ক্যারিয়ারের জন্য প্রেম বিসর্জন

ফিফটি শেডস অব গ্রে সিনেমা দিয়ে রীতিমতো দর্শক হৃদয়ে তোলপাড় সৃষ্টি করেন হলিউড অভিনেত্রী ডাকোটা জনসন। এক সিনেমায় ডজন খানেক যৌন দৃশ্যে অভিনয় করে তিনি হয়ে ওঠেন হলিউডের নতুন সেক্সসিম্বল। পেয়ে যান বছরের সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রী হিসেবে পিপলস চয়েস অ্যাওয়ার্ড। এরপর একই সিরিজের ‘ফিফটি শেডস ডার্কার’, ‘ফিফটি শেডস ফ্রিড’ সিনেমাগুলোতেও দেখা গেছে ডাকোটার শরীরী আবেদন। এই তিনটি ছবি বানাতে খরচ হয়েছিল ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা। আর প্রযোজকদের মুখে চওড়া হাসি ফুটিয়ে তিনটি ছবি তুলে এনেছিল ১১ হাজার ২৫৪ কোটি টাকা। ‘ফিফটি শেডস’-এর এই ফিল্ম সিরিজ দিয়েই ক্যারিয়ারের মই বেয়ে তরতর করে ওপরে উঠেছেন ৩০ বছর বয়সী ডাকোটা জনসন। ২৫ বছর বয়সে বড় পর্দায় বিখ্যাত ‘আনা’ চরিত্রটি হয়ে ওঠার সুযোগ পান তিনি। আনা আর গ্রের প্রেম বড় পর্দার চিরন্তন প্রেমগুলোর একটি। এর আগেও একাধিক চরিত্রে অভিনয় করেছেন ডাকোটা। কিন্তু ‘সাহসী’ চরিত্র আনা দিয়ে যেভাবে সারা বিশে^ পরিচিতি পান, সেটা ক্যারিয়ারে এর আগে কখনো ঘটেনি। সেই সময় ডাকোটা মডেল ম্যাথিউ হিটের সঙ্গে প্রেম করছিলেন। ম্যাথিউ শুরুতে ডাকোটার এই চরিত্রে সায় দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি কল্পনাও করেননি এই ছবি রীতিমতো হইচই ফেলে দেবে সারা বিশ্বে। ২০১৫ সালে এই সিরিজের প্রথম ছবি মুক্তির পর ডাকোটা হলিউডের প্রথম শ্রেণির তারকা বনে যান। পর্দার গ্রে, অর্থাৎ জেমি ডর্নানের সঙ্গে তার প্রেমের গুজব রটে। এসবই ম্যাথিউসের জন্য নিরাপত্তাহীনতা আর মানসিক সংকট তৈরি করে। তিনি তখন তাকে অথবা আনা চরিত্রÑ এই দুইয়ের মধ্যে একটিকে বেছে নিতে বলেন ডাকোটাকে। সঙ্গে এও বলেন, ডাকোটার তারকাখ্যাতি, তাকে নিয়ে মিডিয়ার শোরগোল, জেমির সঙ্গে প্রেমের গুজবÑ এ সবই ম্যাথিউর রাতের ঘুম ও মনের শান্তি দুই-ই নষ্ট করে দিয়েছে। ডাকোটা এবার ম্যাথিউ ও ক্যারিয়ার, এই দুয়ের মধ্যে ক্যারিয়ারকে বেছে নেন। আর সেখানে চূড়ান্ত সফলতার দেখা পান। অবশ্য ‘আনা’ চরিত্রের জন্য তাকে দীর্ঘদিন মানসিক স্বাস্থ্যসেবাও নিতে হয়েছে। ২০১৭ সালের অক্টোবরে তিনি ব্রিটিশ সংগীতশিল্পী ক্রিস মার্টিনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্কের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেন। এখন পর্যন্ত তারা একসঙ্গেই আছেন।

  • বিদেশি বিনোদন