মায়ের উৎসাহেই ডি মারিয়া এখন বিশ্বসেরা ফুটবলার

আমরা অনেকেই একটুতেই ধৈর্য্যহারা হই। লড়াই করতে চাইনা। লড়াই না করেই ভেবে নেই আমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না।
ডি মারিয়া বিশ্বসেরা ফুটবলার। তার গোলেই গত কয়েকদিন আগে কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা। অথচ ছোটবেলায় একাধিকবার ফুটবল ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন ডি মারিয়া। কিন্তু মায়ের উৎসাহ আর সহপাঠীদের উদারতায় শেষ পর্যন্ত ফুটবলকেই আকড়ে ধরেন তিনি। মা তাকে সাইকেলে চড়িয়ে প্রতিদিন ফুটবল প্রাক্টিসে নিয়ে যেতেন। সাথে থাকতো ছোট বোন।
ডি মারিয়া লিখেছেন ‘পুরোনো হলুদ বাইসাইকেল’ যাতে চড়িয়ে তার মা প্রাক্টিসে নিয়ে যেতেন তাকে। সাইকেলের সামনে একটা ছোট্ট ঝুড়ি ছিল। চালকের পিছনে ছিল একজনের মতো বসার জায়গা। কিন্তু সমস্যা হলো প্রতিদিন আমার ছোট বোনকেও সাথে নিতে হতো। তাই বাবা সাইকেলের একপাশে কাঠ দিয়ে একটা সিট বানিয়ে দিয়েছিলেন। ওই সিটে আমার বোন বসতো।
প্রিয় পাঠক কল্পনা করুন তো একবার। এক নারী সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছেন। পেছনে তাঁর ছেলে। একপাশে বসা মেয়ে, সামনের ঝুড়িতে ছেলের বুট জুতা, কিছু খাবার। সাইকেল কখনো পাহাড় বেয়ে উঠছে, কখনো নামছে। বৃষ্টি, শীত, ঘুটঘুটে অন্ধকার… মায়ের কিছুতেই যেন কিছু যায় আসে না। মা শুধুই প্যাডেল ঘুরিয়ে চলেছেন।
ডি মারিয়া লিখেছেন “মা না থাকলে আমি হয়তো ফুটবল ছেড়েই দিতাম।” আসলেও তাই। ছোটবেলায় ছোট খাটো লিকলিকে ছিলেন ডি মারিয়া। কোচদের অবজ্ঞা অনেক পেয়েছেন। তোমাকে দিয়ে ফুটবল হবে না। কোচদের অনেকেই এভাবে শিশু ডি মারিয়াকে নিরুৎসাহিত করেছেন। কিন্তু ডি মারিয়ার মা ছিলেন অবিচল এবং আস্থাশীল। ছেলেকে বারবার হতাশা থেকে বের করে এনেছেন। এই মহিয়শী মাকে অনেক অভিনন্দন ও শ্রদ্ধা। ভালো থেকো মা। ভালো থেকো ডি মারিয়া।

কৃতজ্ঞতা – প্লেয়ার্স ট্রিবিউন ডটকম

  • ক্রীড়া বিনোদন