অভিনয়ের বাইরে সংসারই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ

-নুসরাত ইমরোজ তিশা

নুসরাত ইমরোজ তিশা। আমাদের শোবিজে বড়ই আদুরে একটি নাম। টিভি নাটকের প্রিয় অভিনেত্রী। তিশা যে নাটকে অভিনয় করেন সেটি দর্শক পছন্দ করবেনই একথা নিশ্চিত করে বলা যায়। কারণ তিশা নাটকে অভিনয় করেন না। তিনি নাটকের চরিত্রটিতে নিজেকে মিলিয়ে নেন। তিশার জায়গায় হয়ে যান নাটকেরই কোনো বিশেষ চরিত্র। তখন তিশাকে আর তিশা মনে হয় না। নাটকের চরিত্রটিকেই তখন বাস্তব মনে হয়। অভিনেত্রী তিশার এটাই বড় গুণ। এতো গেল তিশার ‘অভিনয়’ প্রসঙ্গ। অভিনয়ের বাইরে তিশার সংসার জীবন আছে। কেমন চলছে সেই জীবন? যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে। এই কথাটি কী তিশার জন্য প্রযোজ্য? ছোটপর্দার প্রিয় অভিনেত্রী তিশা এবার বড় পর্দায় বাণিজ্যিক ধারার ছবিতে অভিনয় করেছেন। তাও আবার দেশ সেরা চিত্র নায়ক শাকিব খানের সঙ্গে। এনিয়ে তিশার ভাবনার জগৎটা কেমন? তিশা কী ছোট পর্দাকে গুডবাই জানাচ্ছেন? সব প্রশ্নের জবাব মিলবে আনন্দ আলোর এই শীর্ষ কাহিনীতে। লিখেছেন সৈয়দ ইকবাল।

নাটক সিনেমায় তাঁকে নানান চরিত্রে দেখা যায়। কখনো কাজের মেয়ে, কখনো সুপারস্টার নায়িকা আবার কখনোবা সমাজের নির্যাতিত-নিপীড়িত মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। চলচ্চিত্রেও রয়েছে তাঁর দাপুটে অগ্রযাত্রা। বেশকিছু দর্শকনন্দিত সিনেমা তিনি উপহার দিয়েছেন। পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও। সম্প্রতি বাণিজ্যিক ধারার চলচ্চিত্রেও তাঁর ভক্তরা তাকে আবিষ্কার করেছেন।

হ্যাঁ, পাঠক- বিটিভির নতুন কুঁড়ি থেকে উঠে আসা এই দর্শকনন্দিত অভিনেত্রীর নাম নুসরাত ইমরোজ তিশা। অভিনয়ে নিজেকে প্রতিনিয়ত এক্সপেরিমেন্ট করতেই যিনি ভালোবাসেন। আর তাই তো প্রতিনিয়ত তাঁর ভক্তরা পাচ্ছেন নতুন নতুন সব চরিত্রে। আসছে ঈদেও একাধিক টিভি নাটকে তিশাকে দেখা যাবে বেশকিছু ভিন্নধর্মী চরিত্রে। আর ঈদের পর থেকে যৌথ প্রযোজনাসহ কয়েকটি ভিন্নধর্মী গল্পের ছবিতে তিশা অভিনয় করবেন।

আনন্দ আলো: এখনকার ব্যস্ততা নিয়ে বলবেন-

তিশা: ঈদের নাটকের শুটিং নিয়েই এখন বেশি ব্যস্ত। এবার ঈদে বেশ কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেছি। এর পাশাপাশি ছবির শুটিং নিয়েও ব্যস্ততা আছে। ঈদের পর যৌথ প্রযোজনার একটি ছবিতে অভিনয় করবো। যেটির পরিচালক অনন্য মামুন। এতে আমি আর কলকাতার সোহম অভিনয় করার কথা রয়েছে। আর তৌকীর ভাইয়ের (নির্মাতা তৌকীর আহমেদ) একটি ছবির শুটিং শুরু করবো। যেখানে আমি ও মোশাররফ ভাইসহ আরো কয়েকজন অভিনয়ের কথা রয়েছে। একটার পর একটা সিনেমার শিডিউল করা আছে। আর তো রয়েছেই কিছু নাটকের শুটিং।

আনন্দ আলো: গত ঈদে আপনাকে ‘মেন্টাল-দ্য রানা পাগলা’ নামের বাণিজ্যিক ধারার ছবিতে অভিনয় করতে দেখা গেছে। এর আগেও আপনি একই ধারার ‘অস্তিত্ব’ নামের একটি ছবিতে অভিনয় করেন। বাণিজ্যিক ধারার সিনেমায় অভিনয় প্রসঙ্গে আপনার অনুভূতি জানতে চাই।

তিশা: অভিনয়ের ক্ষেত্রে আমি আসলে সবসময় এক্সপেরিমেন্ট করতেই ভালোবাসি। নাটক, সিনেমার ভিন্ন ভিন্ন ধারার অভিনয় আমাকে খুব টানে। বলতে গেলে অভিনয়ে আকাঙক্ষার জায়গা থেকে কিংবা একজন অভিনয়শিল্পীর আকাঙক্ষার জায়গা থেকেই বাণিজ্যিক ধারার সিনেমায় অভিনয় করেছি। এর আগে দর্শক আমাকে এক ভাবে পেয়েছে। কিন্তু ‘মেন্টাল’ সিনেমায় সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে আবিষ্কার করেছে। আমি নিজেকে যাচাই করার সুযোগ পেয়েছি। যে কাজে নিজেকে ভাঙতে পারবো, এক্সপেরিমেন্ট করতে পারবো কিংবা ভিন্নভাবে নিজেকে উপস্থাপনের সুযোগ থাকবে সেই কাজ করতে আমার  ভালো লাগে। কারণ একজন অভিনয়শিল্পীর স্বপ্নটাই হচ্ছে- একটি ভালো ‘চরিত্র’। আমি তারই সন্ধানে থাকি সবসময়। আর দর্শকদের কথা যদি বলি- যারা আমাকে ভালোবাসেন, আমার কাজ ভালোবাসেন, তারা নিজেরাও চান- আমি যেন ভিন্নভাবে পর্দায় উপস্থিত হই। কারণ একটি ভিন্নতর কাজে যখন আমাকে দর্শকরা দেখতে পান- তখন তারা মনের অজানেৱই হয়তো বলেন- ‘ও তিশা…, ঠিক আছে দেখা যাক কেমন করে’। দর্শকদের ভালোবাসার জায়গা থেকে বিষয়টা উপলব্ধি করি সব সময়। তাই দর্শকদের সেই আশার জায়গাটাও আমি আমার অভিনয়ের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করি। তবে কতটুকু সক্ষম হই সেটা দর্শকই ভালো বলতে পারবেন। আরেকটা কথা না বললেই নয় তা হলো-আমার কাছে সব সিনেমাই সমান গুরুত্ব বহন করে। কারণ একজন অভিনেত্রী হিসেবে অভিনয় করাটাই আমার কাজ। তাই আমার সব ধরনের কাজ নিয়েই আমি সেটিসফাইড। আমার কাছে একজন সমালোচকের মন্তব্য গুরুত্বপূর্ণ। আমি সবসময় সামনের দিকে তাকাতেই বেশি ভালোবাসি। সামনে কী কাজ করি সেটা নিয়েই থাকতে চাই। তবে হ্যাঁ, অনেক সময় পেছনের কাজ দেখা হলে তখন সেটার মধ্যে কোথাও ভুল থাকলে ভবিষ্যতে তা শুধরে নেয়ার চেষ্টা করি।

আনন্দ আলো: আপনি টেলিভিশন মাধ্যমের একজন জনপ্রিয় তারকা। চলচ্চিত্রেও অভিনয় করছেন। দুই মাধ্যমকে ঘিরে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?

তিশা: আমি আসলে পরিকল্পনা মাফিক কোনো কাজ করি না। তবে যেটা করার সিদ্ধান্ত নেই তা করে ফেলি। শুধু তাই নয়- আমার কোনো সিদ্ধান্তই এখন পর্যন্ত নিজের কাছে ভুল মনে হয়নি। আমার অভিনয় জীবন, সংসার জীবন, পড়াশুনা এমনকি ভালো লাগা-মন্দ লাগা সবই আমার মনের মতো হয়ে আসছে। তাই পরিকল্পনা করে কী হবে? আমি মনে করি আল্লাহর রহমতে যা হবে ভালোই হবে। আমি কাজটাকে ভালোবাসি, সেটাই করে যেতে চাই। যে কাজটা আমার সামনে আসে-ব্যাটে বলে মিলে যায় আমি তা লুফে নেই। কেননা কাজটা আমার বিধায় তা আমার সামনে এসে ধরা দিয়েছে। আমি বিষয়টাকে এভাবেই দেখি। তাই এখন টিভি নাটকে যেমনি অভিনয় করছি তেমনি চলচ্চিত্রেও কাজ করছি। দর্শক আমাকে যতদিন ভালোবাসবে আমি ততদিন তাদের জন্য অভিনয় করে যাব। কারণ আমি অভিনয় করি দর্শকের জন্যই। তারমধ্যে নিজের ভালো লাগাটা তো অবশ্যই আছে। আমি ভালো কাজের মধ্যে থাকতে চাই। ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো চিনৱা নেই। শুধু একজন ভালো মানুষ হতে চাই, কারো কোনো ক্ষতি করতে চাই না।

আনন্দ আলো: শাকিব খান বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে একজন সুপারস্টার। তার সঙ্গে একটি ছবিতে অভিনয় করলেন। অভিজ্ঞতার কথা বলবেন-

তিশা: অভিজ্ঞতা তো অসাধারণ। তার সঙ্গে কাজ করে অন্যরকম ভালো লেগেছে। দেশের চলচ্চিত্রের একজন সুপারস্টার অথচ তার সঙ্গে অভিনয় করতে গিয়ে একটুও মনে হয়নি- ‘উনি সেরকম… উনি শাকিব খান’। আমার কাছে মনে হয়েছে খুবই সিম্পল একজন মানুষ। তাকে খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ এবং কো-অপারেটিভ একজন মানুষ মনে হয়েছে। আমার প্রথম বাণিজ্যিক ছবি হিসেবে তার কাছ থেকে সব ধরনের সহায়তা পেয়েছি। তবে সত্যি কথা বলতে কী- অভিনয়ের বাইরে তাকে জানার সুযোগ কম হয়েছে। কারণ আমাদের শুটিংয়ের ব্যস্ততার জন্য সেভাবে কথাবার্তা হয়নি। খুব অল্প সময়ের জন্য তার সঙ্গে কাজ হয়েছে। তবে যতটুকু বুঝেছি উনি ভেরি কেয়ারিং, ফ্রেন্ডলি ও ভেরি মাচ উইটি।

আনন্দ আলো: নাটকের অভিনয়শিল্পীদের ক্ষেত্রে দেখা যায় চলচ্চিত্রে কাজ করতে গেলে নানান ধরনের প্রতিবন্ধকতা… মন্তব্য… আপনার ক্ষেত্রে সে ধরনের কোনো সমস্যা মোকাবিলা করতে হয়েছে?

তিশা: একদমই না। আমি টিভি নাটকে যেমন সবার কাছ থেকে ওয়েলকাম পেয়েছি চলচ্চিত্রের বেলায়ও তাই হয়েছে। নাটকের জায়গায় একজন লাইটের ছেলে থেকে শুরু করে পরিচালক পর্যন্ত সবার যেমন ভালোবাসা পেয়েছি তেমনি চলচ্চিত্রের বেলায়ও তাই হয়েছে। ছবির পুরো ইউনিট আমাকে দারুণভাবে সহায়তা করেছে। তাই চলচ্চিত্রে কাজ করতে গিয়ে মনেই হয়নি আমি অন্য কোথাও কাজ করছি। আমার মনে হয়েছে ঘরেই কাজটা করছি।

আনন্দ আলো: পত্র-পত্রিকায় শাকিব খান আপনার অভিনয়ের ব্যাপারে অনেক ইতিবাচক মন্তব্য করে বলেছেন-‘তিশার নাটকের চাইতে চলচ্চিত্র নিয়ে বেশি ভাবা উচিত।’ এমনকি আপনাকে চলচ্চিত্রে নিয়মিত কাজ করার কথা বলেছেন। এই বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী?

তিশা: আমি শাকিব খানের প্রতি অসংখ্য কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জানাচ্ছি- এই ধরনের ইতিবাচক মন্তব্য করার জন্য। তার কথায় আমি বেশ উৎসাহ পাচ্ছি, পাশাপাশি সম্মানিত বোধ করছি। তবে আমি এই বিষয়ে এখুনি আর কিছু বলতে পারছি না। আমি আমার কাজটাকে নিয়েই থাকতে চাই এবং আমি কাজটাকেই ভালোবাসি। সেটা টিভি পর্দা কিংবা চলচ্চিত্র দুজায়গাতেই হতে পারে। আরেকটা বিষয় হচ্ছে- আমি আসলে এখনই কিছু বলবো না যে, ছোটপর্দা থেকে বিদায় নিয়ে শুধু চলচ্চিত্রেই কাজ করবো। এটা আসলে সময় বলে দিবে এবং দর্শকদের চাহিদা ও ভালোবাসার উপর সব নির্ভর করবে। সবেমাত্র বাণিজ্যিক ধারার দুটি ছবি মুক্তি পেয়েছে। একটি হলো ‘অস্তিত্ব’ এবং অন্যটি ‘মেন্টাল-দ্য রানা পাগলা’। দেখা যাক কী হয়!

আনন্দ আলো: বাণিজ্যিক ধারার চলচ্চিত্রে কাজ করার পর চলচ্চিত্রের সার্বিক অবস্থাটা কেমন মনে হচ্ছে?

তিশা: আসলে আমাদের পুরো মিডিয়ার অবস্থাই তো এখন অস্থির। আমি যেহেতু স্থির একজন মানুষ, তাই আমার কাছে সবকিছু স্থিরই মনে হচ্ছে। সবকিছু ভেঙে যায় গড়ার জন্য আবার সবকিছু গড়ে ভাঙারই জন্য। তাই ভাঙা আর গড়া তো থাকবেই। স্থির-অস্থির সময়গুলো নিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। স্বপ্ন দেখতে হবে এবং সেই স্বপ্ন অনুযায়ী কাজ করতে হবে। আর সবাই যদি মনে করেন এখনকার সময়টা স্থির তাহলে তা স্থির, আর সবাই যদি মনে করেন অস্থির তাহলে অস্থির। আসলে সবকিছু ইতিবাচকভাবে দেখলেই হয়। পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন সেটাকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখি। কারণ আমি ইতিবাচক একজন মানুষ। কোনো কিছুতে আমি নেতিবাচক চিনৱা করতে পারি না। সবকিছুরই ভালো দিকটা আগে দেখি।

আনন্দ আলো: এই সময়ে আমাদের টেলিভিশন নাটকের অবস্থা কেমন মনে হচ্ছে?

তিশা: ভালোই তো মনে হয় আমার কাছে। অনেককেই বলতে শুনি আমাদের- টিভি নাটক মানুষ দেখে না। তাহলে আমার প্রশ্ন হচ্ছে- এত এত নাটক তাহলে কাদের জন্য নির্মিত হচ্ছে? আর ইউটিউবে একেকটি নাটকের লাখ লাখ ভিউয়ারস আসে কোথা থেকে? এই যে ঈদের সময় এত এত নাটক নির্মিত হয় সেগুলো অবশ্যই দর্শকরা দেখে থাকেন। দর্শকরা তো ঠিকই আমাদের সঙ্গে কখনো দেখা হলে কিংবা শুভাকাঙিক্ষরা নাটকের নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেন। ভক্তরা এপ্রিসিয়েটও করে। তবে আমি এটা মানছি যে, দর্শক আগেকার মতো শুধু একটি জিনিস নিয়েই থাকে না। অর্থাৎ আগে যেমন বিটিভিতে একটি নাটক প্রচার হলেই হৈচৈ পড়ে যেত সেটা আসলে এখনকার সময়ে পাওয়া খুব মুশকিল। কারণ এখন দেশীয় চ্যানেল অনেকগুলো, বিদেশি চ্যানেল আছে, ইউটিউব আছে, সামাজিক যোগাযোগ সাইট আছে- মানুষের ব্যস্ততা বেড়েছে। সবমিলিয়ে আগের মতো দোকান-পাট বন্ধ করে দর্শক টিভি সেটের সামনে বসে না এটা সত্যি। তবে নানান মাধ্যমে দর্শক নিজেদের সময় বের করে ঠিকই আমাদের টেলিভিশন দেখে।

অনন্দ আলো: সংসার জীবন কেমন চলছে?

তিশা: আলহামদুলিল্লাহ। খুবই ভালো চলছে। দর্শক-শুভাকাঙক্ষী এবং ভক্তদের ভালোবাসায় আমাদের সংসার জীবনের ছয় বছর পার হয়েছে। সংসার জীবনে অনেক ভালো আছি। আমরা দুজনে যেহেতু ব্যস্ত, তাই মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই যোগাযোগটা হয়। মাঝে মাঝে মনে হয়- এই মোবাইল ফোন না থাকলে মনে হয় সংসারটাই টিকতো না (হাসতে হাসতে)। আসলে মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই আমরা পুরো সংসারটা হ্যান্ডেল করে থাকি। আমি শুটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকি, সরোয়ারও (নির্মাতা মোস্তফা সরোয়ার ফারুকি) তার কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে। ফলে অধিকাংশ সময় সংসারের নানান বিষয়ে সিদ্ধান্ত মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই নেয়া হয়। আসলে যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে। চাইলে সবকিছু গুছিয়ে, সংসারটা ঠিক রেখে একটি মেয়ে বাইরের কাজও করতে পারে। এজন্য তার দায়িত্বগুলো ঠিকমতো পালন করা জানতে হবে। আমি চেষ্টা করছি সংসারটা গুছিয়ে রেখে কাজটা করে যেতে। আমি খুব ঘর কুনো মানুষ। আমি কাজের বাইরে কারো সঙ্গে তেমন কোনো আড্ডায় থাকি না। খুব বেশি প্রোগ্রামেও যাওয়া হয় না। কাজ নিয়েই থাকি। তাই শুটিং যখন শেষ হয়ে যায়, তখন আমি দৌঁড়ে বাসায় ছুটে আসি। কেননা অভিনয়ের বাইরে আমার সংসারটাই সব। আমার তেমন কোনো বন্ধু-বান্ধবও নেই। স্কুল-কলেজ জীবনের কিছু বন্ধু আছে তাদের সঙ্গে ফোনেই বেশি যোগাযোগ হয়। আর মিডিয়ায় বন্ধুদের সঙ্গে হাই- হ্যালো হয়। অভিনয় ও সংসার জীবনে ভালো আছি, অনেক ভালো আছি…

  • প্রচ্ছদ মুখ
  • শীর্ষ কাহিনি
Comments (০)
Add Comment