ভাবা যায় একটি টিভি ধারাবাহিকের জন্য ১১ হাজার বর্গফুটের একটি সেট। ৫২টি জোন। দুই শতাধিক নবীন-প্রবীণ শিল্পীর অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে নির্মিত হয়েছে দেশের প্রথম মেগা টিভি সিরিজ সাত ভাই চম্পা। অঙ্গ বঙ্গ কালিঙ্গ- তিন রাজ্যের পৌরাণিক গল্প নিয়ে তৈরি এই টিভি সিরিজটি চ্যানেল আইতে প্রতি সপ্তাহে বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার রাত ৮টায় প্রচারিত হচ্ছে। ইতোমধ্যেই ‘সাত ভাই চম্পা’ দেশের টিভি দর্শকের মাঝে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সাত ভাই চম্পা নিয়েই আমাদের এবারের শীর্ষ কাহিনী। লিখেছেন রেজানুর রহমান, সৈয়দ ইকবাল ও মোহাম্মদ তারেক
রানীদের বাহারী নাম
সাত ভাই চম্পায় রানীদের অনেকগুণের সমাবেশ ঘটানো হয়েছে। বড়ারানী গান জানেন। তাকে বলা হয় সুর সাগরের রাজকন্যা। মেজো রানীকে বলা হয় আলোর দেশের রানী। সেজো রানী হলেন প্রাসাদ সুন্দরী। সেজোর পরের জন জাদুতে পারদর্শী। তারপরের জন অঙ্গের রাজকুমারী। কারণ তিনি অঙ্গ থেকে এসেছে।
অনেক তারকার উৎসব
সাত ভাই চম্পায় নবীন-প্রবীণ ২০০ তারকার মহা সম্মিলন ঘটেছে। চলচ্চিত্রের খল নায়ক আহমদ শরীফ এই প্রথম দেশের কোনো টিভি নাটকে যুক্ত হয়েছে। আরও আছেন সংগীতশিল্পী শফি মÐল ও বিজ্ঞাপনের ভরাট কণ্ঠ মাজহারুল ইসলাম।
সাত ভাই চম্পার গল্প বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি মানুষের জানা। সাত ভাই চম্পার কাহিনী নিয়ে আমাদের দেশে একটি সিনেমা বানানো হয়েছিল অনেক বছর আগে। সেই সিনেমা দেখার জন্য দেশের মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল সিনেমা হলে। যদিও তখনকার দিনে দেশের মানুষের বিনোদন মাধ্যম বলতেই ছিল সিনেমা। একমাত্র সিনেমাকেই আনন্দ-বিনোদনের খোরাক হিসেবে ভাবতো সবাই। তাই সিনেমা দেখা পারিবারিক একটা কর্মসূচিরও অংশ ছিল। আর সাত ভাই চম্পার কাহিনীতো পারিবারিকই। এমনিতেই রাজা-রানীর গল্প আমাদের দেশের মানুষকে অনেক টানে। কারণ দেশের প্রায় প্রতিটি মানুষই নিজেকে রাজা-রানীর আসনে কল্পনা করে। সাত ভাই চম্পা’র কাহিনী দেশের মানুষকে জাদু-মন্ত্রের মতো সিনেমা হলে টেনে নিয়েছিল। প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের কারণে এক রানীর স্থান হয়ে ওঠে প্রাসাদের বন্দীশালায়। সাত ভাই হারিয়ে যায়। তাদেরকে খুঁজে পাবার জন্য বোন চম্পার জীবন সংগ্রাম এতটাই করুণ ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে যে তা দেখার জন্য দলে দলে দেশের মানুষ সিনেমা হলের দিকে যেতে থাকে। তখনকার দিনে তো আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এতটা প্রভাব ছিল না। মোবাইল ফোন তো দূরের কথা, ল্যান্ড ফোনও সহজলভ্য ছিল না। কিন্তু সাত ভাই চম্পার কাহিনী ছড়িয়েছিল মুখে মুখে। যেন বাতাসের বেগে এই মুখ থেকে সেই মুখে হাওয়ার বেগে ছুটছে একটি সিনেমার সংবাদ। চলো যাই সাত ভাই চম্পা দেখে আসি।
সিনেমা হলে ঢুকেই দর্শক যেন সাত ভাই চম্পায় আচ্ছন্ন হয়ে যেতেন। সিনেমা দেখে বাড়ি ফিরে চলতো ‘সাত ভাই চম্পা’ নিয়েই আলোচনা। আহারে প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের কারণে রানী মার কি করুণ দশাই না হলো। আর ছোট্ট মেয়েটিÑ চম্পা যার নাম। সাত ভাইকে খুঁজে বের করার জন্য কোথায় না ছুটছে সে। গাছের সাদা ফুল হয়ে আছে সাত ভাই। বোন চম্পা করুণ সুরে কেঁদে কেঁদে গাইছেÑ সাত ভাই চম্পা জাগো রে জাগো… দর্শকের মনেও তখন করুণ আকুতি-সাদা ফুল যেন মানুষে পরিণত হয়। চম্পা যেন তার সাত ভাইকে ফিরে পায়।
সাদা ফুলেরা মানুষে পরিণত হয়। চম্পা তার ভাইদেরকে খুঁজে পায়। প্রাসাদের বন্দীশালা থেকে মুক্ত করে দুখিনী রানী মাকে। অনাবিল এক আনন্দের মাঝে সাত ভাই চম্পার কাহিনী শেষ হয়। এই আনন্দ বার্তাই সাত ভাই চম্পাকে ব্যাপক জনপ্রিয় করে তুলেছিল দেশের মানুষের কাছে। তারপর সাত ভাই চম্পার কাহিনী নিয়ে যাত্রাপালা, মঞ্চ নাটক হয়েছে। বিভিন্ন ভাষায় ছবিও হয়েছে। পাশের দেশের, একটি বাংলা টিভি চ্যানেলে ‘সাত ভাই চম্পা’ নামে একটি টিভি ধারাবাহিকের প্রচারও শুরু হয়েছে। কিন্তু এসব খবরকে ছাপিয়ে বাংলাদেশে চ্যানেল আই-এর পর্দায় সাত ভাই চম্পা আবিভর্‚ত হয়েছে বিস্ময়কর এক উপস্থাপন ভঙ্গির মাধ্যমে। শুধুমাত্র তথ্য প্রযুক্তির কারিগরি দক্ষতাই নয় আয়োজনের আন্তরিকতায় চ্যানেল আই-এর ‘সাত ভাই চম্পা’ শুরুতে এতটাই চমক ও ভালোবাসা ছড়িয়ে দিয়েছে যে, দেশের টিভি দর্শক একটু নড়ে চড়ে বসেছেন। বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার সাত ভাই চম্পার তিনটি পর্ব দেখার পরই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে দর্শকের আবেগ আপ্লুত মন্তব্য পেয়েছি আমরা। সকলেই প্রায় অভিন্ন সুরে মন্তব্য করেছেন, হ্যাঁ এবার জমবে মেলা। চ্যানেল আই-এর ‘সাত ভাই চম্পা’ এক কথায় অসাধারণ। শুধু তথ্যপ্রযুক্তির কারিগরি দক্ষতাই নয় শিল্পীদের অসাধারণ অভিনয়, আউট ডোরের শুটিং আয়োজন দেখে মনেই হচ্ছিল না এটি বাংলাদেশের টিভি সিরিয়াল। মনে হচ্ছিল বিদেশে নির্মাণ করা কোনো টিভি সিরিয়াল। যাক, ‘সাত ভাই চম্পা’ প্রমাণ করলো হ্যাঁ, আমরাও পারি… সাত ভাই চম্পাকে অনেক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।
দীর্ঘ প্রায় দুই বছর ধরে ‘সাত ভাই চম্পা’র একটানা শুটিং হয়েছে। চ্যানেল আই কর্তৃপক্ষের উদারতায় পরিচালক রিপন নাগ ‘সাত ভাই চম্পা’য় কোনো কিছুতেই চুল পরিমাণ ছাড় দেন নাই। শুধুমাত্র অভিনেতা অভিনেত্রীদের পোশাক ও কস্পিউমের ব্যাপারেই তিনি খুঁতখুঁতে ছিলেন না, রাজপ্রাসাদের করিডোরে কোথায় কি প্রপস ব্যবহার করলে কাহিনীর বিশ্বস্ততা বাড়বে। তাও তার চিন্তায় গুরুত্ব পেয়েছে। এফডিসির ফ্লোরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রতিদিন সাত ভাই চম্পার শুটিং হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। নাটকটির প্রপস এবং পাত্র-পাত্রীদের পোশাকের জন্য এফডিসির ফ্লোরে দুটি বিশাল রুম রাখা হয়েছে। রুম দুটিতে ঢুকলেই বিস্ময় ছড়িয়ে যাবে। বিশেষ করে প্রপস রাখার রুমটিতে ঢুকে সবাই অবাক হবেন। পুরনো আমলের রাজপ্রাসাদে যা যা থাকতো তার সবকিছুই সংগ্রহে রাখা হয়েছে এই রুমে। পোশাক রাখার রুমটি আরও বিস্ময় ছড়াবে সবার কাছে। সাত ভাই চম্পায় যারা অভিনয় করছেন তাদের সবার পোশাক দর্জির মাধ্যমে বানানো হয়েছে। পাত্র-পাত্রীরা নিজেদের কাপড় পরে শুটিং স্পটে আসেন। তারপর দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মীরা নির্ধারিত পোশাক তাদের হাতে তুলে দেন। পোশাক বদলের পৃথক পৃথক রুম আছে। পাত্র-পাত্রীরা চরিত্র অনুযায়ী পোশাক বদলে শুটিং-এর জন্য প্রস্তুত হয়ে যান। ঘড়ির কাটা মেনেই শুরু হয় শুটিং। ঘড়ির কাটা মেনেই শুটিং শেষ হয়।
হ্যাঁ, চ্যানেল আই-এর সাত ভাই চম্পা শুধু টিভি পর্দায় চমক দিয়েছে তা নয়। দেশের টিভি নাটকে নিয়ম শৃঙ্খলা রক্ষা ও পেশাদারিত্ব প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও ব্যাপক উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। সাত ভাই চম্পা’র জন্য রয়েছে একটি বিশাল টিম। প্রত্যেকের দায়িত্ব ভাগ করা আছে। ঘড়ির কাটায় সকলেই যার যার দায়িত্বের প্রতি সচেতন হয়ে ওঠেন। যার ফলে দেশের টিভি নাটকে চমক জাগানিয়া সংবাদের উৎস হয়ে উঠেছে সাত ভাই চম্পা। প্রথম তিন পর্ব প্রচারের পর পরই দেশের টিভি দর্শক নড়ে চড়ে বসেছেন। অনেকে ইতোমধ্যে মন্তব্য করেছেন, সাত ভাই চম্পার মতো অন্যান্য টেলিভিশন চ্যানেলে আরও কিছু ধারাবাহিক নাটকের প্রচার শুরু হলে বিদেশি টিভি সিরিয়ালের দৌরাত্ম্য আর থাকবে না।
আমরাও সেটাই মনে করি। চ্যানেল আই-এর সাত ভাই চম্পা শুরুতেই যে বার্তা দিয়েছে তা হলো আন্তরিকতা থাকলে আমাদের দেশেও বিশ্বমানের টিভি সিরিয়াল নির্মাণ করা সম্ভব। পাত্র-পাত্রীদের অভিনয়ের পাশাপাশি সাত ভাই চম্পার মূল আকর্ষণ হয়ে উঠবে এই নাটকে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার। কাহিনীকে বিশ্বস্ত করে তোলার জন্য তথ্য প্রযুক্তির আধুনিকতম সকল সুযোগ সুবিধাই কাজে লাগানো হচ্ছে। আউটডোরে শুটিং করার পর শিল্পীরা ডাবিং এ অংশ নিচ্ছেন। কোনো কিছুতেই এক চুল পরিমাণ ছাড় দিতে নারাজ চ্যানেল আই কর্তৃপক্ষ।
চ্যানেল আইতে সাত ভাই চম্পার তিন পর্ব প্রচারের পর আনন্দ আলোর একজন পাঠক তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন এভাবেÑ সাত ভাই চম্পা দেখবো বলে অপেক্ষায় ছিলাম। নাটকটির প্রমো দেখেই মুগ্ধ হয়ে যাই। মূল নাটক দেখার পর আনন্দে আমি অভিভ‚ত। ঘনগাছ পালা পেরিয়ে লংশটে যখন রাজপ্রাসাদটি দেখানো হলো তখনই বুঝে নিলাম ‘সাত ভাই চম্পা’ সত্যি সত্যি আমাদের টিভি নাটকের বন্ধ্যাত্ব ঘুচাবে। শিল্পীদের অভিনয়ের তুলনা হয় না। ক্যামেরার কাজ অত্যন্ত আধুনিক। সবচেয়ে ভালো লেগেছে এই নাটকের সাউন্ড ও আবহসংগীত। এক কথায় অনবদ্য, অসাধারণ! জয়তু সাত ভাই চম্পা…
ঝলমলে প্রিমিয়ার অনুষ্ঠান
সাত ভাই চম্পা নিয়ে আমাদের অনেক প্রত্যাশা
ফরিদুর রেজা সাগর, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, চ্যানেল আই
চ্যানেল আই-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর বলেন, চ্যানেল আই-এর মূল শ্লোগানÑ হৃদয়ে বাংলাদেশ, প্রবাসেও বাংলাদেশ। দেশের সংস্কৃতিকে আরও বেগবান করার জন্যই আমরা সাত ভাই চম্পার মতো ব্যয় বহুল টিভি সিরিজ নির্মাণ করেছি। ইমামী বাংলাদেশ লিমিটেডসহ অনেকেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। সবাইকে ধন্যবাদ। দৃঢ় বিশ্বাস আমাদের সাত ভাই চম্পা দেশের টিভি অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলে দিবে।
একটা প্রশংসনীয় কাজ হয়েছে
হাসানুল হক ইনু, তথ্যমন্ত্রী
সাত ভাই চম্পার প্রিমিয়ার অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, বর্তমান সরকার দেশের সাংস্কৃতিক উন্নয়ন ধারায় ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। চ্যানেল আই-এর নতুন টিভি সিরিয়াল সাত ভাই চম্পার ভ‚য়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, এই ধারাবাহিক শুধু দেশে নয় বিদেশেও বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে বিকশিত করবে। এ ধরনের মানসম্পন্ন টিভি সিরিয়াল নির্মাণের জন্য অন্যান্য টেলিভিশন চ্যানেল কর্তৃপক্ষের প্রতিও তিনি আহŸান জানান।
ভবিষ্যতে আমাদের টিভি সিরিজও বিদেশে প্রচার হবে
তারানা হালিম, তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম সাত ভাই চম্পা টিভি সিরিজের প্রশংসা করে বলেছেন, দেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে বিদেশি ভাষার টিভি সিরিয়াল প্রচারের দিন বোধকরি শেষ হয়ে যাচ্ছে। চ্যানেল আই-এর সাত ভাই চম্পা দেখে মনে হলো ভবিষ্যতে আমাদেরকে আর বিদেশি টিভি সিরিজের প্রতি ভরসা করতে হবে না। সাত ভাই চম্পা দেখে মনে হলো আমাদের টিভি সিরিয়ালই ভবিষ্যতে বিদেশের টিভি চ্যানেলে রাজত্ব করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
একটা দায়িত্ব বোধ থেকে নিজেরা উদ্যোগী হলাম
শাইখ সিরাজ, পরিচালক ও বার্তা প্রধান, চ্যানেল আই
অনেক দিন ধরে শিল্প-সংস্কৃতির চর্চা করছি। সেখান থেকেই নিজেরা উদ্যোগী হলাম। টিভি নাটক থেকে দর্শক যখন ছুটে যেতে শুরু করল, আমরা তখন ৫১বর্তী করে দর্শক ফেরালাম। ফের এই প্রয়োজন বোধটা সামনে এলো। যখন নাটকে অস্থিরতা, বিদেশি সিরিয়াল আর ডাবিংয়ে সয়লাব হয়ে যাচ্ছে সব, তখন চিন্তা করলাম, আমরা বাইরে থেকে না এনে নিজেরাই এমন কিছু তৈরি করে বিদেশে রপ্তানি করতে পারি। অনেকে মনে করেন, এতবড় বাজেট। এই বাজার থেকে সেটা তোলা সম্ভব? হান্ড্রেড পাসেন্ট সম্ভব। আমরা সেটা গবেষণা করেই মাঠে নেমেছি। তাছাড়া পুরনো কালজয়ী সেসব কাহিনি নতুন করে মানুষের সামনে তুলে ধরারও একটা তাগিদ ছিল। তরুণ প্রজন্মও এটাতে আকৃষ্ট হবে বলে মনে করি। আমাদের ঐতিহ্যকে সামনে নিয়ে আসাও একটা লক্ষ্য।
আমাদের ও ভালো নাটক আছে
হাসান মাহমুদ, অ্যাসিসটেন্ট জেনারেল ম্যানেজার, ইমামী বাংলাদেশ লি:
আমাদের টেলিভিশনে প্রতিদিন অনেক নাটক প্রচারিত হয়। অথচ আমরা গর্ব করে দুই, তিনটা নাটকের কথাও বলতে পারিনা। কিন্তু চ্যানেল আই-এর সাত ভাই চম্পা শুরুতেই আমাদেরকে মুগ্ধ করেছে। হ্যা, এবার বোধকরি গর্ব করে বলা যাবে আমাদেরও সাত ভাই চম্পার মতো ভালো নাটক আছে। নাটকটির সাথে ইমামী থাকতে পেরে গর্বিত মনে করছে।
আমরাও ভালো নাটক বানাই তা প্রমাণ করতে চাই
রিপন নাগ, পরিচালক
সাত ভাই চম্পার পরিচালক রিপন নাগ বললেন, কাহিনীর বিশ্বস্ততা রক্ষায় আমরা কোনো কিছুতেই ছাড় দিচ্ছি না। আমরা সাত ভাই চম্পার মাধ্যমে প্রমাণ করতে চাই আমাদের পক্ষেও ভালো নাটক বানানো সম্ভব। এই প্রজেক্টটি সফল হলে আমার ধারনা ভবিষ্যতে এমন আরও প্রজেক্ট হবে। নাটকের বাজেট কম বলে অনেক পরিচালক অভিযোগ করেন। এই সিরিজের পর তাদের অভিযোগ গুরুত্ব পাবে। বাংলাদেশের টিভি চ্যানেল সমূহে ইদানিং বাংলায় ডাবিং করা একাধিক টিভি সিরিয়াল চলছে। আমাদের বিশ্বাস জন্মেছে সাত ভাই চম্পাও একদিন বিদেশের টেলিভিশনে প্রচার হবে।
এক মহারাজার গল্প!
বড়রানী শানু
মেঝো রানী চৈতী
প্রাসাদ রানী দোয়েল!