সখিনার সুখ দুঃখ

ফকির আলমগীর

সখিনা আবহমান বাংলার প্রেমিকা ও বধূ। কারও কাছে দুঃখিনী পল্লীবালা আবার কারও কাছে আহ্লাদী বোন। কারও কাছে সে বন্যায় ভেসে যাওয়া বিক্ষুব্ধ চিৎকার। এই সখিনা কখনো রিকশাওয়ালার প্রিয়তমা স্ত্রী। কখনও কারখানার শ্রমজীবী নারী, কখনও বা ফুটপাতের ইটভাঙা শ্রমিক।

‘সখিনা’ আমার গানের একটি কালজয়ী চরিত্র। পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ধলেশ্বরী, সুরমা, খোয়াই, করতোয়া আর কীর্তনখোলা নদীর কূলে কূলে যে জনবসতি তা নিয়ে যুগ যুগ ধরে তৈরি হয়েছে পালাগান, কীর্তন, ভাটিয়ালী, ভাওয়াইয়া, মুর্শীদি মারফতী। চারণ কবিদের মুখে মুখে ফিরেছে সেসব সঙ্গীতের চেতনা।

আর সেই সব চারুণকবিদের সঙ্গীত ধারাকে ধারণ করে, লোকায়ত বাংলার কৃষি সংস্কৃতি তুলে ধরার লক্ষ্যে, বাংলার নদী ও নারীর সুরের মূর্ছনায় জাগিয়ে তুলতে আমি অবিরাম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। চিত্রনায়িকা মৌসুমীর আনৱরিকতা ও আবেগ আপ্লুত অভিব্যক্তি সখিনাকে আবারও নতুন করে প্রাণ দিয়েছে। প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ এর সুখ, দুঃখ, ব্যথা, বেদনা, বিরহ, মিলন, সংঘাত, অতৃপ্তি সবকিছু যেন ধরা পড়েছে ‘সখিনা’ নামক একটি শব্দে। সখিনা একটি প্রতীকী সত্তা, যার মাধ্যমে আমি একটি জনপদের জয়-পরাজয়, প্রেম, ভালোবাসা, সংগ্রাম, প্রতিবাদ, প্রতিরোধ, আশা, আকাঙক্ষা আর বিজয়কে প্রকাশ করতে চাই। তাই তো আমার সঙ্গীত ভুবনে পৃথিবীর সব দুঃখী নারী একটি নারী হিসেবে ধরা পড়ে, তার নাম ‘সখিনা’।

জীবিকার সন্ধানে শহরের আসা এক গ্রাম্য যুবক অনেক পেছনে ফেলে আসা পল্লী বালিকা সখিনার জন্যে হৃদয় মোহিত কথায় গান বেঁধেছে এবং শহরে পথে পথে মর্মস্পর্শী করুণ সুরে তা গেয়ে চলেছে। কর্মচঞ্চল শহর ও আড়ষ্ট গ্রামাঞ্চলের মাঝখানে শত যোজনের অনতিক্রম দূরত্ব। দু’ধারে বন্দি দুটি বিরহ মনের অননৱ বেদনার গাঁথা এই গানটি শুনে মনে পড়ে কবি শেলির কথায় ‘আওয়ার সুইটেস্ট সঙ আর দৌজ, দ্যাট টেল অব সেডেস্ট থটস।’ এই গানটির সুরেলা বিলাপ শুনে মনে পড়ে কবি নজরুলের ভাষায়, ‘কি সুর বাজতে চাহ গুণী। যত সুর আর্তনাদ হয়ে ওঠে শুনি।’ মনে পড়ে কবি কালিদাসের মেঘদূত কাব্যের কথা। অনেক বছর আগে বাংলাদেশ টেলিভিশনে এই গানটি শুনেছিলাম ও দেখেছিলাম। শতসহস্র পল্লীবালিকা সখিনাদের উদ্দেশে রচিত ও গীত এই ব্যথার গানটি শুনে ব্যথিত ও মুগ্ধ হয়েছিল। আজো অনৱরের গভীরে এর অনুরণ শুনতে পাই।

বলা হয়েছে, ‘জাজ ইজ ডেমোক্রেসি ইজ মিউজিক’। তাই যদি হয় তবে এরূপ পল্লীগীতি আমাদের সঙ্গীত জগতের গণতন্ত্র এবং আমার মতো গীতিকার গায়কেরা এই গণতন্ত্রের ধারক বাহক। কথাগুলো বিশেষ করে মনে এলো আমার প্রাণপ্রিয় প্রতিষ্ঠান ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীর পঁচিশ বছর পূর্তি উপলক্ষে রজতজয়নৱী উৎসব আয়োজনের শুভলগ্নে। আজকে প্রখ্যাত সাংবাদিক ওবায়েদ উল হক আমাদের মধ্যে বেঁচে নেই। কিন্তু বিরহী মনের অননৱ বেদনার গাথা ‘সখিনা’ গান আজও তেমিন জনপ্রিয়, তেমনি অমলিন। তাঁকে স্মরণ করি পরম শ্রদ্ধায় এবং ভালোবাসায়।

তবে সখিনার মূল রূপকার হচ্ছে ছড়াকার, গীতিকার, ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠীর সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক আলতাফ আলী হাসু। তিনিই প্রথম ‘আহারে কাল্লু মাতুব্বর’ এবং ‘ও সখিনা গেছস কিনা’ গান দুটি লিখে আমাকেই সুর করতে অনুরোধ করেন। কারণ আমার সুর করার উপরে তার অগাধ বিশ্বাস ছিল। হাসু বলতেন, আপনার নিজস্ব সুর করা গানে আপনি গাইতে পারেন, দর্শককে সহজেই স্পর্শ করতে পারেন। তারপর গান দুটি সুর করে বিভিন্ন মঞ্চে গাইতে থাকি। এরপর ১৯৮২ সালে বিটিভিতে ঈদুল ফিতরের জনপ্রিয় ‘আনন্দ মেলা’ অনুষ্ঠানে জুয়েল আইচ-এর আগ্রহ-উৎসাহ আমাকে অনুপ্রাণিত করে। যথাসময়ে টেলিভিশনের অডিটোরিয়ামের রেকর্ডিং স্টুডিওতে প্রায়াত সুরকার রাজা হোসেন খানের সঙ্গীত পরিচালনায় গানটি সফলভাবে অডিও রেকর্ড করা হয়। এরপর নওয়াজিশ আলী খান, জুয়েল আইচ ও প্রয়াত ক্যামেরাম্যান বাবুর সুন্দর পরিকল্পনায় গানটির চিত্র ধারন কাজ সম্পন্ন হয়। সেই প্রতিকূল সময়ে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার সীমাবদ্ধতার মধ্যেও ঢাকা শহরের বিভিন্ন লোকেশনসহ ঢাকার বাইরে গ্রামে গানটির দৃষ্টিনন্দন এবং চিত্তাকর্ষক বহির্দৃশ্য ধারণ করা হয়। এক্ষেত্রে গানের মডেল হিসেবে জনপ্রিয় উপস্থাপক ফজলে লোহানীর সহযোগী উপস্থাপিকা সুদর্শনা, শ্যামলা মেয়ে শাহরিন খালেদ লিটার উজ্জ্বল উপস্থিতি ও যথাযথ অভিব্যক্তি গানটিকে আরও মোহনীয় করে তোলে। তারপর আনন্দ মেলাসহ ফিলার হিসেবে বিটিভি গানটি প্রচার করে জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে যায়। গানটির কথা, সুর, ধারণ, চিত্রায়ণ, অভিনয় সব মিলে মানুষের মনপ্রাণ ছুয়ে যায়। এরপর মৌলিক গানের গীতিকাররাও ‘সখিনা’ বিষয়ক জীবনবাদী গান, লেখা শুরু করে, যেমন মনিরুজ্জামান মনির লিখলেন, ‘ও সখিনা দেইখা যা না আইসা আমারে’ কিংবা আল্লাহ মেঘ দে পানি দে কইমু না তো আর। নূরুজ্জামান শেখ লিখলেন কালজয়ী কিছু গান, যেমন ‘পার্বতীপুর স্টেশনে’, ‘সখিনা তোর বিয়ার খবর’, ‘মোর সখিনার কপালের টিপ’, ‘ঈদের সাজে সাজ কইরাছে সখিনার সংসার’ ইত্যাদি। আর এই সব সৃজনশীল গীতিকারদের সান্নিধ্যে অনুপ্রাণিত হয়ে আমি লিখলাম, ‘বাংলাদেশের শিখা অনির্বাণ ধিকি ধিকি জ্বলেরে কান্দে সখিনা বানুরে’ অথবা ‘চল সখিনা দুবাই যাব দ্যাশে বড় দুঃখরে’। গান দুটি প্রচারে বেশ আলোচনার ঝড় ওঠে, কারণ গান দুটিতে আমি মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরাঙ্গনা সখিনার আত্মত্যাগের কথা অন্যদিকে শ্রেণী শোষণে নিষ্পেষিত সখিনার  আর্তনাদের কথা সর্বোপরি দুর্ভিক্ষের কথা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

এ প্রসঙ্গে দেশের খ্যাতিমান নাট্যকার, অভিনেতা ও কলামিস্ট অধ্যাপক মমতাজ উদদীন আহমদ আশির দশকের শেষ দিকে আমাকে লেখা চিঠিতে সেই বেদনার সব কথাই উল্লেখ করেছেন এভাবে, ‘আপনি একজন ফকির। আপনার সাধনা বাংলাকে লইয়া শুরু হইয়াছে। আপনি এই দেশের সুর এই দেশের মাটি লইয়া, বট পাকুরে পাতা লইয়া, নদীর স্রোতের গতি লইয়া আন্দোলন শুরু করিয়াছে। ইহাতে আমার মনে খুব আনন্দ জাগিতেছে। আপনার সখিনার সঙ্গীত শুনিয়া আমি দিন রাত্রি চব্বিশ ঘন্টা কাঁদিয়াছি। এখনো কাঁদি। যতদিন বাঁচিবো ততদিন কাঁদিব। বাংলাদেশের মানুষ হইয়া বাংলার বেহুলা সখিনা ও রূপবানের দুঃখকে যদি বুঝিতে না পারিলাম তাহা হইলে আমি কিসের বাঙালি? অন্যদিকে দেশের প্রবীণ কবি প্রয়াত শামসুর রাহমানের স্বাধীনতা কবিতায়ও সখিনার কথা এসেছে এমনিভাবে ‘তুমি অসবে বলে…’

এছাড়া কারবালার সখিনা, ময়মনসিংহের গীতিকার বীরাঙ্গনা সখিনা কিংবা আমজাদ হোসেনের গোলাপী কিংবা সখিনার যুদ্ধ চলচ্চিত্রে সখিনার জীবন সংগ্রামের যে আলেখ্য আমরা খুঁজে পাই, তার মধ্য দিয়েই সখিনা চরিত্রটি প্রকৃত অর্থে কালজয়ী হয়েছে। আলতাফ আলী হাসু গানটি লিখলেও এর নেপথ্যে একটি কারণ ছিল, তা হচ্ছে আমি ১৯৮১ সালে একটি সাংস্কৃতির দলের সদস্য হিসেবে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ সফরে যাই। আমাদের দলনেতা ছিলেন তৎকালীন সংস্কৃতি সচিব প্রখ্যাত নাট্যকার শিল্পযোদ্ধা সাঈদ আহমদ। আমরা সেই যাত্রায় সুইডেন এবং ডেনমার্ক সফর করি। এই সফরের যাবতীয় আয়োজন সম্পন্ন করেছিলেন বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু ডেনমার্ক ও বাংলাদেশে মৈত্রী সমিতির সভাপতি ড. কার্ডেল। সংস্কৃতিমনা অত্যনৱ মজার একজন মানুষ ডা. কার্ডেল। আমাদের সফরকালীন আনন্দ-ফুর্তিতে ভরিয়ে দেন তিনি তার আত্মীয়তা এবং বন্ধুত্বের অনাবিল সৌহার্দ্যে। তিনি চমৎকার পিয়ানো বাজাতে পারতেন। অবসর সময়ে আমাদের পিয়ানোর মিষ্টি সুর শোনাতেন আর বলতেন এটি সখিনার মেলোডি।

এখানে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য নিঃসনৱান কার্ডেল দম্পতি ইতিপূর্বে বাংলাদেশের বরিশাল অঞ্চল থেকে সখিনা সাবরিন (সম্ভবত) নামের দুটি শিশুকন্যা দত্তক নিয়েছিলেন, ড. কার্ডেল দম্পতি প্রাণের চেয়েও তাদের মায়া করতেন। সাংস্কৃতিক সফরের সময়ে আমরা দেখেছি ড. কার্ডেল উঠতে-বসতে সখিনার কথা বলতেন এবং আমাদের তাঁর প্রিয় সখিনার মেলোডি পিয়ানোর মিষ্টি সুর বাজিয়ে শোনাতেন। আমার সফরসঙ্গী শাহনাজ রহমতুল্লাহ, নাদিরা বেগম, ইন্দ্রমোহন রাজবংশী, ফরিদা পারভীন, প্রখ্যাত নৃত্য পরিচালক জি.এ. মান্নানসহ একঝাঁক নৃত্যশিল্পী আমরা এই বিষয়টি বেশ উপভোগ করতাম। বিশেষ করে আমাদের দলনেতা নাট্যকার সাঈদ আহমদ তাঁর রসাত্মক বক্তব্য, সুন্দর উপস্থাপনা, হিউমার, ড. কার্ডেলের সঙ্গে হাস্যরসের এক যুগলবন্দি উপস্থাপনায় সারাক্ষণ আমাদের আনন্দ দিয়ে রাখতেন। এক সময় আমরা কোপেনহেগেনস্থ কার্ডেলের বাসভবনে আমন্ত্রিত হলে তার পারিবারিক পরিবেশ বেড়ে ওঠা বরিশালের দুটি মেয়েকে কাছ থেকে দেখি এবং ভাবতে থাকি তাদের ফেলে আসা জীবনের কথা। ক্ষুধা-দারিদ্র্য, অভাব আর অনটনের জন্যে কেমন করে তাদের বাবা-মা সমসৱ মায়ার বন্ধন ছিন্ন করে একটু সুখের কিংবা একটু উন্নত জীবনের প্রত্যাশায় চিরদিনের জন্যে দূরে ঠেলে দিল। এ যেন পর কাঁদানো পরবাসী। আমার সকল নিয়ে গেছে, আমাকে তার ভালোবাসার জ্বালা দিয়ে গেছে, বাউলের সেই বেদনার সুর আমাকে স্পর্শ করে। এই দহন জ্বালা আমাকে ভাবায়, কাঁদায়। তারই ধারাবাহিকতায় বানে ভাসা কিংবা মহাজনের শোষণ নিষ্পেষণে জর্জরিত সখিনাকে নিয়ে গান গাইতে শুরু করি। ১৯৮২ সালের আনন্দ মেলা অনুষ্ঠানে সখিনার সিরিজের গান প্রথম প্রচারিত হয় বিটিভি থেকে। এরপর ১৯৮৬ সালে ডেনমার্ক সফরে গেলে ড. কার্ডেল দম্পতির সঙ্গে আমার আবারও দেখা হয়, দেখা হয় তাদের সংস্কৃতির পরিবেশে বেড়ে ওঠা দুটি বাংলাদেশের মেয়ের সঙ্গে। ইতিমধ্যে কার্ডেল দম্পতি জেনে গেছে আমি সখিনাকে নিয়ে জনপ্রিয় গান গেয়েছি।

যাক সে প্রসঙ্গ, সখিনা বিষয়ভিত্তিক সমাজ সচেতন সঙ্গীতের ক্ষেত্রে এক নতুন মাত্রা যোগ করে। শুধুমাত্র গানের জন্য গান নয়, গান জীবনের জন্যও এই মন্ত্রটিকে বাসৱবে প্রমাণিত করে সখিনা বিষয়ক সঙ্গীত। তাই সখিনা সিরিজের গানগুলি জনমানসে এক অভূতপূর্ব সাড়া জাগায়। সিডর, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, দুর্যোগ, দুর্বিপাক, মহামারীর তাণ্ডবের সময় সখিনার গান মানুষের মনেপ্রাণে সহমর্মিতার আলো ছড়িয়ে দেয়।

তবে বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হয়, ডন টেড ইন্ডাস্ট্রিজের কথা, তারা সিরিজের গানগুলি যথাসময়ে অডিও অ্যালবামের মাধ্যমে দেশ-দেশানৱরে মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছে। এক্ষেত্রে ফিলিপস-এর তৎকালীন মার্কেটিং ম্যানেজার বন্ধু খালেদ-এর ভূমিকা স্মরণযোগ্য। এছাড়া বাংলাদেশ টেলিভিশন বারবার ফিলারের মাধ্যমে সখিনা সিরিজের গানগুলি প্রচার করে ব্যাপক আলোচনায় এনেছেন। সখিনা গানের চিত্রায়ণে বিভিন্ন সময়ে যারা মডেল হয়েছেন তারা হলেন- শাহরিন খালেদ রিটা, মিতালী ব্যানার্জি, শিরিন বকুল, শ্রাবনৱী, রোজী সিদ্দিকী, মনিরা এবং জনপ্রিয় অভিনত্রী মৌসুমী। চিত্রনায়িকা মৌসুমীর আনৱরিকতা ও আবেগাপ্লুত অভিব্যক্তি সখিনাকে নতুন করে প্রাণ দিয়েছে।

পরিেেশষে আমি উল্লেখ করতে চাই, সখিনা প্রতীকী সত্তার বিভিন্ন মেজাজে, বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে আমি আরও গান গাইতে চাই। যতদিন বাঁচব, ততদিন সখিনাকে নিয়ে আমি যুদ্ধ করে যাব। এ গানের যেন শেষ নেই। যতদিন শোষণ থাকবে, অত্যাচার, নিপীড়ন, বঞ্চনা থাকবে, ততদিন সখিনার গান শোষণ মুক্তির লড়াইয়ে সজাগ উচ্চারণে ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হবে।

  • ফিচার
Comments (০)
Add Comment