মানুষের ভালোবাসাই সেরা উপহার -ফাহমিদা নবী

আনন্দ আলো: ৪ জানুয়ারি আপনার জন্মদিন। দিনটি কীভাবে পালন করেন?  ফাহমিদা নবী: আমি জন্মদিন তেমন একটা পালন করি না। আগে আম্মা ধুমধাম করে আমার জন্মদিন পালন করত। এখন মেয়েই আমার জন্মদিন পালন করে থাকে। এই দিনটি আমি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কাটাতে চেষ্টা করি। খুব কাছের লোকজনরা আমাকে স্মরণ করে। আগের দিন রাত ১২:০১ মিনিটে মেয়ে জন্মদিনের আয়োজন করে থাকে। কেক নিয়ে এসে আমাকে সারপ্রাইজ দেয়। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, ভক্ত শুভানুধ্যায়ীরা জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানায়। বাসায় অনেকে ফুল নিয়ে আসে, কেক আনে।

আনন্দ আলো: ছোটবেলার জন্মদিন আর এখনকার জন্মদিনের মধ্যে কী পার্থক্য খুঁজে পান?

ফাহমিদা নবী: পার্থক্যতো অবশ্যই আছে। ছোটবেলার জন্মদিন অনেক মজার, আনন্দের ছিল। খুব এক্সসাইটেড থাকতাম। আব্বু-আম্মু মিলে ঘটা করে আমার জন্মদিন পালন করতেন। মা-খালা, মামা-মামী, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সবাই বাসায় চলে আসত। বড় পরিসরে আয়োজন করা হতো জন্মদিন। নতুন নতুন জামা-কাপড় পাওয়া যেত। বাসায় ভালো ভালো রান্না-বান্না করা হতো। সবাই মিলে হৈচৈ করে দিনটা কাটাতাম। সত্যিই ছোটবেলার জন্মদিন ছিল অন্যরকম। এখন মেয়ে আমার জন্মদিন পালন করছে। ভালোই লাগছে।

আনন্দ আলো: সবার আগে জন্মদিনে কে উইশ করে?

ফাহমিদা নবী: আমার মেয়ে আনমোল সবার আগে জন্মদিনে উইশ করে। এরপর আমার খুব কাছের মানুষ যারা আছে তারা, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন এবং ভক্ত-শুভানুধ্যায়ীরা উইশ করে শুভেচ্ছা জানায়। আগের দিন রাত ১২টার সময় মেয়ে আনমোল হ্যাপি বার্থ ডে বলে।

আনন্দ আলো: জন্মদিনে কী উপহার পেতে ভালো লাগে?

ফাহমিদা নবী: মানুষের ভালোবাসাই আমার বড় উপহার। এবারের জন্মদিনে শুধু একটাই আমার চাওয়া কেউ যদি আমাকে ভুল বুঝে থাকে তাহলে আমাকে যেন ক্ষমা করে দেয়। এটাই হবে আমার সবচেয়ে বড় উপহার।

  • সাক্ষাৎকার
Comments (০)
Add Comment