প্রকৌশলী গড়ার কারিগর সাইফুল আমিন

অধ্যাপক ড. আ.ফ.ম.সাইফুল আমিন। বাংলাদেশের খ্যাতিমান একজন শিক্ষাবিদ এবং প্রকৌশল বিশেষজ্ঞ। একজন অভিজ্ঞ প্রকৌশলী হিসেবে দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে পাঠদান ও গবেষণার পাশাপাশি স্থাপনার নকশা, নির্মান, মেরামত ও রক্ষনাবেক্ষন করে চলেছেন। ১৯৯৬ সালে বুয়েট থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ প্রথম শ্রেনিতে অনার্সসহ প্রথম স্থান অধিকার করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক স্বর্ণপদকে ভূষিত হন। ১৯৯৮ সালে তিনি মাস্টার্স করেন বুয়েট থেকে। ২০০১ সালে

সাইফুল আমিন জাপানের সায়তামা ইউনিভার্সিটি থেকে ভূমিকম্প রোধক সেতু ডিজাইনের ওপর গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০১০ সাল থেকে তিনি বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক। অধ্যাপনার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি তাঁকে বুয়েটের দূর্যোগ প্রতিরোধ ও নগর নিরাপত্তা ইনস্টিটিউটের পরিচালকের দায়িত্বে নিযুক্ত করেছেন। দেশের দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং দূর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস কল্পে গবেষণা এবং অধিকতর দক্ষ জনবল তৈরি করা এই ইনস্টিটিউটের অন্যতম উদ্দেশ্য। বাংলাদেশ সরকারের অন্যতম মেগা প্রজেক্ট পদ্মা বহুমুখী সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এর পক্ষ থেকে দলনেতা হিসাবে সহায়তা করছেন। এছাড়াও তিনি বঙ্গবন্ধু সেতু, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, পায়রা সেতু, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন ছোট বড় সেতু এবং গুরুত্বপূর্ণ দালান ও অবকাঠামোর নকশা, নির্মাণ ও রক্ষনাবেক্ষনে বিশেষজ্ঞের দায়িত্বে আছেন। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের তিনি আজীবন ফেলো। এছাড়াও তিনি যুক্তরাজ্যের ইনস্টিটিউশন অব সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স এর প্রেসিডেন্ট কর্তৃক সরাসরি আমন্ত্রিত ফেলো। সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক সেতু ও স্থাপনা বিষয়ক আন্তর্জাতিক পেশাজীবি সংগঠন, আইএবিএসই এর বাংলাদেশ শাখার সভাপতি। প্রকৌশল শিক্ষারমান উন্নয়নের জন্য ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের এক্রিডিটেশন বোর্ডের সদস্য সচিব হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। এবার শাহ সিমেন্ট সুইট হোমে তাঁকে নিয়ে প্রতিবেদন। লিখেছেন মোহাম্মদ তারেক

অধ্যাপক ড. সাইফুল আমিনের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলার মতলব থানার মোহনপুর গ্রামে। তাঁর জন্ম ১৯৭১ সালে। জন্ম ও বেড়েওঠা ঢাকায়। বাবার নাম ড: মুহাম্মদ নূরুল আমিন। তিনি পাট গবেষক ছিলেন। মা অধ্যাপিকা হোসনে আরা আমিন। তিনি গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজে অধ্যাপনা করতেন। তিন ভাই বোনের মধ্যে সাইফুল আমিন সবার বড়। ছোটবেলা থেকেই প্রকৌশলী হবার স্বপ্ন দেখতেন। তিনি হয়েছেনও একজন সফল প্রকৌশলী। নিজের আগ্রহ থেকেই প্রকৌশলী হওয়া তার। গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুল থেকে তিনি স্টার মার্কসহ এসএসসি পাস করেন ১৯৮৭ সালে। ১৯৮৯ সালে ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসিতে ঢাকা বোর্ডের মেধা তালিকায় পঞ্চম স্থান অধিকার করে ভর্তি হন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। ১৯৯৬ সালে তিনি বুয়েট থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ প্রথম শ্রেনিতে অনার্স সহ প্রথম স্থান অর্জনের গৌরব লাভ করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক গোল্ড মেডেলে ভূষিত হন তিনি। পাস করে বের হওয়ার পর পরই তিনি লেকচারার হিসেবে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষকতা ও কাজের স্থান হিসাবে বেছে নেন।
১৯৯৮ সালে তিনি মাস্টার্স করেন বুয়েট থেকে। এরপর উচ্চশিক্ষার জন্য জাপান সরকারের বৃত্তি নিয়ে পাড়ি জমান জাপানে। ২০০১ সালে সায়তামা ইউনিভার্সিটি থেকে ভূমিকম্প রোধক সেতু ডিজাইন এর উপর গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। বিদেশের স্বপ্নযাত্রা কে ঝেড়ে ফেলে দিয়ে দেশে ফিরে এসে দেশের জন্য কিছু করার স্বপ্ন দেখেন। এর মাঝে ২০০৪ সালে জার্মান সরকারের আমন্ত্রণে ভিজিটিং অধ্যাপক হিসেবে ক্যাসেল বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার আমন্ত্রন পান। বাংলাদেশের প্রথম প্রকৌশলী হিসেবে ২০০৭ সালে জার্মান সরকারের সম্মান জনক আলেকজান্ডার ভন হাম্বলড্‌ ফাউন্ডেশনের ফেলো হিসেবে মিউনিখ বিশ্ববিদ্যালয়ে পুনরায় ভিজিটিং অধ্যাপক হিসেবে গবেষণার আমন্ত্রন পান। ২০০১ সালে সহকারি অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। ২০১০ সালে একই বিভাগে অধ্যাপকের পদে যোগ দেন।
অধ্যাপক ড. সাইফুল আমিন এর কাজের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে পুরাতন চিন্তা ধারার বাইরে এসে নতুনত্বকে খুঁজে নিয়ে অগ্রগতির পথে হাঁটা, মানবতার কল্যাণে গবেষণা ভিত্তিক প্রফেশনাল ধর্মী কাজ, সাংগঠনিক কাজ, নবীন-প্রবীন সকলকে সাথে নিয়ে কাজ করা। দল গত কাজের নেতৃত্ব দিতে যেয়ে নিজস্ব একক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বের হয়ে এসে দলের সদস্যের মতামতকে যথাযথ মূল্যায়ন করে যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে পারার উপর নেতৃত্বের সাফল্য নিহিত বলে তিনি মনে করেন। এর উপর ভিত্তি করে সাফল্য পায় সঠিক ইঞ্জিনিয়ারিং সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, অতীতের বিফলতা থেকে আমি বর্তমানকে আরও সুন্দর এবং নিখুত করার জন্য চেষ্টা করি। স্বনামধন্য ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসতে পেরে আমি সৌভাগ্যবান। দেশ-বিদেশের কর্মস্থলে ও সাংগঠনিক কাজে আমি স্বনামধন্য শিক্ষক, গবেষক, প্রকৌশলী, কর্মী এবং নেতৃবৃন্দের স্নেহ ভাজন এবং আস্থা ভাজন হতে পেরেছি। আমি তাদের খুব কাছাকাছি যেতে পেরেছি। বিভিন্ন দর্শণ, জীবনদর্শণ এবং কাজের স্থানীয় ও বৃহত্তর পরিধি এসব বিষয়ে আমি তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। আমার শিক্ষকতা, গবেষণা এবং পেশাগত জীবনকে প্রবল ভাবে সমৃদ্ধ করেছেন তাঁরা। মানবীয় গুণাবলীকে আমার কাজের মধ্যে সন্নিবেশিত করতে তাঁদের সান্নিধ্য আমাকে উদ্বুদ্ধ করেছে। আমাদের জাতীয় অধ্যাপক মরহুম জামিলুর রেজা চৌধুরী স্যারের সফরসঙ্গী হয়ে দেশে-বিদেশে ভ্রমণ করেছি। বাবা একজন গবেষক হবার সুবাদে আমি গবেষণা পরিবার থেকে এসেছি। দাদা এবং মা শিক্ষক হবার কারনে শিক্ষকতা পেশাকে খুব কাছে থেকে দেখেছি, মামা প্রকৌশলী হবার কারণে এই পেশায় আসার জন্য উদ্বুদ্ধ হয়েছি এবং শিখেছি। পরম শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক সোহ্‌রাবউদ্দিন আহ্‌মদ এর হাতে আমার শিক্ষকতা ও গবেষণার সরাসরি হাতে খড়ি ও উৎসাহ। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ সোহ্‌রাব স্যার সারা বিশ্বে একজন অত্যন্ত নামকরা ব্যক্তিত্ব। এ যুগের প্রথিতযশা প্রবীণ প্রকৌশলীবৃন্দের মধ্যে অধ্যাপক আইনুন নিশাত, জাতীয় অধ্যাপক মরহুম জামিলুর রেজা চৌধুরী, অধ্যাপক আ.ম.ম. শফিউল্লাহ, অধ্যাপক আলমগীর হাবিব, অধ্যাপক শামীম জেড. বসুনিয়া প্রমুখ আমার সরাসরি শিক্ষক ছিলেন। পেশাগত জীবনে আমি তাদের কাছে যেতে পারাতে উনাদের দর্শন গুলো আমি নিতে পেরেছি। সেগুলো নিয়েই আমি জীবনের এতদূর পর্যন্ত পাড়ি দিতে পেরেছি। এই জায়গায় আসার পিছনে আমার পিতামহ – মাতামহের নিকট সান্নিধ্য, চাচাদের উৎসাহ, নিজ পরিবার এবং বৃহত্তর পরিবার থেকে সর্বোত উৎসাহ ও সর্বসহযোগিতা পেয়েছি সব সময়। আমার স্ত্রী শায়লা কাদীর পাশে থেকে অনেক কষ্ট স্বীকার করেন, সফলতাতে আনন্দিত হন। তিনি আমার এই যাত্রার সহযাত্রী। এক মাত্র মেয়ে আরিনা তাহরিন আমিন আমার কাজে উৎসাহ দেয়। আমার পথ যাত্রার স্বকীয়তাপূর্ণ অনুকরণ উৎসাহ ভরে আমার বোনদের মধ্যে আমি দেখেছি। তারা আমার পাশেই আছে।

বর্তমান যুগে প্রকৌশল শিক্ষার মান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের দেশে প্রচলিত প্রকৌশল শিক্ষা পদ্ধতি হালনাগাদ করা হয় নাই বহু দিন। মান উন্নয়ন এর বিষয়টাও উপেক্ষিত বহুদিন থেকে। আমরা অধ্যাপক ড: এম.এ. রশীদ স্যারের উত্তরসূরী। উনার হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান আজকের বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়। যার পদাঙ্ক অনুসরণ করে প্রকৌশল শিক্ষা আজকে সারা বাংলাদেশে প্রসারিত। তবে সারা পৃথিবীতে প্রকৌশল শিক্ষার প্রয়োগ বৃদ্ধিকল্পে “আউটকাম বেসড এডুকেশন” এখনকার প্রকৌশল শিক্ষার মানদন্ড হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে কয়েক যুগ আগে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট সহ উন্নত, এমনকি উন্নয়নশীল দেশগুলোতেও প্রকৌশল শিক্ষা ব্যবস্থা আউটকাম বেসড এডুকেশনের দিকে আধুনিকী করণ হয়েছে বহু আগে। এই শিক্ষা ব্যবস্থার মূল উদ্দেশ্য প্রকৌশলীকে সমাজ ও যুগের প্রয়োজন উপযোগী করে নিশ্চিত ভাবে গড়ে তোলা। শিক্ষা এবং শিল্পের মধ্যে সেতু বন্ধন গড়ে তোলার উপায় তৈরি করা। প্রকৌশল শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে প্রকৌশল শিল্পের প্রয়োজনের নিরিখে। আর প্রকৌশল শিল্প প্রসার লাভ করে সমাজের চাহিদা মেটাতে। প্রকৌশল শিক্ষা ব্যবস্থাকে বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রকৌশল শিল্প ও আগত প্রায় চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী করে তৈরি করার জন্য আউটকামবেসড এডুকেশন এর কোন বিকল্প নেই। কিন্তু এই জায়গাতে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি।
অধ্যাপক ড. সাইফুল আমিন ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত জাপান, বাংলাদেশ ও জার্মানিতে ভূমিকম্প থেকে সেতুকে রক্ষার জন্য হাইড্যাম্পিং রাবার বিয়ারিং এর ওপর মৌলিক গবেষণা করেন। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সম্প্রতি নির্মিত দ্বিতীয় কাঁচপুর-মেঘনা-গোমতি সেতু নির্মাণে আন্তর্জাতিক ভাবে পরিক্ষিত ও সফল এই প্রযুক্তির সরাসরি প্রয়োগ হয়েছে। ভূমিকম্প জনিত দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং প্রাকৃতিক দূর্যোগ জনিত ঝুঁকির হ্রাস কল্পে জাপানের সহায়তায় পরিচালিত দেশের সর্ববৃহৎ গবেষণা প্রকল্পে মূল ভূমিকায় থেকে তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এর ফলাফল সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে দেশের নীতি নির্ধারনে ভূমিকা রাখবে। বহু দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সভায় মূল বক্তা হিসেবে আমন্ত্রিত হয়েছেন। ইঞ্জিনিয়ারর্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের সাথে ২০০১ সাল থেকে নিবিড় ভাবে যুক্ত আছেন। সেতু-প্রকৌশল বিদ্যায় বাংলাদেশের জন্য লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবন, আহরণ, বিকাশ ও প্রয়োগের জন্য সম্পূরক শক্তি হিসেবে

আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের মূল আয়োজকের ভূমিকায় ২০০৫ সাল থেকে আছেন। ২০০৫, ২০১০, ২০১৫ ও ২০২০ সালে পরপর চারবার এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন বৃহৎ থেকে বৃহত্তর দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে সফল ভাবে আয়োজনের মাধ্যমে দেশের সেতু-প্রকৌশল বিদ্যার উন্নয়নে সম্পুরক উপাদান হিসেবে এই অবদান আবির্ভূত হয়েছে। এই সকল আয়োজনের মাধ্যমে ২০১৫ সালে তিনি হার্ডিঞ্জ সেতুর ১০০ শতবর্ষ পালনের মাধ্যমে আপামর জনগণকে সেতু-প্রকৌশল শাস্ত্রের সরাসরি প্রয়োগের গুরুত্ব অনুধাবনের সাথে সম্পৃক্ত করতে পেরেছিলেন। প্রকৌশল শিক্ষার মান উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা প্রকৌশলী সমাজের কাছে তুলে ধরতে দেখা গেছে ২০২০ সালে এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের মাধ্যমে।
২০১৭ সালে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে অব্যাহত প্রচেষ্টা এবং অসাধারণ অবদানের জন্য জাপান সোসাইটি অব সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স আন্তর্জাতিক সহযোগিতা পুরস্কার এবং ২০১৬ সালে ইনস্টিটিউশন অব সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স, যুক্তরাজ্যের প্রেসিডেন্টের বিশেষ আমন্ত্রণে সম্মানজনক ফেলো শীপে ভূষিত হন। ২০১৮ সালে যুক্তরাজ্যের ইনস্টিটিউশন অব সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্সের ২০০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দূত হিসেবে লন্ডনে নাগরিক অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানের আমন্ত্রণ পান। সারাবিশ্ব থেকে আমন্ত্রিত ১৩ জন বিশেষ সম্মান প্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনি একজন। ২০১৯ সালে জাপানের সায়তামা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন কৃতী ছাত্র হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষক, ছাত্র ও বৃহত্তর টোকিও শহরের বিশিষ্ট নাগরিকদের উপস্থিতিতে বক্তব্য দেওয়ার জন্য সম্মানজনক আমন্ত্রণ পান।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে অধ্যাপক ড. সাইফুল আমিন বলেন, দেশের যেকোনো প্রয়োজনে আমার সাধ্যের মধ্যে আমি কাজ করতে চাই। সেটা প্রকৌশলীর অবস্থান থেকে হোক বা শিক্ষকতার অবস্থান থেকে হোক। আমি দেশের জন্য গবেষণা, প্রকৌশল পেশা এবং প্রকৌশল শিক্ষার নীতি নির্ধারনী কাজে সহযোগিতা করতে চাই। আমি বাংলাদেশকে একটা সুখী, সমৃদ্ধশালীও নিরাপদ দেশ হিসেবে দেখতে চাই। স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের পূর্ব পূরুষরা ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন যার সুফল আমরা এখন ভোগ করছি। জাতি গঠনে বর্তমান সমাজকে ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। পরবর্তী প্রজন্ম অবশ্যই এর সুফল ভোগ করবে।

  • শাহ্ সিমেন্ট নির্মাণে আমি