Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

একটি সমবেত প্রার্থনা

আসাদুল ইসলাম

জীবন সত্যিই কঠিন। কখন যে কাকে ভালো লেগে যায় তা বলা মুশকিল। প্রেম ভালোবাসার যোগফল যখন হয় বিয়ে তখন সকলেই আনন্দিত হয় ।বিয়ের পরই মূলত প্রেম ভালোবাসা মর্যাদা পায়। পাশাপাশি পারস্পারিক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। কারন প্রেমের জীবনে এক পক্ষ অন্য পক্ষকে অনেক ছাড় দেয়। এক জনের দোষ-ত্রুটি অন্য জনের কাছে মামুলি ব্যাপার হয়ে ওঠে। কিন্তু বিয়ের পরই শুরু হয় মান-অভিমান। অর্থাৎ জমা-খরচের হিসেব-নিকেশ। একজনের দোষ-ত্রুটি অন্যজনের কাছে অসহনীয় হয়ে ওঠে। এমনও হয় সংসার ভেঙ্গে যায়।
গত কয়েকদিন ধরে এক দম্পতির পারিবারিক জীবন নিয়ে প্রচার মাধ্যমে বেশ আলোচনা হচ্ছে। স্বামী বাংলাদেশী। আর স্ত্রী জাপানী নাগরিক। জাপানেই বিয়ে হয় তাদের। সন্তান রয়েছে ৩টি। সংসার জীবনে বনিবনা হচ্ছিল না। তাই দুজনের মধ্যে ডিভোর্স হয়ে যায়। দুই মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসেন স্বামী ইমরান শরীফ। মেয়েদের দেখতে জাপান থেকে বাংলাদেশে আসেন স্ত্রী নাকানো এরিকো। মেয়েদেরকে নিজের জিম্মায় নেওয়ার জন্য হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছেন এরিকো। ফলে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তেজগাঁওয়ের ভিকটিম সেন্টারে দুই মেয়েকে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী দুই মেয়েকে তেজগাঁওয়ের ভিকটিম সেন্টারে রাখা হয়েছে তাদের। বাবা ইমরান ও মা এরিকো পালা করে সন্তানদের সাথে দেখা করছেন। খাবার নিয়ে যাচ্ছেন। দুজনের মধ্যে দেখাও হচ্ছে।আমাদের প্রত্যাশা সন্তানদের কথা ভেবে এই দম্পতির মান-অভিমান কেটে যাক।সুখী হোক পরিবারটি এই হোক সমবেত প্রার্থনা।