স্বর্ণালী সতেরতে চ্যানেল আই:সারাদেশ মেতেছিল উৎসব-আমেজে

আনন্দ আলো প্রতিবেদন: সারা দেশেই যেন উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছিল ১লা অক্টোবর। রং বেরঙের বেলুন, ফেস্টুন, আলোক সজ্জা, গানবাজনা, আর বাহারী রকমের আনন্দ বিনোদনে মেতে উঠেছিল দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলও। উপলক্ষ চ্যানেল আইএর জন্মদিন। মূল আয়োজন ছিল তেজগাঁওস্থ চ্যানেল আই চত্বরে। সকালের আলো ফুটতে না ফুটতে আমন্ত্রিত অতিথিরা চ্যানেল আই চত্বরে এসে উপস্থিত হন। হেমন্তের প্রাণবন্ত সকালে সবার হাসি মাখা মুখ আর উজ্জ্বল উপস্থিতিতে পরিবেশ হয়ে ওঠে অনন্য।  সবার প্রিয় চ্যানেল আই এবার সাফল্যের ১৬ বছর পার করে ১৭ বছরে পদার্পন করল। এ কারণে এবারের শ্লোগান ছিল স্বর্ণালী ১৭-তে চ্যানেল আই। উন্নয়নশীল বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের গঠনমূলক ও সৃজনশীল বিকাশের ইতিহাসে চ্যানেল আই-এর এই অগ্রযাত্রা উজ্জ্বল একটি দৃষ্টান্ত। ১৯৯৯ সালের
১লা অক্টোবর পথচলা শুরু হয় চ্যানেল আই-এর। হৃদয়ে বাংলাদেশ চেতনা নিয়ে পথ চলার সতের বছরে সৃজনশীলতা ও গৌরবের প্রশ্নে অনন্য ভ‚মিকা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে চ্যানেল আই। বরাবরের মতো এবারেও জন্মদিনের প্রথম লগ্নে রাত ১২টা ১ মিনিটে ১৭টি কেক কেটে জন্মদিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। অনুষ্ঠানে চ্যানেল আইয়ের পরিচালনা পর্ষদ, তাদের পরিবারের সদস্য, দেশের গণ্যমান্য ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে ছিলেন বেসরকারি বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান, তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক মন্ত্রী এম মোরশেদ খান, আব্দুল­াহ আল নোমান, আ স ম আব্দুর রব, ইকবাল হাসান মাহমুদ, মাহবুব উদ্দিন খোকন, কল্যান পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম (বীরবিক্রম), দৈনিক সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, দৈনিক মানবজমিন-এর প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, চ্যানেল আই-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ, পরিচালক জহির উদ্দিন মাহমুদ মামুন, মুকিত মজুমদার বাবু, বিজ্ঞাপনী সংস্থা মাত্রার ম্যানেজিং পার্টনার সানাউল আরেফিন, নারী উদ্যোক্তা কনা রেজা, চিত্রতারকা মৌসুমী, ওমর সানি, কণ্ঠশিল্পী রিজিয়া পারভিন, তপন
চৌধুরী, দিনাত জাহান মুন্নী, ইবরার টিপু এবং সেরাকণ্ঠ ও ক্ষুদে গানরাজ তারকারা।  ১লা অক্টোবর সকাল ১১টা ৫ মিনিটে বেলুন উড়িয়ে সারাদিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন চ্যানেল আই পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ, কবি, সাহিত্যিক, বিশিষ্ট শিল্পীরা। চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগরের স্বাগত বক্তব্যের পর শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ, পরিচালক মুকিত মজুমদার বাবু ও জহির উদ্দিন মাহমুদ মামুন, সব্যসাচি লেখক সৈয়দ শামসুল হক, সাংবাদিক কামাল লোহানী, ইকবাল সোবহান চৌধুরী, আলতাফ মাহমুদ,
চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব আমজাদ হোসেন, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, নাট্যব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান, নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, নজরুল গবেষক ড. রফিকুল ইসলাম, কবি কাজী রোজী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মাহবুব জামিল, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফরাসউদ্দিন আহমেদ, সাবেক ক্রিকেটার রকিবুল হাসান, মেজর জেনারেল (অব) সুবিদ আলী ভুঁইয়া এবং এনটিভি’র চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক আলী ও অনুষ্ঠান উপদেষ্টা মোস্তফা কামাল সৈয়দ এবং কণ্ঠশিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদি, আবদুল জব্বার, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, সুবর্ণা মুস্তফা ও ফেরদৌস আরা। উদ্বোধনের পর ‘চ্যানেল আই-এর আজ জন্মদিন’ গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করে একঝাঁক শিশুশিল্পী। এরপর দিনভর সংগীত পরিবেশন করেন– শফিমণ্ডল, শাহীন সামাদ, দিনাত জাহান মুন্নী, রোমানা ইসলাম, পলাশ, বাপ্পা মজুমদার, ব্যান্ডদল জলের গান, সেরাকণ্ঠের ঝিলিক, মেহেদী, রাফসান, ক্ষুদে গানরাজের প্রাপ্তি ও স্মরণ।  দিনব্যাপী ফুলেল শুভেচ্ছা নিয়ে উপস্থিত হন দেশের প্রতিটি শিল্প গ্র“প, কর্পোরেট হাউজ, দেশি-বিদেশি নানান প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি। এদের মধ্যে ছিলেনÐ এটিএন নিউজের পক্ষে সরকার ফিরোজ, মুন্নী সাহা, এটিএন বাংলার পক্ষে মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, চিত্রতারকা নূতন, কেয়া, ববি, অমৃতা খান, অভিনেতা নাদের চৌধুরী, সোহেল খান, ডিএ তায়েব, হিলে­াল, আলিফ, অভিনেত্রী নওশীন, কণ্ঠতারকা রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, শুভ্রদেব, আইয়ুব বাচ্চু, লোপা হোসাইন, বিশিষ্ট অভিনেত্রী আফরেজা বানু ও এমি রহমানসহ অনেকেই। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের শেষ সেশনে সন্ধ্যা ৭টায় আবারো ১৭টি কেক কাটেন রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, মন্ত্রীপরিষদ সদস্য, আমলা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। তাদের মধ্যে ছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মাদ এরশাদ, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা, ব্যারিস্টার আমীর-উল-ইসলাম, নিতাই রায় চৌধুরী, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ঢাকা বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সাবেক এমপি এসএ সুলতান, রশিদুজ্জামান মিল­াত, আন্দালিব রহমান পার্থ, নিলুফার ইয়াসমিন মনি, নাজমা রহমান, অপু উকিল, সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।  কেক কাটার পরপরই আতশবাজির ঝলকানিতে আলোকিত হয়ে ওঠে চ্যানেল আই-এর আকাশ। প্রথম প্রহর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উৎসবের বিভিন্ন অংশ উপস্থাপন করেন জিল­ুর রহমান, ফারজানা ব্রাউনিয়া, অপু মাহফুজ ও দিলরুবা সাথী। স্বর্ণালী সতেরো’র এই উৎসবটি চ্যানেল আই সরাসরি সম্প্রচার করে বাংলাদেশসহ ৫টি মহাদেশে।

আহ! কী অপরূপ!!

আহ! কী অপরূপ দৃশ্য। দেখেই সবার মন প্রাণ জুড়িয়ে গেল। ১লা অক্টোবর চ্যানেল আই-এর ১৭তম জন্মদিন উপলক্ষে সন্ধ্যায় কেককাটা অনুষ্ঠানে একে একে হাজির হলেন মন্ত্রীবর্গ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, কর্পোরেট তারকাসহ নগরীর বিশিষ্ট জনেরা। রাজনীতির মাঠে যারা প্রতিপক্ষ, বক্তৃতা বিবৃতির মাধ্যমে একে অপরকে সারাক্ষণ ধোলাই করেন, সচারাচর কেউ কারও ছায়াও মাড়ায় না তারাই হাতে হাত ধরে পাশাপাশি, কাছাকাছি দাঁড়িয়ে গেলেন চ্যানেল আই জন্মদিনের কেক কাটতে। চ্যানেল আই এর পর্দায় অনিন্দ্য সুন্দর এই দৃশ্য দেখে দেশ বিদেশ থেকে অসংখ্য দর্শক ফোনে আনন্দ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে থাকেন। সবার অভিন্ন বক্তব্য ছিল- আহ! কী অপরূপ দৃশ্য। আনন্দে চোখ জুড়িয়ে গেছে। দেশের প্রতিটি দিন যদি এমন মধুময় হতো! রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এভাবেই যদি প্রতিদিন হাতে হাত রেখে চলতেন তাহলে দেশটা বোধকরি আরও এগিয়ে যেত!

  • ইভেন্ট
Comments (০)
Add Comment