পরীর বিষয়ে শিল্পী সিমিতির আচরনে হতবাক শাকিব খান

চিত্রনায়িকা পরীমনির পক্ষে চলচ্চিত্র পরিবারের অনেক সদস্যই কথা বলতে শুরু করেছে। ঢাকাই ছবির শীর্ষ নায়ক সাকিব খান পরির বিষয়ে শিল্পী সমিতির আচরনে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক স্ট্যাটাসে সাকিব খান বলেছেন- একজন সহকর্মী হিসেবে যতটা জেনেছি, পরীমনি বাবা- মাহীন একটি মেয়ে। তাঁর বেড়ে ওঠার সঙ্গে আর দশটা তরুন-তরুণীর বেড়ে ওঠার মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। তাঁর স্ট্রাগল আর দশটা মানুষের স্ট্রাগল এক হবে না।অভিভাবকের অভাবেই পরীমনি হয়তো সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।

স্ট্যাটাসে তিনি উল্লেখ করেন ‘গত ১০ আগস্ট আদালত চত্বরে পরীমণির শতবর্ষী নানা তার নাতনিকে দেখতে ছুটে গিয়েছিলেন। করোনার ভয়াবহতাও তাকে আটকাতে পারেনি। রক্তকে উপেক্ষা করতে পারেনি রক্ত। কিন্তু সময় কি নিষ্ঠুর। নাতনীর সঙ্গে দেখাই হলো না তার নানার। আদালত চত্বরেই তার নানাকে বলতে শুনেছি, নিজের জন্য জীবনে কিছুই করেনি পরীমণি। সব মানুষের জন্য দান করে গেছে। আর এখন পরিস্থিতির শিকার হয়েছে।’
শাকিব লিখেছেন’ বিষয়টা এখন বিচারাধীন, ওই বিষয়ে কিছু বলছি না। তিনি যে মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে গেছেন, তার কী অপরাধ সেটা বিশ্লেষণেও যাচ্ছি না। দেশের প্রচলিত আইন-আদালতে যা আছে, নিশ্চয়ই নিরপেক্ষ তদন্ত শেষে সঠিক বিচার হবে।

শুধুমাত্র অভিযোগের ভিত্তিতে পরীমণিকে গ্রেপ্তারের পর তার প্রতি কোনো ধরণের সহযোগিতার হাত না বাড়িয়ে, দুঃসময়ে শিল্পীর পাশে না থেকে, উল্টো তড়িঘড়ি করে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। কোনো কিছু না ভেবে পরীমণির সদস্যপদ সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। এটা কাটা ঘায়ে নুনের ছিটার মতো। সমিতির এই আচরণ ব্যক্তিগতভাবে আমাকে হতবাক ও বিস্মিত করেছে। আমি মনে করি, সহশিল্পীর সঙ্গে সংগঠনের এটি একটি অমানবিক আচরণ। প্রশ্ন থেকে যায়, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি তাহলে কাদের স্বার্থে?’
শাকিব খান আরও বলেন, ‘যারা পরীমণিকে বিপথে নিয়ে গেছে, তাদেরকেও খুঁজে বের করা উচিত। ৩০টির বেশি সিনেমার সঙ্গে তিনি জড়িত বলে জানতে পেরেছি। তার হাতে আছে আরও বেশ কিছু সিনেমা। কিন্তু যারা বছরের পর বছর একটি সিনেমাতেও কাজ না করে দিনের পর দিন শিল্পী সাইনবোর্ড ব্যবহার করে বিলাসবহুল জীবনযাপন করছে, তাদেরও আয়ের উৎস খুঁজে বের করা উচিত।’

‘সহশিল্পী হিসেবে আশা রাখি, পরীমণির ক্ষেত্রে আইন তার স্বকীয়তা বজায় রাখবে। পরীমণি যখন ফিরবে, তার ভুল থেকে শিক্ষাও নেবে। যে শিক্ষা তার আগামী জীবনে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে।’সর্বশেষ তিনি বলেন, ‘খেয়াল করছিলাম, অপেক্ষাও করছিলাম। প্রত্যাশা ছিল, বিপরীতে বেড়েছে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা। গত কয়েকদিন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে থেকে শুক্রবার আদালতের নির্দেশে পরীমণিকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

  • এক্সক্লুসিভ