আমার ৩০০ সেকেন্ড!

আনন্দ আলো’য় জয়ের ৩০০ সেকেন্ড বিশেষ সংখ্যার প্রতিটি পাতায় আমার জীবনের অনেক স্মৃতি জড়িত। বক্তিগত অভিজ্ঞতার ঝুলি যেদিন থেকে উপস্থাপনা শুরু করেছি সেদিন থেকেই অল্প অল্প করে পূর্ণ হতে থাকে। তবে ৩০০ সেকেন্ড করতে এসে ঝুলিটা যেনো প্রায় অর্ধেকই পূর্ণ হয়ে গেলো।
জ্ঞানার্জনের অনেক মাধ্যম থাকলেও আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম মনে হয় মানুষের চোখের দিকে তাকিয়ে সময়ের সাথে আপোষ না করে, নিজের সাথে আপোষ না করে প্রশ্ন করে যাওয়া। যৌক্তিক যা মনে হয় তাই জানতে চাওয়া, জানার আগ্রহ থেকে প্রশ্ন করা। এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে খুঁজতে আমি যেনো ভেতরে ভেতরে জ্ঞানাীদের হেঁটে যাওয়া পথেই হাঁটতে শুরু করেছি।
বললাম আমার কথা, এবার নেপথ্যের কিছু কথা বলি। অবশ্য পুরোটা বলতে গেলে অনেক সময় লাগবে। আজ বরং নেপথ্যের গল্প থাক। নেপথ্যের কথা বলব, জানাবো কোন না কোন একদিন।
৩০০ সেকেন্ড অনুষ্ঠানটি এই সময়ে বেশ জনপ্রিয় আমার শত্রুরাও তা স্বীকার করবেন। পাঁচ মিনিটের অনুষ্ঠানে এতো এতোগুণী মানুষকে তুলে ধরা এবং অনুষ্ঠানে বৈচিত্র্য রক্ষা করা সত্যি দুরুহ ব্যাপার। তবে আমাদের উদ্যোগ বোধকরি সফল হয়েছে। সে কারণে ৩০০ সেকেন্ড টেলিভিশন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে নতুন এক ধারার সৃষ্টি করেছে। এ ধারার প্রবর্তক আমাদের অভিভাবক ফরিদুর রেজা সাগর। তবে তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা এ কথাটি এখনই বলবো না। কারণ তাঁর মতো মহাসাগরে আমি সবে মাত্র ডিঙ্গি নৌকা নিয়ে বাইতে চলেছি। অনন্ত মহাসগারে একটা ছোট্ট দ্বীপ যতক্ষণ খুঁজে না পাচ্ছি অথবা কোন চলমান বড় জাহাজের যাত্রী না হতে পারছি ততক্ষণ পর্যন্ত আমি তাকে ছাড়বো না। তবে এখন একটু ধন্যবাদ দিচ্ছি। আমাকে মহাসাগরে একটি ডিংগি নৌকা সহ নামিয়ে দেবার জন্য। তা না হলে আমার জীবনটা “আর কতকাল আমি রবো দিশেহারা” গানের কলির মতোই অস্পষ্ট হয়ে থাকতো। ধন্যবাদ প্রিয় ফরিদুর রেজা সাগর ভাই।
আনন্দ আলো ৩০০ সেকেন্ড বিশেষ সংখ্যাটি আমার জীবনের। অনেক বড় প্রাপ্তি। এই প্রাপ্তির জন্য আমি কৃতজ্ঞতা জানাই সকল স্পন্সরদাতাদের প্রতি। বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যেভাবে আমাদের এই উদ্যোগের পাশে দাঁড়িয়েছেন, সাহায্য করেছেন তা সত্যি প্রেরনা দায়ক। অশেষ কৃতজ্ঞতা তাঁদের প্রতি। তাদের ভালোবাসার কাছে আমি ঋনী।
বিশেষ ধন্যবাদ, বিশিষ্ট শিশুসাহিত্যিক আমীরুল ইসলামকে কারণ তিনি হচ্ছেন চ্যানেল আইতে আমার যাবতীয় আবদারের সুপারিশকারী। আর কৃতজ্ঞতা ৩০০ সেকেন্ডের পরিচালক হিসাবে সেহাঙ্গল বিপ্লবের মতোন দূর্দান্ত একজন মানুষকে আমার সহযাত্রী হিসাবে নির্বাচিত করার জন্য।
ধন্যবাদ আনন্দ আলো’র সম্পাদক রেজানুর রহমানকে। সংখ্যাটি প্রকাশের ক্ষেত্রে তিনি সহ আনন্দ আলোর পরিবার প্রচুর শ্রম দিয়েছে।
ধন্যবাদ, চ্যানেল আই টীমের প্রতিটি সদস্যকে।
শাহরিয়ার নাজিম জয়
বি: দ্র: যে চ্যানেল আমি উপস্থাপনা করি সেই চ্যানেলে দেশের একজন বিশিষ্ট নাগরিক আছেন। তাঁর ছায়ায় থাকলে উপস্থাপনা ভালো হবেই। ধন্যবাদ শাইখ সিরাজ ভাই।
শাহরিয়ার নাজিম জয়
জুলাই ২০২০

  • ৩০০ সেকেন্ড