Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

ধারাবাহিকে মৌ

অভিনয়ে খুব বেশি নিয়মিত নন জনপ্রিয় মডেল ও নৃত্যশিল্পী সাদিয়া ইসলাম মৌ। আর ধারাবাহিক নাটকে তো একেবারেই অনুপস্থিত তিনি। সর্বশেষ আফসানা মিমির পরিচালনায় ‘পৌষ ফাগুনের পালা’ শিরোনামের একটি ধারাবাহিকে অভিনয় করেছিলেন জনপ্রিয় এ তারকা। এরপর কেটে গেছে প্রায় দুই বছর। দীর্ঘ বিরতির পর ফের ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন মৌ। নাটকের নাম ‘মেগা সিটির ভ্যাগাবন্ড’। বরজাহান হোসেন রচিত নাটকটি পরিচালনা করেছেন আবদুল্লাহ রানা। নাটকটিতে মৌয়ের বিপরীতে দেখা যাবে মাজনুন মিজানকে। এ প্রসঙ্গে মৌ বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেছি। মূলত গল্পের কারণেই এতে অভিনয় করেছি। দারুণ একটি প্লট নিয়ে এগিয়েছে নাটকটির কাহিনী।

এ কেমন কাছে আসা

গল্পের শুরুটাই চমক দিয়ে। ছোট্ট এক বালিকা নাদিয়াকে দেখেই ‘মা’ ডাকা শুরু করে। নাদিয়া অবাক। তার তো বিয়েই হয়নি। সে কীভাবে মা হলো! পরে অবশ্য ভাবলেন, মেয়েটার মা হয়তো মারা গেছে। আর মেয়েটাও নাছোড়বান্দা। নাদিয়াকে নিয়ে হাজির হলেন বাসায়। বাসায় গিয়ে দেখেন মেয়েটার বাবা রিয়াজ। তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, মেয়েটার মায়ের চেহারা হুবহু নাদিয়ার মতো। অনেকদিন আগে হারিয়ে গেছে। তারপর থেকে মাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে মেয়েটি। হারানো মাকে খুঁজে পাওয়ার পর আর কিছুতেই হারাতে চায়না সে। অন্যদিকে মেয়েটার প্রতি নাদিয়ার ভালোবাসা জন্মে যায়। বলতে পারেনা, সে তার আসল মা নয়। এমন গল্পেই নির্মিত হয়েছে একক নাটক, ‘এ কেমন কাছে আসা’। মাহমুদ জনির পরিচালনায় নাটকটিতে রিয়াজ, নাদিয়া ছাড়াও আরও অভিনয় করেছেন নাঈম।

সব ভাবনা অভিনয়কে ঘিরেই

ORshaসম্প্রতি ঈদের কয়েকটি নাটকের শুটিং নিয়ে মালয়েশিয়া গিয়েছেন অভিনেত্রী অর্ষা। দেশে ফিরেই প্রচার চলতি ধারাবাহিকের শুটিং শুরু করবেন বলে জানান তিনি। মালয়েশিয়া থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কথা বলেন অর্ষা-

আনন্দ আলো: মালয়েশিয়ায় কোন নাটকের শুটিং করছেন?

অর্ষা: দুটি টেলিছবি এবং একটি ছয় পর্বের ধারাবাহিকের কাজ করছি মালয়েশিয়ায়। এতে আমার সঙ্গে আরো কাজ করেছেন প্রভা, নওরীন আফরোজ ও দ্বীপ। এগুলো ঈদে প্রচার হওয়ার কথা রয়েছে।

আনন্দ আলো: আর কোনো নাটক…?

অর্ষা: নতুন কয়েকটি ধারাবাহিকের কাজ শেষ করেছি। এরই মধ্যে জাহিদ হাসানের রচনা ও পরিচালনায় ‘রাজু ৪২০’ নাটকে ‘বিজলী’ নামে একটি চরিত্রে অভিনয় করেছি। এ ছাড়াও রুমান রনির ‘তারকাদের সুখ-দুঃখ’, সকাল আহমেদের ‘একটি বাবুই পাখির বাসা’, শাহীন রিজভীর ‘নীল দাঁড়কাক’ নাটকের কাজ শেষ করেছি। এগুলো শিগগির প্রচার শুরু হবে। আর প্রচার চলতি ধারাাবহিক ‘সম্রাট-এ’ কাজ করছি।

আনন্দ আলো: ‘সম্রাট’ নাটকটি নিয়ে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?

অর্ষা: নাটকটির প্রায় ৪৫ পর্ব পার হয়েছে। এরই মধ্যে এর গল্প দর্শকদের আকৃষ্ট করেছে। বড়লোকের আদরে বেড়ে ওঠা সম্রাটকে নিয়ে এর গল্প এগিয়ে যায়। অতি আদরে বখে গেলেও এক সময় তার কাঁধে এসে পড়ে ব্যবসা পরিচালনার ভার। একে একে সবকিছু হারাতে থাকে সে। এ সময় পাশে দাঁড়াই আমরা। ভালোই সাড়া পাচ্ছি। এটি এনটিভিতে প্রচার হচ্ছে।

আনন্দ আলো: পড়াশোনার কী খবর?

অর্ষা: গত বছর খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা শেষ করেছি। এ মুহূর্তে এ মাধ্যমটি নিয়ে উচ্চতর পর্যায়ের কাজ করতে চাই। এজন্য সময় বের করার চেষ্টা করছি। আর সুযোগ পেলে অভিনয়ের ওপরও পড়াশোনা করার ইচ্ছা আছে। তবে সব ভাবনা অভিনয়কে ঘিরেই।