জন্মদিনে উপহার হিসেবে কার্ড খুবই পছন্দ : শান্তা ইসলাম

আনন্দ আলো: জন্মদিন পালনের বিষয়টি কেমন লাগে?

শান্তা ইসলাম: জন্মদিন পালনের বিষয়টা একটা উপলক্ষ। এই উপলক্ষকে কেন্দ্র করে পরিবারের অনেক সদস্য ও বন্ধুদের সমাগম ঘটে যাদের সাথে হয়তো এই আয়োজন না হলে অনেকদিন ধরে দেখা সাক্ষাতও হতনা। সেই অর্থে জন্মদিন পালনের বিষয়টা খুবই জরুরি বলা যায়।

আনন্দ আলো: স্মরণীয় কোন জন্মদিনের গল্প জানতে চাই-

শান্তা ইসলাম: আমার ছেলে সৌমিক কানাডায় ইঞ্জিনিয়ারিং-এ পড়ে। এক ছুটিতে সে দেশে বেড়াতে এলো। সে মনে মনে আমার জন্মদিন পালন করার পরিকল্পনা করে রেখেছিল আমার অলক্ষ্যে। আমার ঠিক নিচের ফ্লোরে থাকে আমার ছোট বোন। সৌমিক আমার জন্মদিনের দুইদিন আগে থেকে বাজার করে আমার বোনের বাসায় জড়ো করছে। জন্মদিনের দিন আমার আরটিভিতে প্রোগ্রাম ছিল। আমি বের হব। চিন্তা করে রেখেছি রাতে সবাইকে নিয়ে কোন রেস্টুরেন্টে ডিনার করতে যাব। আমি রেডি হচ্ছি সৌমিক বলে, মা এটা কী পড়লে? একটু সাজুগুজু কর, ভালো একটা শাড়ি পড়ো। আমি ওর কথামত সেজে বের হলাম। প্রোগ্রাম শেষে বাসায় ফিরে দরজায় নক করলাম। দরজা খোলার সাথে সাথে দেখি এলাহি কারবার। পুরো বাসা সাজানো গোছানো, বেলুন পর্যন্ত লাগিয়েছে। আমার চোখ গেল আমার আব্বার দিকে কারণ তার মাথায় মাঙ্কি টুপি। আমি হাসছি। বিরাট একটা কেক এনেছে। নানা পদের রান্না। কখন তারা এসব করল আমি কিছুই টের পেলাম না। পুরো আয়োজনটি সৌমিক করেছে, তাকে সাহায্য করেছে আমার বোন। আমার কাছে জীবনের সেরা জন্মদিন ছিল সেটি।

আনন্দ আলো: জন্মদিন কি উপহার পেতে ভালো লাগে-

শান্তা ইসলাম: জন্মদিনে প্রিয়জনের উপস্থিতিটাই আমার কাছে সবচেয়ে বড় উপহার বলে মনে হয়। আমার ছেলে ছোটবেলা থেকেই তার পছন্দমত ছোট ছোট উপহার দিয়ে আসছে। কখনো ছোট একটি খেলনা ঘোড়া, কখনো খেলনা গাড়ি। আমি তার দেয়া উপহারগুলোকে আমার বাসার একটি কর্নারের সাজিয়ে রেখেছি। একটা উপহার ব্যক্তিগতভাবে খুব ভালো লাগে সেটা হল কার্ড। প্রতিটা কার্ডে কত কিছু লেখা থাকে। যে কার্ডটি উপহার দেয় সে তার হৃদয়ের কথাগুলোই লিখে দেয় কার্ডে। কার্ড পড়লে সেই মানুষটির হৃদয়টা পড়া হয়ে যায়। আমার খুব ভালো লাগে কার্ডের লেখা পড়তে।

আনন্দ আলো: এবারের জন্মদিন কিভাবে পালন করবেন?

শান্তা ইসলাম: আমি নিজে থেকে কখনোই কোন পরিকল্পনা করি না। তারপরেও কিভাবে যেন জন্মদিন করা হয়ে যায়। তবে আমার ভালো লাগে সবাইকে নিয়ে একসাথে খাওয়া দাওয়া করতে। তরুণদের জন্য: তারুন্য জীবনের শ্রেষ্ট সময়। তরুণীরা খুবই সাজুগুজু প্রবণ হয়ে থাকে। তারা সবসময় চেহারায় নতুনত্ব আনতে চায়। চেহারায় নতুন লুক আনতে চুলের ভূমিকা অনেক। চুলের রঙ পরিবর্তন করে চেহারায় নতুনত্ব আনার জন্যে তাদের উপহার দিতে পারেন মাল্টি কালার হেয়ার চকসেট। পিংক, গ্রিন, ইয়েলো, পার্পেল নানা ধরণের চক থাকে। পার্টিতে কিংবা ঘরোয়া অনুষ্ঠানে টিনএজ মেয়েরা ড্রেসের সাথে রঙ মিলিয়ে চুলকে হাইলাইট করে নিতে পারবেন। আর কিশোর ও তরুণদের জন্য ব্যাটম্যান, স্পাইডারম্যান, মনস্টার পাজল কিনে দিতে পারেন। তারা পাজল মেলাতে খুবই পছন্দ করে। মজাদার কোন পাজল হলে তারা ভীষণ খুশি হয়ে যাবে। বয়স্কদের জন্য: আরামদায়ক ওয়াকিং সুজ উপহার দিতে পারেন। বাড়ির বয়স্ক দাদী নানীর জন্যে দিতে পারেন ফুট এন্ড ব্যাক ম্যাসাজ ওয়্যার। কাঠের তৈরি এসব উপাদান দারুন আরামদায়ক বয়স্ক মহিলাদের জন্য। মায়ের জন্মদিন! উপহার হিসেবে কিনুন একটি অ্যারোমা স্পা সেট। মুগ্ধ হয়ে যাবেন মা। বাড়ির খুবই ব্যস্ত মানুষ বাবা। বাবাকে উপহার দেওয়া যেতে পারে একটি এক্সারসাইজ ইন্সট্রুমেন্ট। নিজেকে কর্মক্ষম ও উৎফুল রাখতে এটি খুবই ভাল কাজ দেবে।

  • সাক্ষাৎকার
Comments (০)
Add Comment