জাকীর হাসান: বৃটেনের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্যা টাইমস লিখেছে মাস্টার শেফ কুক আপ দ্যা ডিফারেন্ট অথেনটিক টেস্ট অব দ্যা ইস্ট। বৃটেনের আরেক জনপ্রিয় পত্রিকা ইভিনিং স্ট্যান্ডার্ড লিখেছে স্টার শেফ এইমস্ টু স্টায়ার এ রেভুলুশন ইন কারি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের পত্রপত্রিকা এমন অনেক প্রশংসা করেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মাস্টার শেফ হাজী মো: সুবরাত আলী সম্পর্কে। আর বাংলাদেশী পত্র পত্রিকা ইলেকট্রনিক মিডিয়া তাকে তুলে ধরেছে একজন গর্বিত বাংলাদেশী রন্ধন তারকা হিসেবে। আর করবেই না কেন তিনি যে তার শৈল্পিক রান্নার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে সারা বিশ্বের কাছে তুলে ধরেছেন অকৃত্রিমভাবে। বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পারিবারিক অনুষ্ঠানে রান্না করেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী, সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ ও সাবেক রাষ্ট্রপতি ডা: বদরুদ্দোজা চৌধুরীর পারিবারিক অনুষ্ঠানে রান্না করেছেন। শুধু তাই নয় তার হাতের রান্না খেয়ে প্রশংসা করেছেন বিদেশী অনেক রাষ্ট্র প্রধান, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দূতাবাস ও হাইকমিশনের দূত ও দেশি বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
আন্তর্জাতিক মাস্টার শেফ হাজী মো: সুবরাত আলী মিয়া তার অসাধারণ রান্নার জন্য দেশ বিদেশে অনেক প্রশংসা অর্জন করেছেন। তিনি অংশ নিয়েছেন বিদেশের অনেক নামীদামী রান্না বিষয়ক ফেস্টিভ্যালে। আন্তর্জাতিক মানের রান্না করে অনেক প্রশংসাপত্র পেয়েছেন তিনি। তার মধ্যে আছে বিবিসি নিউজ, তদানিন্তন হোটেল শাহাবাগ হোটেল থেকে পেয়েছেন শাহী কুকের সনদপত্র, লন্ডনে বাংলা টাউন রেস্টুরেন্টস এসোসিয়েসনের পক্ষ থেকে কারি ফেস্টিভ্যাল ২০০৩-এর সনদপত্র।
তিনি ব্যক্তি জীবনে ছিলেন একজন সজ্জন ও পরোপকারী মানুষ। সদা হাসিখুশি হাজী মো: সুবরাত আলী মিয়া লায়নস ক্লাবের একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন। এছাড়াও তিনি অনেক সামাজিক ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এতবড় মাপের একজন আন্তর্জাতিক শেফ হয়েও তার মধ্যে ছিলনা কোনো অহংকার। তিনি সর্বদাই ছিলেন সদালাপী মানুষ।
পেছন ফিরে দেখা: হাজী মো: সুবরাত আলী মিয়া দেশে ও বিদেশে রন্ধন শিল্পে অসাধারণ অবদানের জন্য শাহী কুক উপাধি অর্জন করেন এবং এই শিল্পে তিনি উপমহাদেশের এক কিংবদন্তি। তার জন্ম ১৯৩৫ সালে ঢাকা জেলার আরমানিটোলার চৌধুরী বাড়িতে।
কোথায় পাবো তারে: মাস্টার শেফ হাজী মো: সুবরাত আলী মিয়ার মৃত্যুর পর এই প্রতিষ্ঠানের হাল ধরেছেন তার সুযোগ্য পুত্র মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ (কায়সার)। তিনি এখন এই প্রতিষ্ঠানের সার্বিক দায়িত্ব পালন করছেন। অনেক ভোজন রসিক আছেন মাস্টার সেফ সুবরাত আলীর প্রতিষ্ঠান থেকে রান্না করে তার মেহমানদের আপ্যায়ন করতে চান। তাদের জন্য সুখবর হলো ঢাকায় মাস্টার শেফ সুবরাত আলী প্রতিষ্ঠানের দু’টি অফিস রয়েছে সেখানে যে কোনো সময় যোগাযোগ করতে পারেন। প্রথম অফিস শ্যামলী হাউজিং, প্লট নং ১২-১৪, রোড ৫/এ, সেক্টর-৫, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা। দ্বিতীয় অফিস ১৭১, দক্ষিণ বিশিল, মিরপুর-০১, ঢাকা-১২১৬। ফোন নম্বর, ৮৯১৬২২৩, ৮৯৫৯০১৮, ০১৭৪৭০৪৭৬৭১, ০১৭৪৭০৪৭৬৭২।
মাস্টার শেফ সুবরাত আলী প্রতিষ্ঠান শুধুমাত্র খাবার রান্না ও সরবরাহ করে থাকে। যে কোনো সময় যে কোনো উৎসবে ফোন করে এক্সক্লুসিভ দেশি বিদেশি খাবার অর্ডার দিতে পারবেন যে কেউ। এ প্রতিষ্ঠানে আছে অর্ধ শতাধিক প্রশিক্ষিত কর্মী যারা মানসম্পন্ন খাবার তৈরি ও যত্ন সহকারে সরবরাহ করে থাকেন। এখানে খাবার অর্ডার করলে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব গাড়িতে খাবার পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্হা করে থাকেন।
এই প্রতিষ্ঠানে কি কি সেবা পাবেন
প্রতিটি উৎসবে খাবার একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্ব। এই প্রতিষ্ঠান প্রতিটি উৎসবে প্রতিটি মানুষের রুচির কথা ভেবে মুখরোচক খাবার তৈরি থাকে। হোক ভেজিটেরিয়ান অথবা নন ভেজিটেরিয়ান। যে সব উৎসব বা অনুষ্ঠানে এই প্রতিষ্ঠান খাবার সরবরাহ করে তার মধ্যে আছে কর্পোরেট প্রোগ্রাম, বার্থ ডে সেলিব্রেসন, গেট-টুগেদার, লাঞ্চ অথবা ডিনার বক্স সরবরাহ। বিভিন্ন কনফারেন্স, বিভিন্ন প্রদর্শনী, ফেয়ার ওয়েল, ফ্যামিলি প্রোগ্রাম, বিয়ে বার্ষিকী, থিম বেজ পার্টি, পিকনিকসহ বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানে মানসম্পন্ন খাবার সরবরাহ করে থাকে মাস্টার শেফ সুবরাত আলী প্রতিষ্ঠান। তবে এই প্রতিষ্ঠানে খাবারের অর্ডার নেয়া হয় সর্বনিম্ন ২০ জনের। কোনোমতেই ২০ জনের নিচে কোনো খাবারের অর্ডার নেয়া হয় না।
কি কি খাবার পাওয়া যায়
মাস্টার শেফ সুবরাত আলী প্রতিষ্ঠানে খাবার অর্ডার দেয়ার আগে একনজর দেখে নিন এর প্যাকেজ মেন্যু। সেখান থেকে পছন্দের প্যাকেজ অর্ডার করুন। মূল খাবারের মোট ১৭টি প্যাকেজ আছে এই প্রতিষ্ঠানে প্রতিটি প্যাকেজে আছে ৬ থেকে ৯টি আইটেম।
মাস্টার শেফ সুবরাত আলী-এর যারা ক্লায়েন্ট
বাংলাদেশ আর্মি, বাংলাদেশ পুলিশ, মেঘনা গ্রুপ, টিম এসসিটি গ্রুপ, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, যমুনা গ্রুপ, রহিম আফরোজ, আইডিএলসি, ইমপ্রেস গ্রুপ, প্রাইম ব্যাংক লি:, আগ্রাবাদ এ্যাকম কনসোর্টিয়াম লি:, ট্রান্সকম বেভারেজ লি:, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিন্যান্স কোম্পানী লিমিটেড, এইচএসবিসি, সানটেক, বসুন্ধরা গ্রুপ, ইস্টার্ন ব্যাংক লি:, জি ফোর সিকিউরিটিজ লি:, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, লংকা বাংলা ফিন্যান্স, বার্ডস বাংলাদেশ এজেন্সি লি:, ডাচ বাংলা ব্যাংক লি:, পূর্বালী ব্যাংক লি:, ঢাকা ব্যাংক লি:, পলমল গ্রুপ, চ্যানেল আই, আকিজ গ্রুপ, সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ লি:, আফিল পেপার মিলস লি:, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক লি:, মেট্টো গ্রুপ, আজিজ গ্রুপ, এনার্জি প্যাক, সিটি ব্যাংক লি:, ইন্টারবিজ লি:, উত্তরা ব্যাংক লি:, আইএফআইসি ব্যাংক লি:, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিন্যান্স কোম্পানী লি:। এছাড়াও দেশের নামিদামী অনেক প্রতিষ্ঠান মাস্টারশেফ সুবরাত আলীর সম্মানিত ক্লায়েন্ট।
এই প্রতিষ্ঠানের কাজের পরিধি
এ প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য
এই প্রতিষ্ঠান তাদের প্রতিটি কাজ সৎভাবে করার চেষ্টা করে। সবসময় তারা মাথায় রাখে কিভাবে সম্মানিত ক্লায়েন্টদের আত্মতুষ্টি লাভ করা যায় খাবার এবং সেবা দিয়ে। তাদের সর্বশ্রেষ্ঠ চেষ্টা হচ্ছে পৃথিবীর সেরা প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা লাভের। রান্না একটা শিল্প। এই শিল্পকে সব দিক দিয়ে শ্রেষ্টত্ব অর্জনের চ্যালেঞ্জ নিয়েছে তাদের একঝাঁক অভিজ্ঞ কর্মী বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে। মাস্টার শেফ সুবরাত আলী প্রতিষ্ঠান তাদের সেরা কাজের মাধ্যমে সম্মানিত গ্রাহকদের খুশি ও সুখী করতে বদ্ধপরিকর।
ফুড কোয়ালিটি
মাস্টার শেফ সুবরাত আলী প্রতিষ্টান এখন একটি ব্র্যান্ড। প্রতিষ্ঠানটি সব সময় সেরা এবং টাটকা জিনিস ব্যবহার করে থাকে সব খাবার রান্নায়। এখানকার অভিজ্ঞ রন্ধন বিদরা খাবারের মান নিয়ন্ত্রনে বদ্ধপরিকর। রান্নার কাজে প্রতিটি আইটেমে দুই থেকে তিনটি ব্র্যান্ড নির্বাচন করা হয়। প্রতিটি রান্নার জন্য ব্র্যান্ড নির্বাচন করার দায়িত্ব পালন করেন অভিজ্ঞ কিচেন ম্যানেজমেন্ট।
ফুড পলিসি
মাস্টার শেফ সেবার উদ্দেশ্য একটাই গুণগত মান ও খাবারের সুরক্ষাকে সর্বোচ্চ স্হান প্রদান করা। দেশিয় সব ধরনের খাবার স্বাস্হ্য মন্ত্রণালয় এর নিয়মাবলী অনুসরণ করা হয়। সেই সঙ্গে আস্হা ও সার্বক্ষণিক নিয়ন্ত্রণ ও পরিদর্শন করা হয় খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্হা দ্বারা। সবসময় পরিচ্ছন্ন ও জীবানুমুক্ত কাজের পরিবেশ, রান্না ঘরের পরিবেশ, রান্নার উপাদানসমূহ এবং এর সাথে জড়িত সমস্ত জিনিসপত্র ও কর্মচারীগণ সবসময়, সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে থাকেন।
ফুড আইটেম
কাবাব আইটেম: জালি কাবাব, সামি কাবাব, টিক্কা কাবাব, নার্গিস কাবাব, শিক কাবাব, চিকেন টিক্কা/গ্রিল কাবাব, বিফ হান্ডি কাবাব, মাটন হান্ডি কাবাব, রোস্ট: ফুল রোস্ট আব ডাক, ফুল রোস্ট অব চিকেন, ফুল রোস্ট অব মাটন, ফুল রোস্ট অব ফিস, ফিস: ফিসফ্রাই, কুরাল ফ্রাই, রুই কুরাল, দোপিয়াজা/কুরমা প্রুন/লবষ্টার, প্রুন মালাইকারী, রুপচাঁদা ফ্রাই, ইলিশ ফ্রাই। , ভেজিটেবল: মিক্সড ভেজিটেবল, চিকেন ভেজিটেবল, প্রুন ভেজিটেবল, চাইনিস ভেজিটেবল, পরোটা/রুটি: শাহী পরোটা, খাস্তা পরোটা, প্লেইন পরোটা, স্পেশাল নান রুটি, ডাল: মুসুর ডালভুনা, মুগ ডালভূনা, উটের ডাল ভর্তা, ডিম: বয়েল্ড ডিম, ফ্রাইড ডিম ওমলেট, ডিম কোরমা।
ফুড আইটেম ও প্যাকেজ
সালাদ: পিছ সালাদ, মিক্সড সালাদ, রাইতা সালাদ, ফ্রুট সালাদ, স্পেশাল চাটনী: আলু বোখারা চাটনী, কিসমিস সুইট এন্ড সোর চাটনী, স্পেশাল বোরহানী: বোরহানী (স্পাইসি), বোরহানী (সুইট এন্ড সোর), ডেজার্ট: শাহী জরদা, শাহী ফিরনি, শাহী টুকরা, শাহী লওকী ফিরনি, এগ বাটার পুডিং, ফ্রুট কার্ষ্টাড,
বেভারেজ: সফট ডিংকস, শাহী শরবত, মিনারেল ওয়াটার, চা বা কফি, এক্সটা আইটেম: ফুসকা, চটপটি, ভাপা পিঠা, ফাষ্ট ফুড, রেশমী চাপাতি