Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

মুম্বাইয়ে চলছে বঙ্গবন্ধুর শুটিং!

রেজানুর রহমান
জাতির জনক, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী। একটি দেশের জন্মদাতা। তাঁকে নিয়ে সিনেমা নির্মিত হচ্ছে ভারতের মুম্বাইয়ে। বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রয়োজনায় ‘বঙ্গবন্ধু’ শিরোনামে এই সিনেমাটি নির্মাণ করছেন ভারতের বিশিষ্ট চিত্র পরিচালক, সিনেমার কবি শ্যাম বেনেগাল। সিনেমাটিতে অভিনয় করার জন্য বাংলাদেশ থেকে ভারতের মুম্বাইয়ে উড়ে গেছেন এক ঝাঁক অভিনয় শিল্পী। যাবার আগে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছেন। বঙ্গবন্ধুর জীবন ভিত্তিক সিনেমায় অভিনয় করতে পারা একজন শিল্পীর জন্য ভাগ্যেরও ব্যাপার বটে। বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। কাজেই বঙ্গবন্ধুর জীবন কাহিনীর চরিত্র হতে পারা মানেই একটি দেশেরও ইতিহাসের অংশ হয়ে ওঠা। এই ভাগ্য ক’জন শিল্পীর হয়? বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু’র চরিত্রে অীভনয় করার সুযোগ যে শিল্পী পেয়েছেন তার কথা একবার ভাবুন তো। কতটা ভাগ্যবান শিল্পী তিনি? আর বঙ্গবন্ধু কন্যা আমাদের প্রিয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর আদরের বোন শেখ রেহানার ভূমিকায় যে দু’জন শিল্পী অভিনয় করছেন তারাও কী কম ভাগ্যবান? বঙ্গবন্ধুতে যুক্ত হতে পারা সব শিল্পীই ভাগ্যবান। কারণ আবারও বলি, বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। কাজেই বঙ্গবন্ধুর জীবন কাহিনীতে যুক্ত হতে পারা মানেই প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের ইতিহাসের সাথে যুক্ত হওয়া। সত্যি এ এক বিরল সৌভাগ্য সকল শিল্পী কলাকুশলীর জন্য।
করোনার দুঃসময় না থাকলে ‘বঙ্গবন্ধু; ছবির শুটিং বাংলাদেশেই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারনে শুটিং হচ্ছে ভারতের মুম্বাইয়ে। ঢাকা থেকে মুম্বাইয়ে যে শিল্পীরা গেছেন তারা এখন দারুণ ব্যস্ত। অভিনয়ের ফাঁকে ফাঁকে অনেকেই ফেসবুকে নিজস্ব ওয়ালে শুটিং এর ছবি জুড়ে দিচ্ছেন। ফলে ‘বঙ্গবন্ধু’ সিনেমাটিকে ঘিরে দেশে বিদেশে মানুষের মাঝে শুরু হয়েছে রুদ্ধর্শ্বাস প্রতীক্ষা। জানা গেছে আমাদের মহান স্বাধীনতার ৫০ বছর পালন উপলক্ষে ২০২১ সালেই ছবিটি দেশে-বিদেশে এক যোগে মুক্তি পাবে। সে কারণেই প্রতীক্ষার প্রহর গুনছেন দেশ-বিদেশের কোটি কোটি মানুষ।

প্রধানমন্ত্রীর সাথে দুইঘণ্টা!
বঙ্গবন্ধু সিনেমায় অভিনয় করতে যাবার আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবানে ছবির একদল অভিনয় শিল্পী প্রায় ৪ঘণ্টা তাঁর (প্রধানমন্ত্রী) সাথে সময় কাটান। এসময় অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর আদুরে বোন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক উপস্থিত অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে পাশে বসিয়ে পরিবারের গল্প শোনান। বঙ্গবন্ধুর জীবন, পিতা হিসেবে কেমন ছিলেন, মাতা হিসেবে শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব কেমন ছিলেন, ভাই-বোনের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন ছিল, বাবা-মায়ের সঙ্গে সন্তানদের সম্পর্ক কেমন ছিল সব কিছু গভীর মমতার সাথে তুলে ধরেন। আরেফিন শুভ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাবার অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে অনেক তথ্য তুলে ধরেন। বঙ্গবন্ধুর স্বভাব, তাঁর কথা বলার ভঙ্গি, বঙ্গবন্ধুর ভাবনা। বঙ্গবন্ধুর দর্শন সহ খুটিনাটি বিষয়ে খুব অল্প সময়ে যতটুকু বলা যায় ততটুকু বলেছেন। আমি এতে বেশ উপকৃত হয়েছি। দিব্য জ্যোতি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে পরম মমতায় তাঁর পরিবারের গল্প বলেছেন। কিশোর বয়সে বঙ্গবন্ধু কেমন ছিলেন, বাবা-মায়ের সাথে তাঁর সম্পর্ক কেমন ছিল, ফুটবল কিভাবে খেলতেন? হাটাচলা সব কিছু আমাদের সামনে তুলে ধরেন। অভিনেত্রী দিঘী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশের চেয়ারে বসে তাঁর মায়ের গল্প শুনতে পারা অনেক ভাগ্যের ব্যাপার। এই অনুভূতি আমি বলে বোঝাতে পারব না।

ভারতের মুম্বাইয়ে শুটিং এ যাবার আগে ছবির একদল শিল্পীকে কাছে ডেকে নিয়েছিলেন আমাদের মমতাময়ী মা, প্রিয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাথে ছিলেন তাঁর আদরের বোন শেখ রেহানা। প্রায় দু’ঘণ্টা তিনি শিল্পীদের সাথে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের নানান দিক নিয়ে কথা বলেছেন। শিল্পীদের সাথে পারিবারিক অজানা ইতিহাসও তুলে ধরেছেন। প্রিয় বাবা বঙ্গবন্ধু কেমন ছিলেন? মা বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা কেমন ছিলেন? সবার আদরের ছোট ভাই শেখ রাসেল সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সম্পর্কেও নানা তথ্য তুলে ধরেছেন। যা ছিল অভিনয় শিল্পীদের জন্য পরম পাওয়া।
একজন শিল্পী বললেন, বঙ্গবন্ধু ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পাওয়ার পর থেকেই এক ধরনের টেনশন কাজ করছিলো। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে সময় কাটানোর পর সকল টেনশন দূর হয়েছে। এজন্য আমাদের প্রিয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনেক ধন্যবাদ।