‘মেড ইন বাংলাদেশ এডভার্টাইজিং’ এই শ্লোগানটিই মিডিয়াকম-এর এগিয়ে যাবার মূল প্রেরণা

অজয় কুমার কুন্ডু, সিইও মিডিয়াকম লিঃ

দেশের অন্যতম বিজ্ঞাপন এজেন্সি মিডিয়াকম এ বছর ২৫ বছরে পদার্পণ করেছে। দেশের বিজ্ঞাপন শিল্পকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে মিডিয়াকম এর অনন্য ভূমিকার কথা সবারই জানা। দেশে মিডিয়াকমই একমাত্র বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান যার কর্মকর্তা-কর্মচারী সবই বাংলাদেশের। এটি মিডিয়াকমকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তুলেছে। ২৫ বছরের যাত্রা পথে মিডিয়াকম তার কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রতি অত্যন্ত বিশ্বস্থ থেকেছে। যোগ্যতা অনুযায়ী যার যা প্রাপ্য মিডিয়াকম তাকে সেটা দিয়েছে। আনন্দের খবর হলো, মিডিয়াকম এর শুরুর দিকের একনিষ্ঠ কর্মী অজয় কুমার কুন্ডু এখন প্রতিষ্ঠানটির সিইও। মিডিয়াকম এর ২৫ বছরের জার্নি ও ভবিষ্যৎ ভাবনার কথা বলেছেন তিনি। আনন্দ আলোর পাঠকদের জন্য তারই চুম্বক অংশ প্রকাশ করা হল-
আনন্দ আলো: ২৫ বছর অনেক লম্বা সময়। মিডিয়াকম এর ২৫ বছরের জার্নিটা কেমন? গল্পটা শুনতে চাই।
অজয় কুমার কুন্ডু: গল্পটা যদি শুরু করতে হয় তাহলে বলব যে, ২৫ বছরে অনেক চড়াই উৎরাইয়ের মাধ্যমে আমাদেরকে আজকের পর্যায়ে আসতে হয়েছে। জার্নিটা এলাম আর জয় করলাম এর মতো ছিল না। মিডিয়াকম এর শুরুর গল্পটা বলতে হলে আমাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরীর কথা বলতেই হবে। এটি ছিল মূলত তাঁরই উদ্যোগ। আমি স্কয়ার টয়লেট্রিজ এর সাথে কাজ করতাম। ১৯৯৭ সালে আমাদের এমডি স্যার মিডিয়াকম প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। শুরুতে এর আইডিয়া ছিল স্কয়ার গ্রুপের প্রোডাক্ট নিয়েই কাজ করা হবে। স্পেশালি স্কয়ার টয়লেট্রিজ এর পন্য নিয়ে কাজ করার প্লান ছিল। ২০০০ সালের দিকে আমাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিদ্ধান্ত নিলেন মিডিয়াকমকে একটি পুর্নাঙ্গ বিজ্ঞাপনী সংস্থা হিসেবে দাঁড় করাবেন। তারই ধারাবাহিকতায় নতুন উদ্যমে কাজ শুরু হয়। ’৯৭ সালে শুরু করার পর ৯৯ সাল পর্যন্ত অলমোস্ট আমরা শুধুমাত্র স্কয়ার এর কাজই করেছি। তবে ২০০০-২০০১ সালের দিকে তখন আমাদের অর্থাৎ আমাদের এমডির কাছ থেকে আমরা একটা ভাবনা পাই যে, এটাকে আরও বড় করতে হবে। বাইরের কাজও করবে মিডিয়াকম। প্রসঙ্গক্রমে একজনের কথা বলতেই হয়। সারওয়াত ম্যাডাম। বিজ্ঞাপন জগতে সকলেই তাকে চিনেন। সারওয়াত ম্যাডাম আমাদের সাথে অর্থাৎ মিডিয়াকম এর সাথে যুক্ত হন। সারওয়াত ম্যাডাম এর আগেও স্কয়ারে ছিলেন। মাঝখানে উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের জন্য তিনি বিদেশে চলে গিয়েছিলেন। পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরে তিনি আবার মিডিয়াকম-এ যোগ দেন। মূলতঃ তাঁর নেতৃত্বে আমরা মিডিয়াকমকে নতুন ভাবে গোছানোর কাজ শুরু করি। গুলশানের বিদিশা মার্কেটে ১৪০০ স্কয়ার ফিটের ছোট একটা অফিসে আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছিল। শুরুতে আমরা মাত্র ৩/৪ জন ছিলাম। তাদের মধ্যে পার্থ অন্যতম।
২০০১ সালে আমরা প্রথম বাইরের কাজ শুরু করি। আমাদের প্রথম ক্লায়েন্ট ছিল ইলেকটো মার্ট লি., কনকা টেলিভিশন। সারওয়াত ম্যাডাম যুক্ত হবার পর আমরা অ্যাংকরে পিচ করি। বাইরের কাজ করার ব্যাপারে আমাদের সামগ্রিক প্রস্তুতি বেড়ে যায়। বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সোস্যাল অ্যাওয়ারনেস বাড়ানোর লক্ষ্যে আমরা উদ্যোগী হই। এইডস নিয়ে একটা বড় প্রজেক্টে হাত দেই। এরপর দ্রুত কাজ বাড়তে থাকে।
আনন্দ আলো: ২৫ বছরে দাঁড়িয়ে কি মনে হয়, অর্জন গুলো কেমন?
অজয় কুমার কুন্ডু: অর্জন প্রসঙ্গে বলার আগে একটা বিষয়ে জোর দিতে চাই। একটা বিজ্ঞাপনী সংস্থার বড় শক্তি হল তার রিসোর্স। সব চেয়ে বড় অর্জনের কথা যদি জানতে চান তাহলে বলবÑ মিডিয়াকম এর শুরু থেকে আজ পর্যন্ত যারা কলিগ হিসেবে কাজ করেছেন তাদের অনেকেই হয়তো আমাদের সাথে এখন নাই। কিন্তু ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হলÑ বাংলাদেশের অনেক প্রতিষ্ঠিত মাল্টিন্যাশনাল ও ন্যাশনাল কোম্পানীকে তারা এখন লিড করছেন। কেউ মার্কেটিং হেড, কেউ সি এম ও। কেউ জেনারেল ম্যানেজার, কেউ কেউ ডিপার্টমেন্টাল হেড। আবার কেউ কেউ নিজ ব্যবসা করছেন। এভাবে অনেক গুরুত্বপুর্ন জায়গায় সবাই কাজ করছেন। মিডিয়াকম’এর এটা একটা বড় অর্জন বলে আমি মনে করি। মানুষ তৈরি অর্থাৎ দক্ষ জনবল সৃষ্টিতে একটা বড় অর্জন আছে মিডিয়াকমের। আর বিজনেসের ক্ষেত্রে যদি বলেন, তাহলে বলবÑ কোয়াইট গুড। কারণ মিডিয়াকমই বাংলাদেশের একমাত্র বিজ্ঞাপন এজেন্সি যার একটা আমব্রেলার নীচে সব শাখা আছে। দেশে তো নয়, বিদেশেও এমনটা দেখা যায় না। সাধারনত কোনো বিজ্ঞাপনী সংস্থার ক্রিয়েটিভ এজেন্সি আলাদা হয়, ডিজিটাল এজেন্সি আলাদা হয়, পিআর এজেন্সি আলাদা হয়, এক্টিভিশন আলাদা হয়। কিন্তু মিডিয়াকমে আপনি যদি কাজ করেন তাহলে পুর্নাঙ্গ সার্ভিস এক জায়গা থেকে পাবেন। বিজনেসের ক্ষেত্রেও যদি বলি, আজকে বাংলাদেশের যে কোনো একটা কোম্পানী বা ব্যাংক উদ্বোধনের ক্ষেত্রে কেউ যদি ৩টা এজেন্সির নামও বলে তাহলে মিডিয়াকম এর নামটা থাকবেই। এটাকে আমি সবচেয়ে বড় অর্জন বলে মনে করি। মানুষের মনের থাকাটাই একটি প্রতিষ্ঠানের বড় অর্জন।
আনন্দ আলো: মিডিয়াকম এর অন্যতম শ্লোগান অর্থাৎ কাজের উৎসাহই হল মেড ইন বাংলাদেশ এডভার্টাইজিং এর ব্যাপারে কিছু বলুন।
অজয় কুমার কুন্ডু: এর পেছনের গল্পটাও আমাদের এমডি স্যারের। অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু। মিডিয়াকমের শুরু থেকেই তিনি একটা কথা বলতেন, দেখো বাংলাদেশে যে এজেন্সি গুলো কাজ করছে তার অধিকাংশেরই র্শীষ স্থানে যারা বসে আছেন তারা হয় আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ না হয় অন্য কোনো দেশের হায়ার করা মানুষ। কিন্তু মিডিয়াকম-এটা করা যাবে না। শুধুমাত্র বাংলাদেশের মানুষ এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করবে। মিডিয়াকম-এ বিদেশী কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী নাই। দেশের মানুষই দেশের জন্য কাজ করছে। কিছু দিন আগে এক অনুষ্ঠানে আমাদের এমডি অতীতের সেই প্রসঙ্গ তুলে বলেছেন। দেখো, আমি যদি সেদিন ওই সিদ্ধান্তটা না নিতাম তাহলে তুমি অজয় কুমার কুন্ডু তৈরী হতে না। এটাই সত্যি…
আমি অব দ্য রেকর্ড অনেক নাম বলতে পারব যারা মিডিয়াকমের মাধ্যমেই পরবর্তিতে নিজের মেধার বিকাশ ঘটিয়েছেন। ২৫ বছরে মিডিয়াকম এর পে অফ লাইনে আমরা বলতে চাচ্ছি- মেড ইন বাংলাদেশ এডভার্টাইজিং এজেন্সি। বাংলাদেশী এডভার্টাইজিং এজেন্সি… এই কথাটাই আমাদের কাজের মূল প্রেরণা।
আনন্দ আলো: অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে মিডিয়াকম কেন আলাদা?
অজয় কুমার কুন্ডু: বাংলাদেশের কোনো করপোরেট হাউজের অধীনে মিডিয়াকমই একমাত্র এজেন্সি। আপনি দেখবেন পেরেন্টস কোম্পানী থেকে যে কালচার তৈরি হয় সেটাই অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান সমূহের মধ্যে গুরুত্ব পায়। মিডিয়াকম এর প্যারেন্টস প্রতিষ্ঠান-স্কয়ার গ্রুপ। ফেসিলিটি বলেন, ম্যানপাওয়ার ইমপাওয়ারমেন্ট বলেন সব কিছু গ্রুপের একটা প্রতিষ্ঠিত জায়গা থেকে এসেছে। এতে ভিশনটা বোঝা যায়। স্কয়ারের প্রতিষ্ঠাতা স্যামসন এইচ চৌধুরীর যে ভিশন ছিল সে ব্যাপারে আমরা সবাই জানি। তার সেই ভিশনই কিন্তু আমরা মেনে চলি। মিডিয়াকম এর বড় বৈশিষ্ট্য হল- ট্রান্সপারেন্সি। হার্নড্রেট পারসেন্ট ট্রান্সপারেন্সি। মিডিয়াকম এর আরেকটা বড় গুণ বলব তার পেমেন্ট স্ট্রাকচার। এই যে ভেনডর পেমেন্ট… অনেকে হয়তো আমাদের সাথে বহু বছর ধরে কাজ করেন, কেউ বলতে পারবেন না যে আমাদের কোনো একটা পেমেন্ট দেরী হয়েছে। ইমপ্লেয়িদের জব সেটিসফেকশনের বিষয়টি অনেক কঠিন। ২৮ বছর ধরে আমি এই প্রতিষ্ঠানে আছি। জবের ক্ষেত্রে আমার কোন অস্থিরতা নাই। আগেও ছিল না। এখনও নাই। আমাকে যদি কালকে কোম্পানী থেকে বলে দেওয়া হয় যে তোমাকে আর লাগবে না তাহলেও আমার কোনো অস্থিরতা থাকবে না। কারণ আমার যা দেবার আমি দিয়েছি। আবার কোম্পানী আমাকে যা দেবার সেটাও দিয়েছে। আমি একজন এনর্ট্রি লেভেলের কর্মচারী ছিলাম। আজকে মিডিয়াকমকে হেড করছি।
অন্যান্যদের তুলনায় মিডিয়াকম এজন্যই আলাদা। ট্রান্সপারেন্সি, এথিকস, করপোরেট হাউজের আমব্রেলার মধ্যেই আছি। মিডিয়াকম থেকে যে সুযোগ সুবিধা গুলো এমপ্লয়ীরা পায় সেটাও গর্ব করার মতো।
আনন্দ আলো: আমাদের দেশে বিজ্ঞাপনের বাজার আসলে কত টাকার?
অজয় কুমার কুন্ডু: এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়া বেশ কঠিন। আমাদের কাছে যে সার্ভে রিপোর্ট আছে তাতে দেখা যায় দেশে বিজ্ঞাপনের বাজারে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার। তবে এই টাকার অর্ধেক অর্থাৎ দেড় হাজার কোটি টাকার হিসাব মেলানো বেশ কঠিন। তবে দেড় হাজার কোটি টাকার হিসাব আপনি বের করতে পারবেন। এর মধ্যে ১২ শ থেকে তেরশ কোটি টাকার হিসাব আছে টেলিভিশনে। আর ৩শ কোটি টাকার একটা ফিগার আছে প্রিন্ট মিডিয়ায়। এর বাইরে যে পনের শ’র কথা বলছি সেটা ডিজিটাল আউটডোর এবং অ্যাকটিভেশনসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে রয়েছে। ডিজিটাল আউটডোর ও অ্যাকটিভেশন সহজেই ট্রাক করা যাচ্ছে না। সমস্যাটা এখানেই।
আনন্দ আলো: ২৫ বছরে ২৫টি স্মরনীয় কাজের কথা কি বলা যায়?
অজয় কুমার কুন্ডু: প্রায় আড়াই দশকের এই ধারাবাহিক পথচলায় মিডিয়াকমের ক্লায়েন্ট তালিকায় বরাবরই যুক্ত হয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড কিংবা কোনো কোনো ব্র্যান্ড মিডিয়াকমের হাত ধরেই হয়ে উঠেছে শীর্ষস্থানীয়। যেমন মিডিয়াকমের সাথে এক হয়ে দেশের অন্যতম টেলিকম কোম্পানি ‘রবি’ এ সেক্টরে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করতে সমর্থ হয়। ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এটিএল-বিটিএল ও ডিজিটাল মিডিয়ামে রবি-র বেশকিছু প্রশংসিত এবং একইসাথে ইফেক্টিভ ক্যাম্পেইন পরিকল্পনা ও পরিচালনা করে মিডিয়াকম। যার মধ্যে ছিলো ‘এবার হবে’, ‘জামদানি’, ‘দেশপ্রেমিক’, ‘ঈদে নতুন জামা’ ইত্যাদি ইন্টিগ্রেটেড ক্যাম্পেইন। বিভিন্ন সময় বিকাশ, বাটা, ব্র্যাক, বিসিসিপি, এফএইচআই, কেএসআরএম, ক্রাউন সিমেন্ট, ম্যাটাডোর, বিক্রয় ডট কম, আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ, জিপিএইচ ইস্পাত-সহ আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন, স্ট্র্যাটেজি, মিডিয়া প্ল্যানিং সার্ভিসের সাথেও যুক্ত হয়েছে মিডিয়াকম। জন্ম দিয়েছে মানুষের মুখে মুখে ফেরা তুমুল জনপ্রিয় বেশকিছু বিজ্ঞাপনের সংলাপ কিংবা মনে রাখার মতো শক্তিশালী পে-অফলাইন। যার মধ্যে রয়েছে ম্যাজিক টুথ পাউডারের “আমার নাম মফিজ, ভাড়া হইছে তিরিশ”, চাকা ওয়াশিং পাউডারের “স্মরণকালের শ্রেষ্ঠ ধোলাই”, ইউঅ্যান্ডমি-র “স্পাইস আপ ইয়োর ম্যারেজ”, সেনসেশনের “শিহরণ”, প্যান্থারের “নায়িকা বিয়া করছে” কিংবা “সংসার সুখের হয় আসল পুরুষের গুণে”, রাঁধুনী সরিষার তেলের “হাজার রকম ধোঁকা” কিংবা “আবারও ফিরুক সেই স্বাদ”, ক্রাউন সিমেন্টের “কুদ্দুস, হোয়াট হ্যাপেনড??”, বাটা-র “কমফোর্টেবল উইথ ইট”, আড়ং ডেইরির “আমার চাই সেরা টাই”, ম্যাজিক টুথ পাউডারের “ফ্রেশ মুখে ফ্রেশ কথা”, মেরিল লিপ কেয়ারের “এবার সবাই হাসুক প্রাণ খুলে”, সেনোরা-র “সংকোচ নয়, সচেতনতা”, “চতুর্থ অধ্যায়” ও “ভাই-বোন”, কনকা ফ্যানের “শান্তির মা গেলো কই?”, মেরিল বেবি লোশনের “দিনে অন্তত ৪ বার”, উইংস লেমন ড্রিংকের “মনের পাংখা খোল”, কুল ডিওডোর‌্যান্টের “ভুল করো না, কড়ড়ষ করো”, রাঁধুনী’র “ফাঁকি দিলে ফার্স্ট হওয়া যায় না” বা “রাঁধুনী হওয়া এতো সহজ না”, রিভাইভ-এর “রোদটাকে ভধপব করো, লাইফটাকে পযধংব করো”, কনকা ফ্রিজের “পচা গন্ধের দিন শেষ, খাবার রাখবে গার্ডেন ফ্রেশ”, ফার্ম ফ্রেশ-এর “খামার থেকে গ্লাসে, দিনে দিনেই আসে”, চপস্টিক ইনস্ট্যান্ট নুডলসের “আমরা চাই যে শুধুই ভালো”, “খুলে যাক আলোর জানালা”, রুচি সসের “সবই মজা লাগে যে”, মেরিল পেট্রোলিয়াম জেলি-র “পকেটে কী? ভিটামিন সি” সহ অসংখ্য প্রশংসনীয় ও জনপ্রিয় ক্যাম্পেইন।
আর ওইসব ক্যাম্পেইনের সুবাদে এসেছে ভালো কাজের স্বীকৃতিও। ২০১২ সালে চতুর্থ ঢাকা অ্যাড ফেস্টে সর্বাধিক সংখ্যক ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ অ্যাওয়ার্ড পায় মিডিয়াকম। বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম আয়োজিত বিজ্ঞাপনজগতে দেশের সবচেয়ে বড় স্বীকৃতি ‘কমওয়ার্ড-এর দশম আসরে দ্বিতীয় সর্বাধিক- ২১টি পুরস্কার জয়ের কৃতিত্ব অর্জন করে মিডিয়াকম লিমিটেড। এর আগের বছরগুলোতেও নিয়মিত বড় পুরস্কারগুলো অর্জন করলেও সে বছরেই সর্বাধিক অ্যাওয়ার্ড মিডিয়াকম-এর ঝুলিতে জমা পড়ে।
কাজের স্বীকৃতি আর সাফল্য নতুন ক্লায়েন্টদেরকেও মিডিয়াকম-এর সাথে যুক্ত হতে উদ্বুদ্ধ করে। যার ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালে মোবাইল অপারেটর কোম্পানি বাংলালিংকের অনলাইন ভিডিও স্ট্রিমিং অ্যাপ টফি’র সঙ্গে বেশ বড় চুক্তিতে মিডিয়াকম চুক্তিবদ্ধ হয়। টফি’র জন্য কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট, প্রমোশন এবং ডিজিটাল মিডিয়া বায়িং সংক্রান্ত সবধরনের সার্ভিস এই চুক্তির অন্তর্ভুক্ত।
এমনই ছোট-বড় নানান সাফল্য, অর্জন আর স্বীকৃতির মালা গেঁথে দেশের বিজ্ঞাপন সেক্টরে ২৫ বছরের মাইলফলক পার করতে যাচ্ছে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ এজেন্সিটি। এই ২০২২-এই ঘটছে ঘটনাটি। এরপরের লক্ষ্য কি হবে, প্রাপ্তি-অর্জনের খাতায় আর কি কি যোগ হবে তা তো সময়ই বলে দেবে। আপাতত এটুক বলা যায়, পঁচিশ বছরের এই টগবগে তারুণ্য মানে জোরে ছোটার সময়। মিডিয়াকম-এর লক্ষ্যটাও সেরকমই।
সাক্ষাৎকার গ্রহণ : রেজানুর রহমান

  • এই মাত্র পাওয়া
  • এক্সক্লুসিভ