Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

ঐক্য-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস, এবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে বসছে ষোলতম আসর

রেজানুর রহমান

গান নয় জীবন কাহিনী। ঠিকই তো একেকটি গান যেন একেকটি জীবনের গল্প। আবার কোন কোন গান একটি দেশেরও গল্প। আমাদের প্রিয় জাতীয় সঙ্গীতÑ আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি…. গাইলেই মনে বল আসে। বুকে সাহস জাগে। গান মানুষকে আনন্দ দেয়। জীবন যুদ্ধে প্রেরণাও জোগায়। মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে দেশাত্ববোধক গান হয়ে উঠেছিল আমাদের সাহস ও শক্তি। মন ভালো নেই, ভেসে এলো সুমধুর কোনো গানের সুর। নিমিষেই মনে ভালো হয়ে যাবে। এটাই গানের শক্তি।
চ্যানেল আই লাল সবুজের বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল। ‘হৃদয়ে বাংলাদেশ’ এই শ্লোগানটিই বলে দেয় চ্যানেল আই-এর দেশপ্রেম আর বিশালত্ব। দেশের টিভি চ্যানেলের ক্ষেত্রে চ্যানেল আই তার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য ও স্বকীয়তা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। চ্যানেল আই মানেই বিশুদ্ধ বাঙালিয়ানা ও মায়াময় দেশপ্রেম। সংস্কৃতির সকল ক্ষেত্রেই চ্যানেল আই অন্তর ছোঁয়া ভালোবাসা ছড়িয়ে দিয়েছে। বর্তমান সময়ে দেশের টিভি নাটক, সঙ্গীত ও চলচ্চিত্রে যারা দাপটের সাথে কাজ করছেন তাদের সংখ্যা গরিষ্ঠরাই চ্যানেল আই এর বিভিন্ন রিয়েলিটি শো থেকে উঠে আসা তারকা। লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার, চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ, ক্ষুদে গান রাজ সহ আরও অনেক নান্দনিক উদ্যোগ চ্যানেল আইকে শ্রোতা দর্শকের কাছে অনেক গুরুত্বপুর্ণ ও আদরনীয় করে তুলেছে।

দেশে শুদ্ধ সঙ্গীতের বিকাশে একমাত্র চ্যানেল আই একটি নান্দনিক উদ্যোগ শুরু করেছিল আজ থেকে ১৬ বছর আগে। শুরুতে সাথে ছিল সিটিসেল। শুধু দেশ নয় দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গীত বিষয়ক টিভি অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস ব্যাপক সাড়া ফেলে। দেশের সঙ্গীতাঙ্গনে চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস শুধু প্রেরণা নয় একটি বড় আস্থার জায়গা তৈরি করেছে। সারা বছর, এই অ্যাওয়ার্ডের জন্য সঙ্গীতাঙ্গনের বিশিষ্টজনেরাও অপেক্ষায় থাকেন!

আনন্দের খবর এবার চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস এর ১৬ তম আসর বসতে যাচ্ছে সুদূর আমেরিকায় ঝলমলে নিউইয়র্ক শহরে। এজন্য ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। এর আগে ভারতের কলকাতা, শ্রীলংকাা এবং কাতারে এই সঙ্গীত আসরের গুরুত্বপূর্ণ পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশে চার দেয়ালের আয়োজন থেকে বেরিয়ে ঐতিহাসিক লালবাগ কেল্লা, বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকার যমুনার পার, চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস এর আসর বসেছে। এই আসর গিয়েছে ভারতে, শ্রীলংকায় এবং মরুর দেশ কাতারে। এবার আসর বসতে যাচ্ছে সুদূর আমেরিকায়। ফলে দেশের সঙ্গীতাঙ্গনে ব্যাপক সাড়া পড়ে গেছে। এবারের আসরের শ্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশের গান’। দেশের সঙ্গীতাঙ্গনে অবদান রাখা ৫০ জন সঙ্গীত গুণীকে প্রদান করা হবে বিশেষ সম্মাননা। দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে এবারের চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস নিয়ে। বিশেষ করে কারা পাচ্ছেন বিশেষ সম্মাননা। ৫০ জনের তালিকায় যুক্ত হচ্ছে কার কার নাম এই নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা আর গভীর আগ্রহ।

আনন্দের খবর, এবার চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস-এর নান্দনিক এই আয়োজনের সাথে যুক্ত হয়েছে ঐক্য ডট কম ডট বিডি নামের দেশের সবচেয়ে বড় অনলাইন ভিত্তিক এসএমই প্লাটফরম।
সম্প্রতি চ্যানেল আই ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এবারের ঐক্য চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়। চ্যানেল আই এর পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ, ঐক্য ফাউন্ডেশনের সিএমএসএমই উদ্যোক্তা উন্নয়ন উইং সভাপতি বিশিষ্ট নারী উদ্যোক্তা শাহীন আখতার রেনী সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। দেশ ও দেশের বাইরে থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন নিউইয়র্ক থেকে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেড, চ্যানেল আই-এর পরিচালক এবং ঐক্য চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস এর প্রকল্প প্রধান জহির উদ্দিন মাহমুদ মামুন, বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও রথীন্দ্রনাথ রায় এবং ঢাকা থেকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন মেয়র এবং সভাপতি সিএমএসএমই উদ্যোগ সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন উইং, ঐক্য ফাউন্ডেশন আতিকুল ইসলাম ও শিল্পী রফিকুল আলম।

চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস দেশের সঙ্গীতের ক্ষেত্রে একটি অনন্য উদ্যোগ। উদ্যোগের স্বপ্নদ্রষ্টা চ্যানেল আই-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বিশিষ্ট শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগর। আজ এই স্বপ্ন ছড়িয়ে গেছে সুদূর আমেরিকায়। সঙ্গীতে অবদান রাখার জন্য দেশের ৫০ জন বিশিষ্ট সঙ্গীত তারকা এবার বিশেষ সম্মাননা পাবেন। এই আনন্দের ছোঁয়া আমরা প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ থেকেও পাচ্ছি। ভালোবাসি বাংলা গান। জয় হোক শুদ্ধ বাংলা গানের।

১৪ই নভেম্বর নিউইয়র্ক শহরে ৫০ জন সঙ্গীতগুণী মানুষের নাম ঘোষণার মাধ্যমে ঐক ডট কম ডট বিডি চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস এর ১৬তম আসরের উদ্বোধন করা হবে। পরবর্তীতে ডিসেম্বর এর শেষ সপ্তাহে ঢাকায় এবারের ১৬তম আসরের সমাপ্তি টানা হবে। এই দুই অনুষ্ঠানের সমন্বয় করে ৪-৫ ঘণ্টার একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হবে ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩.০৫ মিনিটে শুধুমাত্র চ্যানেল আইতে। এবং নিউইয়র্ক বাসির জন্য ২ জানুয়ারি নিউ ইয়র্ক সময় বিকেল ৫টায় সম্প্রচারিত হবে অনুষ্ঠানটি।

দেশ প্রেমই আমাদের সাহস ও শক্তি

ফরিদুর রেজা সাগর, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, চ্যানেল আই

SAGOR-SIRকথায় আছে স্বপ্ন দেখতে শেখো। স্বপ্ন না থাকলে পরিবার, সমাজ, প্রতিষ্ঠান এমনকি রাষ্ট্রের ক্ষেত্রেও সাফল্য পাওয়া মুশকিল। ফরিদুর রেজা সাগর, চ্যানেল আই এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তিনি। লাল সবুজের এই বাংলাদেশকে গোটা বিশ্বে সাফল্যের সাথে তুলে ধরার জন্য তাঁর নিরন্তর প্রচেষ্টা ও আত্মবিশ্বাসের মায়া এবং শক্তির কথা সবারই জানা। দেশে শুদ্ধ সঙ্গীতের বিকাশ দরকারÑ এই ভাবনায় চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস- এর যাত্রা শুরু করেছিলেন পরম আন্তরিকতায়। বুকে দেশপ্রেম আর আত্মবিশ্বাস থাকলে যে কোনো স্বপ্ন সফল করা সম্ভব তা প্রমাণ করেছেন ফরিদুর রেজা সাগর। তারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এবারের ঐক্য চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস। দেশ ছেড়ে সুদূর আমেরিকায় বসছে এবারের আসর। দেশের শুধু সঙ্গীত নয় গোটা সঙ্গীতাঙ্গনের জন্য এটি আনন্দের এবং প্রেরণারও বটে। সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় ফরিদুর রেজা সাগর বললেন, দেশপ্রেম আমাদের শক্তি ও সাহস। আশাকরি, এবারের অনুষ্ঠানে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক গৌরব বিশ্ববাসীর কাছে আরও অনন্য উচ্চতায় ছড়িয়ে যাবে।

নিউ ইয়র্ক প্রস্তুত

জহিরউদ্দিন মাহমুদ মামুন, পরিচালক, ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লি. চ্যানেল আই এবং প্রকল্প প্রধান

ঐক্য চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস-এর এবারের আসরের প্রকল্প প্রধান হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লি. এবং চ্যানেল আই-এর পরিচালক জহিরউদ্দিন মাহমুদ মামুন। তিনি বলেন, এবারের আয়োজনটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশের গান’ এটি এবারের শ্লোগান। এবার আমরা কোনো প্রতিযোগিতায় যাচ্ছি না। দেশের সঙ্গীতাঙ্গনের গুণী মানুষদের সম্মাননা জানানোই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য। নিউইয়র্ক প্রস্তুত। সব কিছু ঠিক থাকলে আশাকরি ১৪ নভেম্বর নিউইয়র্কে আয়োজনটি সফল ভাবে সম্পন্ন হবে।’

অনুষ্ঠান হবে দুটি

শাইখ সিরাজ,পরিচালক ও বার্তা প্রধান চ্যানেল আই
Shyk-Sirajচ্যানেল আই-এর পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ বলেন, ৫০ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ারে যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ব্যান্ড বিটলস্-এর গায়ক জর্জ হ্যারিসন বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য গান গেয়েছিলেন। ৫০ বছর পর আমরা ঠিক সেই নিউইয়র্কেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে দেশের ৫০ জন সঙ্গীতগুণীর নাম ঘোষণার মাধ্যমে তাঁদেরকে পুরস্কৃত করতে যাচ্ছি। এ এক অভূতপূর্ব বিষয়। নিউইয়র্ক ও ঢাকা মিলে অনুষ্ঠান হবে দুটি। নিউইয়র্কের অনুষ্ঠান হবে ১৪ নভেম্বর। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে হবে ঢাকার অনুষ্ঠানটি। ঢাকা ও নিউইয়র্কের দুই অনুষ্ঠান মিলে চ্যানেল আইতে একটি অনুষ্ঠান প্রচার হবে ৩১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় ৩টা ৫ মিনিটে এবং ২ জানুয়ারি রবিবার নিউইয়র্ক সময় বিকাল ৫টায়।

অনেক কৃতজ্ঞতা চ্যানেল আই-এর প্রতি

শাহীন আখতার রেনী, সভাপতি সিএমএসএমই উদ্যোক্তা উন্নয়ন উইং, ঐক্য ফাউন্ডেশন

ঐক্য ডট কম ডট বিডি এবারও চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস-এর সাথে যুক্ত আছে। ঐক্য ফাউন্ডেশনের সভাপতি সিএমএসএমই উদ্যোক্তা উন্নয়ন উইং শাহীন আখতার রেনী বেশ উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বললেন, সুদূর আমেরিকায় এবার ঐক্য চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস-এর আসর বসবে। এটি অনেক বড় একটি ঘটনা। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ আয়োজনের সাথে ঐক্যকে যুক্ত করার জন্য চ্যানেল আই পরিবারকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

এবারের আয়োজন নিয়ে আমি খুবই আনন্দিত

Bonna-1রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
গুণী সঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা বললেন, আজ অতীতের অনেক কথা মনে পড়ছে। শুদ্ধ সঙ্গীতের বিকাশ জরুরি এই ভাবনায় নান্দনিক এই আয়োজনটির বীজ বুনেছিলেন চ্যানেল আই এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর। ভাবতে অবাক লাগছে দেশ ছাড়িয়ে এখন সুদুর যুক্তরাষ্ট্রে এই অনুষ্ঠানটি হচ্ছে। এর ফলে দেশের ভাবমূর্তি অনেক উজ্জ্বেল হবে আশাকরি।

শুরুর উদ্যোগটা আমার ছিল ভাবতে ভালো লাগছে

ইন্তেখাব মাহমুদ, সাবেক চীফ কমার্শিয়াল অফিসার, সিটিসেল
হোটেল শেরাটনে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম এর একটি সিনেমার মহরত হচ্ছিলো। ওই অনুষ্ঠানেই আমি সাগর ভাইয়ের কাছে প্রসঙ্গটা তুলি। ফরিদুর রেজা সাগর। চ্যানেল আই এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ভালো কাজের প্রস্তাবে তিনি কখনই না বলেন না। সাগর ভাইকে প্রসঙ্গটা বুঝিয়ে বললাম। দেশের নাটক, সিনেমার জন্য কোন না কোন ভাবে প্রতিযোগিতা মূলক নানান ধরনের আয়োজন আছে। কিন্তু শুধুমাত্র সঙ্গীতের ওপর কোন আয়োজন নাই। সঙ্গীতের নানান শাখা। অথচ শুধুমাত্র গায়ক-গায়িকারা ছাড়া অন্যরা তেমন ভাবে স্বীকৃতি পান না। সাগর ভাইকে বললাম, চলেন আমরা সিটিসেল ও চ্যানেল আই মিলে দেশের সঙ্গীতের ক্ষেত্রে একটা প্রতিযোগিতা মূলক আয়োজন শুরু করি।
ওই যে বললাম, ভালো কাজে সাগর ভাই কোন সময়ই না বলেন না। আমার প্রস্তাব শুনে তাৎক্ষনিক ভাবেই হ্যা বলে দিলেন।
চ্যানেল আই মিডিয়া পাটর্নার হিসেবে যুক্ত হল। নামও ঠিক হয়ে গেলÑ সিটিসেল চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস। মাত্র ৭ দিনের মাথায় সাংবাদিক সম্মেলন হল। কৃতজ্ঞতা দেশের সকল গণ মাধ্যমের প্রতি। তারা আমাদের এই আয়োজনকে স্বাগত জানালেন। দেশের সঙ্গীতাঙ্গনে ব্যাপক সাড়া পড়ে গেল।
২০০৫ সাল। রাজধানীর একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিক ভাবে সিটিসেল চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস এর যাত্রা শুরু হয়েছিল। একটা সময় চার দেয়াল থেকে বেরিয়ে আমরা ঢাকার লালবাগে অনুষ্ঠান করলাম। একবার বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকায় লাখ লাখ মানুষের সামনে অনুষ্ঠানটি হল। আমরা চট্টগ্রামে গিয়ে অনুষ্ঠান করলাম। একটা সময় দেশ ছেড়ে বিদেশেও যেমন ভারতে কলকাতা, শ্রীলংকা, কাতারে সিটিসেল মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস এর অনুষ্ঠান হল। ১৬ তম আসর বসছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে। আমার মাঝে কী যে এক ভালোলাগা কাজ করছে তা বুঝাতে পারবো না। আমেরিকার নিউইয়র্কে আমাদের বাংলা গানের উৎসব হবে। ৫০ জন শিল্পী সম্মাননা পাবেনÑ এতো দারুণ খবর। ভেবে আনন্দ পাচ্ছিÑ আমার নিজের একটি উদ্যোগ আজ এত বড় হয়েছে। সত্যি কথা বলতে কী এক্ষেত্রে আমরা কখনই ব্যবসায়িক স্বার্থের কথা ভাবিনি। দেশের সঙ্গীতকে এগিয়ে নিতে হবে এই ছিল আন্তরিক বিশ্বাস। চ্যানেল আইও এই বিশ্বাসকে লালন করেছে।
চ্যানেল আই বিশেষ করে সাগর ভাইকে আবারও ধন্যবাদ জানাই শত প্রতিকূলতার মধ্যেও উদ্যোগটিকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য। জয় হোক বাংলা গানের।

নেপথ্যের তারকা ইজাজ খান স্বপন

প্রকল্প পরিচালক
ইজাজ খান স্বপন দেশের সঙ্গীতাঙ্গনের একজন আলোচিত মানুষ। একজন দক্ষ সংগঠকও বটে। ঐক্য ডট কম ডট বিডি চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস-এর প্রকল্প পরিচালক হিসেবে ঢাকা টু নিউইয়র্কের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
প্রসঙ্গক্রমে বললেন, চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস এর এবারের আয়োজনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশের ৫০ জন গুণী সঙ্গীতজ্ঞকে এবার সম্মাননা জানানো হবে। সবার কাছে দোয়া চাই।

 

 

চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস, ইতিহাস নির্মাণের গল্প!

চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস সৃজনশীল এই উদ্যোগটির সাথে আনন্দ আলোর একটি আত্মীক বন্ধন আছে। উদ্যোগটির শুরু থেকেই আনন্দ আলো বন্ধুর মতোই সাথে হেঁটেছে। দেখেছে দেশীয় সঙ্গীতের প্রতি কতটা মায়া ও মমতা চ্যানেল আই এর। মনে হয় এইতো সেদিন রাজধানীর একটি হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে সিটিসেল চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস নামে দক্ষিণ এশিয়ার সব চেয়ে বড় সঙ্গীত আয়োজনটি শুরু হয়েছিল।
২০০৫ থেকে ২০২১ ষোল বছরের একটা বড় সময় ধরে সাথে ছিল সিটিসেল। পরবর্তিতে পৃথকভাবে সিম্ফোনি ও সেভেনআপ উদ্যোগটির সাথে যুক্ত হয়। গত দুই বছর ধরে উদ্যোগটির সাথে যুক্ত রয়েছে ঐক্য ডট কম ডট বিডি। নিউইয়র্কের ষোলতম আসরে ঐক্যই সাথে আছে।
শুদ্ধ সঙ্গীতের বিকাশে আজ থেকে ১৫ বছর আগে যে উদ্যোগটি শুরু হয়েছিল ঢাকার একটি হোটেলের বলরুমে সেই উদ্যোগ ছড়িয়ে গেছে বিশ্বসেরা দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। এ যেন ধাপে ধাপে স্বপ্নের বাস্তবায়ন। ঢাকার একটি হোটেলের বলরুম থেকে বেরিয়ে মুক্ত আকাশে ডানা মেলা শুরু। নন্দিত উপস্থাপক ফারজানা ব্রাউনিয়ার মনোজ্ঞ উপস্থাপনায় ঢাকার ঐতিহাসিক লালবাগের কেল্লায় দেখানো হল নতুন চমক। লালবাগের পর নন্দিত অভিনেতা উপস্থাপক আফজাল হোসেনের উপস্থাপনায় যমুনার তীরে আরেক চমক। মুক্ত মঞ্চের সামনে কয়েক লাখ দর্শকের উপস্থিতি ছিল সেদিন। যমুনার তীর থেকে শ্রীলংকা, ভারত ঘুরে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে আলো ছড়ায় এই উদ্যোগ। এর পর মরুর দেশ কাতার ঘুরে আসে দক্ষিণ এশিয়ার সব চেয়ে বড় এই সঙ্গীত উৎসবটি। এবার আলো ছড়ানোর পালা যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে।
কৃতজ্ঞতা জানাতেই হয় সিটিসেল-এর সাবেক চীফ কমার্শিয়াল অফিসার ইন্তেখাব মাহমুদকে। শুরুর উদ্যোগটা তারই ছিল। এক পর্যায়ে চ্যানেল আইয়ের সাথে উদ্যোগটিকে এগিয়ে নিয়ে যান সিটিসেল-এর তৎকালীন সিইও মেহবুব চৌধুরী। তাঁর প্রতিও অনেক কৃতজ্ঞতা।
সত্যিকার অর্থেই সঙ্গীতের এই আয়োজনটি দক্ষিণ এশিয়ার সেরা আয়োজন। দেশের সঙ্গীতাঙ্গনে অনেক আশা জাগানিয়া উদ্যোগের নামÑ চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস। দেশের সঙ্গীতাঙ্গনে আলোচিত নবীণ প্রবীণ প্রায় সকল সঙ্গীত শিল্পীর হাতে উঠেছে এই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসের ক্রেস্ট। নিউইয়র্কের অনুষ্ঠান নিয়ে শিল্পীদের মধ্যে ব্যাপক আনন্দ ও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ৫০ জন বরেণ্য শিল্পীকে এবার সংবর্ধনা দেওয়া হবে। ফলে দেশের সঙ্গীতাঙ্গনে তো বটেই যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসী সঙ্গীত শিল্পীদের মাঝেও ব্যাপক আনন্দ ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। এই আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক গোটা পৃথিবীতে বাংলা গানের জয় হোক, এই প্রত্যাশা আমাদের।