শহীদুজ্জামান সেলিমের বিরুদ্ধে লকডাউনে শুটিংয়ের অভিযোগ

ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা ও নাটকের শিল্পীদের সংগঠন শিল্পী সংঘের সভাপতি শহীদুজ্জামান সেলিমের বিরুদ্ধে লকডাউন ভেঙে শুটিং করার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের বিজ্ঞাপনে অংশ নিয়েছেন বলে অভিযোগের আঙুল উঠেছে এই অভিনেতার বিরুদ্ধে। মেহিদী মার্ট নামের এই ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের বিজ্ঞাপনটি ফেসবুকে প্রকাশ হতে না হতেই সমালোচনার ঝড় ওঠে। ভিডিওটিতে দেখা যায় তিনি বলছেন, ‘আমি এই দোকান থেকে সমস্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সংগ্রহ করি, আমার বাড়ির জন্য। উনারা ঈদের কিছু দ্রব্যাদি এখানে রেখেছেন। আসুন আমরা দেখি।’

এসব প্রশ্নবিদ্ধ ফুটেজের পর শেষের দিকে শ্রদ্ধেয় শহিদুজ্জামান সেলিমের মতো একজন দায়িত্বশীল অভিনেতা কিভাবে সামাজিক দুরত্ব বজায়ে রেখে ঈদ শপিং এর আমন্ত্রন জানান? এই সময়ে তো শুটিংয়ে বিষয় একদম নিষেধ৷ উনি অভিনয় শিল্পী সংগঠনের দায়িত্বশীল সভাপতি হয়ে কিভাবে এধরনের অপরিকল্পিত বিজ্ঞাপনে পার্ফমেন্স করেন? ওনার দেখাদেখি অন্যরাও যদি নেমে পড়ে তাহলে কি বলবেন? ব্যাপারটা কি ধরনের ফাজলামি?! আপনাদের কারনেই তো শিল্পীদের দুস্থ বলা হয়৷ এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরনের জবাবদিহিতা প্রয়োজন৷’ সেতুর মতো আরও অনেকে সমালোচনা করছেন এই ভিডিওটির কলাকুশলীদের নিয়ে।

ভিডিওটি নির্মাণ করেছেন সাখাওয়াত মানিক। এই ভিডিওতে আরও অংশ নিয়েছেন চিত্রনায়ক নিরব, আমান রেজা, ফখরুল বাশার মাসুম, নজরুল রাজ, নায়িকা শিরিন শিলা, অভিনেত্রী আইরিন আফ্রোজ, পারসা ইভানা, জাফ্রীন, জাফিয়া হক প্রমুখ। তরুণ নাট্য নির্মাতা সেতু আরিফ এই ভিডিওটি শেয়ার দিয়ে লিখেছেন, ‘ বুঝলাম যে মেহেদী মার্ট সামাজিক দুরত্ব বজায়ে রেখে ঈদ শপিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন৷ কিন্তু বিজ্ঞাপনে সে সামাজিক দূরত্বের শ্রী একদম স্পষ্ট৷ শিল্পীদের অনেকের হাতে কোনো প্রটেকশন নেই, গায়ে ঘেষে হাঁটছেন৷ খালি হাতে টাকা দিচ্ছেন!

এ বিষয়ে শহীদুজ্জামান সেলিম বলেন, ‘আমি বসুন্ধরায় থাকি। ওখানে বাজার করতে যাই। ওদের অনুরোধ রাখতে বাইটটা দিয়েছি। এটা কোন বিজ্ঞাপন না। ফেসবুকে ভিডিওর জন্য একটা বাইট দেয়ার কথা বলেছিল মেহেদী মার্টে। সেই সময় আমাদের অসহায় শিল্পীদের সহযোগীতার জন্য ওদের সঙ্গে কথা বলেছি। ওরা এই বিষয়ে কথা বলতে চেয়েছে। এটা কোন স্ক্রিপটিং করে করা হয়নি। আমি নিজের থেকে কথাগুলো বলেছি। একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য দোকান খোলা থাকবে আমি সতর্কতার সঙ্গে মানুষকে আসতে বলেছি। এটাকে কেনো বিজ্ঞাপন বলা হচ্ছে আমি জানি না।’

  • টিভি গাইড