এহসান খান। বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য স্থপতি। বর্তমানে তিনি ‘এহসান খান আর্কিটেক্টস’ নামে স্থাপত্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে স্থাপত্য বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভের পর দুইজন সহপাঠী নিয়ে ‘ভিত্তি স্থপতিবৃন্দ’ নামে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। এ যাবৎ তিনি বেশ কিছু দৃষ্টিনন্দন স্থাপনার ডিজাইন তৈরি করেছেন। ২০১০ সালে এই স্থপতির টেকনাফে নির্মিত ‘নিসর্গ ভিজিটর সেন্টার’ স্থাপনাটি আগাখান স্থাপত্য পুরস্কারের জন্য চ‚ড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছিল। এবার শাহ্ সিমেন্ট সুইট হোমে তাকে নিয়ে প্রতিবেদন। লিখেছেন মোহাম্মদ তারেক
স্থপতি এহসান খানের জন্য ময়মনসিংহের নাটকঘর লেনে। সেখানেই তার বেড়ে ওঠ। বাবার নাম ইউসুফ খান। তিনি একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। মা সোবেহ আখতার গৃহিণী। চার ভাই বোনদের মধ্যে এহসান খান দ্বিতীয়। স্কুলে পড়াকালীন সময় থেকে ছবি আঁকাআঁকির প্রতি ঝোঁকটা ছিল অনেক বেশি। নিজের ইচ্ছা থেকেই আর্কিটেক্ট হওয়া তার। ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন ১৯৮০ সালে। ১৯৮৩ সালে ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজ থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে এইচএসসি পাস করে ভর্তি হন বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগে। স্থাপত্য নিয়ে পড়াশোনা কালীন তার সহপাঠী বন্ধুদের মধ্যে আছেন স্থপতি ইকবাল হাবিব ও ইসতিয়াক জহির তিতাস। এরা সবাই স্বনামধন্য আর্কিটেক্ট। এহসান খান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থাপত্য বিষয়ে ¯œাতক ডিগ্রি লাভ করেন ১৯৯১ সালে। পাস করে বের হওয়ার পরই দুইজন সহপাঠী নিয়ে ‘ভিত্তি স্থপতিবৃন্দ’ নামে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা শুরু করেন। তারপর ২০১০ সালে তিনি নিজেই ‘এহসান খান আর্কিটেক্টস’ নামের স্থাপত্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। গুলশানে তিনি খুব সুন্দর একটি অফিস সাজিয়েছেন।
তার উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে গুলশান-১ এ সান্তাগøাস হাউস, বনানী ক্যান্টনমেন্টের ঢাকা গার্ডেন ও বীরসপ্তক, বেইলী রোডের মহিলা কমপ্লেক্স, গুলশান-২ সার্ভিস অ্যাপার্টমেন্ট আমারী ঢাকা, গুলশানের লেকসের অ্যাপার্টমেন্ট, নান্দুস রেস্টুরেন্ট, চিটাগাং-এর এপোলো হসপিটাল, উত্তরার ডিপিএস স্কুল সিনিয়র সেকশন ইত্যাদি। বর্তমানে তিনি গুরুত্ব দিয়েছেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, নগর পরিকল্পনা, আধুনিক পরিবেশ উপযোগী অফিস ও হাউজিং কমপ্লেক্স পরিকল্পনায়। এহসান খান তার সব ধরনের কাজ, স্থাপত্য নীতিও রাজউকের নিয়ম মেনেই করেন।