জন্মদিনটা নাগরিক ঐতিহ্য! :রাহাত খান

আনন্দ আলো: জন্মদিনটা কী ভাবে পালন করেন?

রাহাত খান: আমার জন্মদিন তেমন একটা ঘটা করে পালন করা হয় না। একদম ঘরোয়া পরিবেশে নিজেদের মধ্যে জন্মদিনটা পালন করা হয়। এখন ছেলেই মূলত: আমার জন্মদিনটা পালন করে থাকে। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, আর ভক্ত-শুভানুধ্যায়ীরা জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানায়। ফুল নিয়ে আসে।

আনন্দ আলো: ছোটবেলার জন্মদিন আর এখনকার জন্মদিনের মধ্যে কী পার্থক্য খুঁজে পান?

রাহাত খান: পার্থক্য তো অবশ্যই আছে। এখন মনে হয় জীবন থেকে অনেকটা সময় চলে গেছে এই পার্থক্য খুঁজে পাই। আমরা তো গ্রাম থেকে এসেছি। জন্মদিনটা গ্রামের ঐতিহ্য না। এটা হচ্ছে নাগরিক এতিহ্য। এখন আমরা ঘটা করে জন্মদিনে নানান আয়োজন করে থাকি। আমার মনে হয় কী যে ঘটা করে জন্মদিন পালন করার মধ্যে মানুষের একটা অহংকার আছে। এটা না করাই ভালো। মানুষের অহংকার থাকার কী দরকার আছে?

আনন্দ আলো: সবার আগে জন্মদিনে আপনাকে কে উইশ করে?

রাহাত খান: ছেলে সবার আগে আমার জন্মদিনে উইশ করে। রাত ১২:০১ মিনিটে ছেলে আমাকে উইশ করে। এরপর পুরনো বন্ধু যারা আছেন তারা আমাকে ফোন করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানায়।

আনন্দ আলো: জন্মদিন নিয়ে কোনো মজার স্মৃতির কথা বলুন?

রাহাত খান: একবার আমার জন্মদিন আনুষ্ঠানিকভাবে পালিত হয়েছিল জাতীয় জাদুঘরের বেগম সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে। অনুষ্ঠানের উপস্থাপনায় ছিলেন আবু হেনা মোস্তফা কামাল আর চিত্র নায়িকা কবরী। কথার ফাঁকে ফাঁকে হেনা ভাই আমাকে নিয়ে অনেক মজার মজার কমেন্টস করেছিলেন। এক সময় তিনি বলেন, একজন সুন্দর মহিলা আমার কাছে এসে বললেন, আপনি কী রাহাত খান? আবু হেনা মোস্তফা কামালকে অনেকেই মনে করত রাহাত খান, আবার অনেকেই আমাকে মনে করত আমি আবু হেনা মোস্তফা কামাল। সুন্দরী মহিলার কথা শুনে হেনা ভাই বললেন, না। আমি রাহাত খান না। তবে হলে খুব ভালো হতো। এরকম অনেক মজার মজার স্মৃতি আছে।

আনন্দ আলো: জন্মদিনে কী উপহার পেতে আপনার ভালো লাগত?

রাহাত খান: আমার যারা প্রিয়জন, আমার যারা পরিচিত তারা জন্মদিনে এলেই আমি খুব খুশি হই। আমি মনেকরি এটাই আমার সেরা পাওয়া। কারণ প্রিয়জনরা এসে আমাকে স্মরণ করিয়ে দেয় আমি এই দিনটিতে জন্মিয়ে ছিলাম।

  • সাক্ষাৎকার
Comments (০)
Add Comment