Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

তার নাম বললে চাকরি থাকবে না!- তানিন তানহা

মোহাম্মদ তারেক
আনন্দ আলো: আপনি কী তানিন?
তানিন তানহা: হ্যাঁ, আমি অভিনয়ের তানিন তানহা।
আনন্দ আলো: তানিন তানহা নামের অর্থ কী?
তানিন তানহা: তানিন তানহা নামের অর্থ হচ্ছে বংশের একমাত্র প্রদীপ।
আনন্দ আলো: অভিনয়ে এলেন কেন?
তানিন তানহা: যখন আমি এইচএসসির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী তখন থেকেই আমি মিডিয়ায় টুকটাক কাজ শুরু করি। কখনো ভাবিনি মিডিয়াতে আসবো। কিন্তু ২০১৪ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপার স্টার প্রতিযোগিতায় ছবি দেয়ার পর মিডিয়ায় সক্রিয় হই। এখন এখান থেকেই সম্মান, ভালোবাসা, অর্থ পাচ্ছি। এখন অভিনয়টা আমার প্রফেশন হয়ে গেছে।
আনন্দ আলো: জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয় যে কাজটি…
তানিন তানহা: ২০১৪ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপার স্টার প্রতিযোগিতাটি আমার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয় বলতে পারেন।
আনন্দ আলো: ছোটবেলায় কী হতে চেয়েছিলেন?
তানিন তানহা: ছোটবেলায় আমি ট্রাক ড্রাইভার হতে চেয়েছিলাম। আর যখন বুঝতে শিখেছি তখন ভাবতাম আল্লাহ যা বানাবে তাই হবো।
আনন্দ আলো: ক্যামেরার সামনে প্রথম দিনের অবস্থা কেমন ছিল?
তানিন তানহা: ক্যামেরার সামনে প্রথম দিন আমি তেমন একটা নার্ভাস ছিলাম না। তবে অভিনয় নিয়ে কিছুটা টেনশন হচ্ছিল।
আনন্দ আলো: আপনার অভিনীত প্রথম নাটক…
তানিন তানহা: আমার অভিনীত প্রথম নাটক ‘ম্যাগী’। এটি পরিচালনা করেছিলেন সোহাগ মাসুদ।
আনন্দ আলো: যাকে অথবা যাদের দেখে এখনো অভিনয় শিখি…
তানিন তানহা: আফসানা মিমি, বিপাশা হায়াত, মৌ, তারিন আপুদের অভিনয় দেখে এখনো অভিনয় শিখি।
আনন্দ আলো: নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন দেখি…
তানিন তানহা: শাবনূর আপুর সিনেমা দেখলেই নিজেকে ভীষন নায়িকা হয়ে উঠতে ইচ্ছা করে।

আনন্দ আলো: যে চরিত্রের ভিতরে ঢুকে পড়েছিলামÑ
তানিন তানহা: সতীর্থ রহমানের পরিচালনায় রবীন্দ্রনাথের ‘দৃষ্টিদান’ নাটকটির হিমাঙ্গী চরিত্রের ভেতরে যেন সত্যি সত্যিই ঢুকে পড়েছিলাম। আমার বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন আনিসুর রহমান মিলন ভাই।
আনন্দ আলো: অভিনয় ছাড়া আর যা ভালো করতে পারেন?
তানিন তানহা: ভালো রান্না করতে পারি। সুইমিং করতে পারি। মানুষকে হাসাতে পারি।
আনন্দ আলো: কি কি রান্না বান্না করতে পারেন?
তানিন তানহা: খিচুড়ি আর গরুর মাংসের রান্নাটা বেশি মজা করে করতে পারি। আর ডেজার্টটা ভালো করতে পারি।
আনন্দ আলো: যে প্রশ্ন শুনতে শুনতে ক্লান্ত…
তানিন তানহা: আপনার হাসি এতো সুন্দর…
আনন্দ আলো: জীবনের যে সময়টা ফ্রেমে বন্দী করে রাখার মতো…
তানিন তানহা: আমার বাবা-মার সাথে প্রতিটা মুহূর্তের সময়টা ফ্রেমে বন্দী রাখার মতো।
আনন্দ আলো: এখনো যার প্রেমে মশগুল
তানিন তানহা: এমন কেউ নেই আমি যার প্রেমে মশগুল থাকবো।
আনন্দ আলো: প্রথম প্রেম…
তানিন তানহা: প্রথম প্রেমতো ছোটবেলায় হয়েছিল। মানুষটির নাম বললে চাকরি থাকবে না।
আনন্দ আলো: আমি যাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি…
তানিন তানহা: প্রথমে নিজেকে। তারপর আব্বু-আম্মুকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি।
আনন্দ আলো: মা-বাবার পরে যার ভালোবাসা ধন্য করেছে?
তানিন তানহা: আমার বেস্ট ফ্রেন্ড জয়া, রাব্বি, রাকেশের ভালোবাসা আমাকে ধন্য করেছে।
আনন্দ আলো: যাকে দেখলে হার্টবিট বেড়ে যায়…
তানিন তানহা: যাকে দেখলে আমার হার্টবিট বেড়ে যায় সে তো আমার স্বপ্নে এখনো আছে। আমার প্রিয় মানুষটি জন আব্রাহাম।
আনন্দ আলো: বিয়ে করছেন কবে?
তানিন তানহা: আব্বু আমাকে বিয়ে দিতে চায়না।