স্বল্প খরচে অনবায়ণযোগ্য সম্পদের ব্যবহার, টেকসই উন্নয়ন, বিষাক্ত পদার্থের ব্যবহার কমানো ও প্রকৃতিকে গুরুত্ব দিয়ে স্থাপত্য শিল্পে কাজ করে চলেছেন স্থপতি মো: আশিফুর রহমান। আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেছেন। বর্তমানে তিনি নাভানা রিয়েল এস্টেট-এ ডিজাইন ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আছেন। এ যাবৎ তিনি বেশ কিছু দৃষ্টিনন্দন স্থাপনার ডিজাইন করেছেন। স্কুল জীবনে ছবি আঁকাআঁকিতে পারদর্শী ছিলেন। বইপড়া, ফটোগ্রাফি ছিল তার পছন্দের বিষয়। ক্রিকেট ভালো খেলতেন। দ্বিতীয় বিভাগের ক্রিকেটদল ইয়ং মেরিনার্সের সাথে জড়িত ছিলেন। এবার শাহ সিমেন্ট সুইট হোমে তাঁকে নিয়ে প্রতিবেদন লিখেছেন মোহাম্মদ তারেক।
আর্কিটেক্ট মোহাম্মদ আশিফুর রহমান প্রকৃতিপ্রেমী একজন স্থপতি। ইট, কাঁঠ, বালু ও কংক্রিটের মাঝে খুঁজে ফেরেন প্রকৃতির সান্নিধ্য। আর তাই তার প্রতিটি স্থাপনায় থাকে সবুজের ছোঁয়া। প্রতিটি ডিজাইনের ক্ষেত্রে আলো, বাতাস, সবুজ প্রকৃতি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন তিনি। আর্কিটেক্ট আশিফুর রহমান দুই ভাইয়ের মধ্যে ছোট। তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জে। সেখানেই তাঁর বেড়ে ওঠা। আশিফুর রহমানের বাবার নাম রফিকুর রহমান। তিনি সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। মা তাহমিনা বেগম গৃহিণী।
স্কুলে পড়াকালীন আশিফুরের ছবি আঁকাআঁকির প্রতি ছিল প্রচণ্ড নেশা। বইপড়া, ফটোগ্রাফি ছিল পছন্দের বিষয়। তবে ছবি আঁকার ঝোঁকটা ছিল অনেক বেশি। ছোটবেলা থেকেই আশিফুর রহমানের ইচ্ছা ছিল স্থপতি হওয়ার। তার ইচ্ছা পূরণ হয়েছে। আজ তিনি হয়েছেন সফল একজন স্থপতি। কিশোরগঞ্জ গভর্নমেন্ট বয়েজ হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন ১৯৯৫ সালে। ১৯৯৭ সালে ওয়ালি নওয়াজখান কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে এইচএসসি পাস করে ভর্তি হন আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটির স্থাপত্য বিভাগে। স্থপতি মোহাম্মদ আশিফুর রহমান ব্যাচেলর অব আর্কিটেকচার ডিগ্রি লাভ করেন ২০০৫ সালে। পাস করে বের হওয়ার পরই আশিফুর রহমান যোগ দেন স্থপতি তুগলক আজাদ মিঠুর অধীনে ‘সম্মনয় আর্কিটেক্ট’ নামক কনসালটেন্সি ফার্মে। সেখানে তিনি চার বছর চাকরি করেন। ২০০৬ সালে যোগ দেন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে। সেখানে চার বছর চাকরি করেন। ২০১০ সালে যোগ দেন ‘এসেট ডেভেলপমেন্ট হোল্ডিং লিমিটেডে’। সেখানে সততা ও নিষ্ঠার সাথে চার বছর চাকরি করেন। এরপরে ২০১৪ সালে যোগ দেন নাভানা রিয়েল এস্টেট-এ। বর্তমানে তিনি এই প্রতিষ্ঠানে ডিজাইন ডেভলপমেন্ট ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আছেন।