আমাদের রুনা লায়লা

আমার বয়স তখন ৬ বছর। বাসায় গান শিখি। আমাদের পুরো পরিবারেই তখন করাচিতে। বড় বোন দীনাও গান করে। ঢাকা ওল্ড বয়েজ এসোসিয়েশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেখানে দীনার গাইবার কথা। কিন্তু হঠাৎ দীনার গলা খারাপ হয়ে গেল। আয়োজকরা পড়লো বিপদে। ওরা আমাদের বাসায় এলে মা বললেন, দীনার বদলে না হয় রুনাই গান করুক। একথা শুনে আয়োজকরা পড়ে গেল মহা ফাপড়ে। রুনার মতো একটা পুচকে মেয়ে এতবড় অনুষ্ঠানে গান গাইতে পারবে? বাধ্য হয়ে রুনাকেই তারা মঞ্চে তুলল। তানপুরার চেয়েও ছোট দেখাচ্ছিল রুনাকে। কিন্তু গান গেয়ে ঝড় তুললেন রুনা লায়লা…

সংগীত জীবনের এমন গল্পই আনন্দ আলোকে বলেছিলেন তিনি। সেই থেকে রুনা লায়লা আনন্দ আলো পরিবারের অকৃত্রিম বন্ধু হয়ে উঠেছেন। তার সাক্ষাৎকার পড়ে নরসিংদী থেকে আনন্দ আলোর এক পাঠক চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন তিনি রুনা লায়লার গান শুনে দিনের কর্মকাÐ শুরু করেন। রুনার কণ্ঠে দেশের গান শুনলে তিনি আবেগ ধরে রাখতে পারেন না।

  • ফিচার