাজ নয়। কাজেই থিয়েটারে সার্বক্ষনিক দায়িত্ব পালন না করলে কাজের কাজ কিছুই হবে না। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতা জরুরি। ইংল্যান্ডে রয়্যাল সেক্সপীয়র কোম্পানী ২২ বার দেউলিয়া হয়েছিল। তবুও সরকার এই প্রতিষ্ঠানটির পাশে ছিল। কেন ছিল? ছিল এই জন্য যে থিয়েটার সমাজের একটা ভারসাম্য রক্ষা করে। এটা হল এক নম্বর কারণ। দুই নম্বর কারণ হলোÑ ট্যুরিজম। আমরা যদি ঢাকাকে থিয়েটারের একটা কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তুলতে পারতাম, লাইক ইংল্যান্ড, লাইক লন্ডন, লাইক নিউইয়র্ক…. তাহলে কিন্তু প্রচুর ট্যুরিস্ট বাংলাদেশে আসতো। কোলকাতা এই পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছে। কোলকাতার থিয়েটার ট্যুরিজমকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ওদের নন্দনে প্রচুর বিদেশীরা যায়। শুধু নাটক নয় সিনেমা দেখতেও যায় তারা। আমাদের রাষ্ট্র কী এতই দরিদ্র যে একটা সিনেমা হলও চালাতে পারে না?
আনন্দ আলো: অনেকে ভালো পাণ্ডুলিপির অভাবকেও মঞ্চ সংকটের জন্য দায়ী করছেন? অধিকাংশ দর্শক মঞ্চে নাটক দেখতে এসেগল্প খোঁজে। কিন্তু গল্প পায় না। আপনার অভিমত জানতে চাই।
মামুনুর রশীদ: গল্প মানুষের আদিম আকাঙ্খা। এখন কথা হচ্ছে যে, গল্প ছাড়াও তুমি নাটক করতে পার। খুব ভালো! খুব ভালো… এই নাটক যদি দর্শকের ভালো লাগে তাহলে তো আরও ভালো… কিন্তু এটাও তো এক ধরনের ইন্ডাস্ট্রি। এই কথাটাও আমাদেরকে গুরুত্ব দিতে হবে।
আনন্দ আলো: এখন যারা মঞ্চ নাটক করছেন তাদের মধ্যে একটা প্রবনতা প্রকট, তাহলো অতি দ্রুত নিজের পরিচিতি… এটাকে কি ভাবে বিশ্লেষন করবেন?
মামুনুর রশীদ: (থামিয়ে দিয়ে) শোনো, একটা কথা বলি। মানুষ তার স্বার্থের বাইরে সাধারনত কোনো কাজ করে না। এটাই সত্য…
আনন্দ আলো: তরুণদের প্রতি আপনার কোনো দিক নির্দেশনা….
মামুনুর রশীদ: একটা সোজাসাপটা কথা বলি। সমাজের সব জায়গায়তো পচন ধরেছে। সব জায়গায়ই শর্টকার্ট খোঁজা হয়। কত সহজ পথে অনেক অর্থ উপার্জন করা যায় এই চেষ্টাই অনেকে করে। এই বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে শুধু একটা কথাই বলব, থিয়েটার হলো আমাদের ভালোবাসার জায়গা। শেখার জায়গা। সভ্যতার ইতিহাসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া। পাশাপাশি জীবনকে বিনির্মানের জায়গাও থিয়েটার। কাজেই এখানে শর্টকার্ট খুঁজলে হবে না। এখানে আমি কিছু শিখব। এটা আমার অধ্যয়নের কাল এবং এই অধ্যয়নটা জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত চলবে… এজন্য যদি আমরা প্রস্তুত আছি তাহলে থিয়েটারে আসা উচিৎ। আর যদি প্রস্তুত না থাকি তাহলে থিয়েটারে আসা উচিৎ নয়।

  • সাক্ষাৎকার