ডাকলেই কী শুভেচ্ছা দূত হবেন তারকারা?

রেজানুর রহমান

একটু জনপ্রিয়তা পেলেই কতই না লোভনীয় অফারের হাতছানি আসে তারকাদের কাছে। কেউ কেউ মহা সমারোহে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও পণ্যের শুভেচ্ছা দূত হন। লোভনীয় অফারের মোহে অনেকেই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ভালো-মন্দ যাচাই করেন না। বরং একাধিক প্রতিষ্ঠানের শুভেচ্ছা দূত হবার প্রতিযোগিতাও শুরু করে দেন অনেকে। তারকার খ্যাতিকে কাজে লাগানোর জন্য অনেক ভুঁইফোড় প্রতিষ্ঠানও তারকাদেরকে শুভেচ্ছা দূত বানায়। যাতে করে সাধারন মানুষ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থাবান হয়ে ওঠে।

অসৎ-অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির মালিকদ্বয় গ্রেফতার হবার পর জানা গেল দেশের দুই জনপ্রিয় তারকা তাহসান খান ও মিথিলা ইভ্যালির ব্র্যান্ড এম্বেসাডার অর্থাৎ শুভেচ্ছা দূত ছিলেন। ইভ্যালীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ওঠায় তারা দু’জনই ইভ্যালি থেকে তাদের সম্পর্কচ্ছেদ করেছেন। জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া ইভ্যালির জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি ইভ্যালীতে আর নেই। তাদের এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন অনেকে। পাশাপাশি এমন মন্তব্যও বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে জনপ্রিয়তা পাওয়া যে কোনো প্রতিষ্ঠানের শুভেচ্ছা দূত হওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট তারকাদের একবারও কী ভাবা উচিৎ নয় কাজটা ঠিক হচ্ছে কি হচ্ছে না? কারণ জনপ্রিয় তারকারা কোনো প্রতিষ্ঠানে যুক্ত হলেই সাধারন মানুষ প্রতিষ্ঠানটির প্রতি আস্থাবান হয়ে ওঠে। তাহসান, মিথিলা, শবনম ফারিয়া ইভ্যালীর সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করেছেন। কিন্তু একথা তো সত্য তাদের প্রতি ভালোবাসার টানে অনেকেই প্রতিষ্ঠানটির পন্য কেনার ফাঁদে পা দিয়েছেন। কাজেই তারকাদের উচিৎ কোনো প্রতিষ্ঠানের শুভেচ্ছা দূত হওয়ার আগে প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কে ভলো ভাবে খোঁজ নেওয়া।

  • কলাম