Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

মাকে হাসপাতালে রেখে আমাকে ম্যানহোলে নামতে হয়-ফারহান

অভিনেতা মুশফিক আর ফারহান। একসময় আরজে হিসেবে পরিচিতি পেলেও এখন পুরোদস্তুর অভিনেতা তিনি। ধীরে ধীরে হয়ে উঠছেন নাটকের জনপ্রিয় মুখ। নির্মাতাদের ভরসার পাত্র। তাই নির্মাতারাও আগামীর সম্ভাবনা দেখছেন তার মাঝে। এবার ঈদে তার অভিনীত অর্ধ ডজন নাটক প্রচার হয়েছে। তার মধ্যে ‘সুইপারম্যান’ নাটকটি আলোচনায় রয়েছে। নাটকটির জন্য প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। সমসমায়িক ব্যস্ততা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে কথা হল এ অভিনেতার সাথে।
আনন্দ আলো: ঈদে আপনার অভিনীত কয়টি নাটক প্রচার হয়েছে?
ফারহান: এবারের ঈদে আমার অভিনীত পাঁচটি নাটক প্রচার হয়েছে । এর মধ্যে রয়েছে বান্নাহ ভাইয়ের সুইপারম্যান, কালাই ও ম্যাডম্যান, মোস্তফা কামাল রাজ ভাইয়ের স্যাক্রিফাইস ও লাইফলাইন, মাহমুদ মাহিনের ডন বি কুয়াইট। এ ছাড়া প্রায় আরও পাঁচটির মতো নাটক শুটিং শেষ করতে না পারায় ঈদে আসেনি। যদিও সেগুলো ঈদকে মাথায় রেখেই শুটিং শুরু করেছিলাম। কিন্তু করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় শুটিং শেষ করা সম্ভব হয়নি।
আনন্দ আলো: প্রচার হওয়া নাটকের মধ্যে কোনটিতে সর্বাধিক দর্শক রেসপন্স পেয়েছেন?
ফারহান: দেখুন,আমার অভিনীত সবগুলো নাটকই কিন্তু আমার কাছে সেরা। সবগুলোর গল্প ভালো দেখেই অভিনয় করা। তবে এগুলোর মধ্যে দর্শকরা মনে হয় বেশি পছন্দ করেছেন ‘সুইপারম্যান’কে। বাকিগুলোও দর্শক ভালোই দেখেছেন। কিন্তু সুইপারম্যান একটু বেশি। নাটকটি অনলাইনে আসার পর এতো প্রশংসা পাচ্ছি যা দেখে আমার চোখে পানি এসে পড়েছে। আমার প্রশংসা করে নাটকটি নিজেদের ওয়ালে শেয়ার করছেন হাজার হাজার মানুষ। মোবাইলে, ফেসবুকের মেসেঞ্জারে শত শত মেসেজ আসছে সুইপারম্যানের প্রশংসা করে।
আনন্দ আলো: কাজ ভালো হলে প্রশংসা পাবেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এই ভালো কাজের ধারাবাহিকতা আগামীতে থাকবে কি না…
ফারহান: এখন অভিনয় আমার নেশা-পেশা। আমার অভিনয়ের ক্যারিয়ার বেশি দিনের না হলেও শুরু থেকেই অনেক পরিশ্রম করে আসছি। ভালো ভালো কাজের পেছনে ছুটছি, যারা ভালো নির্মাতা তাদের সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করছি। জানিনা কতটা কি করতে পারছি। তবে আমার পরিশ্রমের শতভাগ দিয়ে কাজের চেষ্টা করছি। আশা করি আগামীতেও এ ধারাবাহিকতা থাকবে। মানুষের এখন যে ভালোবাসা পাচ্ছি এই ভালোবাসার পাওয়ার ধারাবহিকতা ধরে রাখার চেষ্টা জীবন বাজি রেখে করে যাবো।
আনন্দ আলো: ‘সুইপারম্যান’ নাটকের শুটিংয়ে আপনি নাকি ময়লা ভর্তি ম্যানহোলে নেমে পড়েছিলেন?
ফারহান: নাটকটির সঙ্গে আমার অন্য রকম ইমোশন জড়িত। অনেকটা ঘোরের মধ্যে অভিনয় করেছিলাম। নাটকটির শুটিংয়ের জন্য আমি যখন ময়লার ড্রেনে নামি আমার মা তখন হাসপাতালে ভর্তি হতে যাচ্ছিলেন। মানে মাকে হাসপাতালে রেখেই সুইপারম্যান নাটকের শুটিং করতে হয়েছে। পরে শুটিং শেষ করে পুরো টিম মাকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছি। আর বান্না ভাইয়ের কাছে কৃতজ্ঞ আমি। তিনি আমাকে ম্যানহোলে নামিয়ে অভিনয়টা আদায় করিয়ে নিয়েছেন। তবে এমন যে কোনো চরিত্রের অভিনয় করার সুযোগ এলে আমি আগামীতেও চ্যালেঞ্জটা নিতে চাই।