ঘরে থাকুন এবং ঘরেই থাকুন!

রেজানুর রহমান
অদ্ভুত এক আঁধারে নিমজ্জিত গোটা পৃথিবী। করোনা ভাইরাস কেড়ে নিয়েছে পৃথিবীর আলো। প্রতিদিনই পৃথিবীর দেশে দেশে নতুন করে করোনা ভাইরাসে মৃত্যুবরণ করছে হাজার হাজার মানুষ। ইতিমধ্যে গোটা পৃথিবী জুড়ে প্রায় এক লাখ মানুষের করুণ মৃত্যু ঘটেছে। বাংলাদেশে প্রতিদিন করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ১১ এপ্রিল শনিবার এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৮২ জন। মৃত্যু ঘটেছে ৩০ জনের। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৩৬ জন। বিশ্বের ২০৯টি দেশে করোনার থাবা বিস্তার করেছে। আক্রান্ত হয়েছে ১৬ লাখ ৯৫ হাজার ১৩৯ জন মানুষ। মৃত্যুবরণ করেছে ১ লক্ষ ২ হাজার ৬৬৯ জন।
এখন পর্যন্ত করোনার কোনো প্রতিষেধক আবিস্কার হয়নি। কাজেই করোনা থেকে বাঁচতে ‘ঘরবন্দী’ থাকাকেই সময়ের সেরা কাজ বলে মনেকরা হচ্ছে। করোনা এতটাই ছোঁয়াচে যে পরিবারের কেউ আক্রান্ত হলে করুণ পরিস্থিতির মুখোমুখি হবেন আপনি! চিকিৎসার জন্য তাকে নিয়ে যাওয়া হবে। রোগীর সাথে দেখা করার কোনো সুযোগ পাবেন না। রোগী যদি ভালো হয় তবেই আপনার কাছে ফিরে আসবে। আর ভালো না হলে আপনি কখনই তাকে দেখতে পাবেন না। আপনাকে শুধু এই টুকুই জানানো হবে যে, আপনার রোগী আর বেঁচে নেই!
কী নির্মম, নিষ্ঠুর বাস্তবতা। এর থেকে পরিত্রানর একটাই উপায়Ñ ঘরে থাকুন এবং ঘরেই থাকুন। ‘ঘরবন্দী’ জীবন যাপন করুন। কোনো জমায়েত অথবা ভীড় এড়িয়ে চলুন। বাইরে বের হবার সময় মুখে ‘মাস্ক’ পরুন। ঘন ঘন সাবান পানি দিয়ে হাত ধোবেন। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকার চেষ্টা করবেন। অতিথিকে বাসায় আসতে বলবেন না। আপনিও কারও বাসায় বেড়াতে যাবেন না। করমর্দন করা থেকে বিরত থাকুন। করোনার প্রকোপ থেকে বাঁচতে হলে ঘরে থাকা, একমাত্র ঘরে থাকাই হলো নিরাদ। ঘরে থাকুন এবং ঘরেই থাকুন…

  • প্রচ্ছদ মুখ
  • শীর্ষ কাহিনি