এটাকে কী দুর্ভাগ্য বলব? নাকি সাংবাদিকতার চরম লজ্জা বলব? দেশসেরা একজন অভিনেতার ভুল মৃত্যু সংবাদ প্রচার করার মানে কী? আমাদের বাংলা সিনেমার জীবন্ত কিংবদন্তী অভিনেতা, চিত্র নায়ক আলমগীরের ভুল মৃত্যু সংবাদ প্রকাশ করেছে একটি অনলাইন মিডিয়া। এজন্য প্রিয় অভিনেতা আলমগীরের পরিবার পড়েছেন চরম বিড়ম্বনায়। আলমগীরের জীবন সঙ্গীনি বাংলা গানের জীবন্ত কিংবদন্তী শিল্পী রুনা লায়লা প্রচার মাধ্যমে ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। আলমগীরের আদুরে মেয়ে আঁখি আলমগীরকে প্রচার ম্যাধমে বলতে হয়েছে, ‘আব্বু ভালো আছে’। রুনা লায়লা বলেছেন, স্বাভাবিক ভাবে চলছে দৈনন্দিন কাজ কর্ম। পুরোপুরি সুস্থ তিনি। হঠাৎ করে সুস্থ সবল মানুষটাকে নিয়ে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ছড়িয়ে পড়ে মৃত্যুর গুজব। ক্ষুব্দ কণ্ঠে রুনা লায়লা বলেছেন, কী বলব ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। যিনি বা যারা এমনটা করছেন, এসব করে তারা কী ধরনের আনন্দ পান, তাও বুঝি না। এ ধরনের খবর ছড়ানোর পেছনে তাদের কী ধরনের রুচি বা উদ্দেশ্য কাজ করে, সেটাও মাথায় আসে না। আঁখি আলমগীর ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেছেন ‘আব্বু সুস্থ আছেন। দয়া করে অমানুষের মতো গুজব ছড়াবেন না। আপনারাও কোনো বাবা-মায়ের সন্তান। এত ঘৃন্য কাজ কিভাবে করতে পারেন?’
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারন সম্পাদক জায়েদ খান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, এটা খুবই নিম্নমানের কাজ। এক শ্রেণীর অন লাইন মিডিয়া প্রায়শই এভাবে জীবিত ব্যক্তির মৃত্যু সংবাদ ছড়ায়। আমরা শীঘ্রই এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব।
উল্লেখ্য, এর আগেও নায়ক আলমগীরকে নিয়ে এমন ভুল সংবাদ প্রচার করেছিল একটি অন লাইন মিডিয়া। প্রয়াত অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান, নায়ক রাজ রাজ্জাকও জীবদ্দশায় এমন ভুল সংবাদের শিরোনাম হয়েছিলেন। অভিজ্ঞ মহলের মতে, এ ধরনের ভুল সংবাদ পরিবেশনকারী অনলাইন মিডিয়ার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।