যে দিকে তাকাই শুধুই মানুষ আর মানুষ!

বিশেষ প্রতিনিধি
বাংলা একাডেমির সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি। এপারে বইমেলা ওপারেও বইমেলা। মাঝখানে রাস্তা চলে গেছে। টিএসসি থেকে দোয়েল দ্বীপ পর্যন্ত রাস্তার দুই পার্শ্বে শুধুই মানুষের মুখ। নারী, পুরুষ, তরুণ, প্রবীনেরা দুই দিক থেকেই আসছেন দল বেধে। কেউ ঢুকে যাচ্ছেন বাংলা একাডেমির দিকে আবার কেউ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে। মেলার উভয় অংশের একাধিক প্রবেশ পথে লম্বা লাইন পরেছে। তবুও কারও চোখে-মুখে ক্লান্তি অথবা বিরক্তির ছাপ নাই। বরং নিয়ম মানার ব্যাপারে সকলেই অত্যন্ত আন্তরিক। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে বইমেলায় ঢুকতে পারাতেই যেন আনন্দ।
গতকাল শুক্রবার ছিল সাপ্তাহিক ছুটির দিন। মহান একুশে ফেব্রæয়ারি উপলক্ষে আগের দিনও সরকারী ছুটি ছিল। আজও সাপ্তাহিক ছুটির দিন। ফলে এবার একুশে বইমেলা এক নাগারে ৩দিন সরকারী ছুটির দিন পেয়েছে। সঙ্গত কারনেই ক্রেতা-দর্শকের ভীড়ও বেড়েছে বইমেলায়। গতকাল সারাদিনে মেলায় বিপুল সংখ্যক ক্রেতা-দর্শকের উপস্থিতি ছিল। আশা করা যায় আজও (শনিবার) বইমেলায় ক্রেতাদের ভীড় বাড়বে। প্রকাশকরা জানালেন, গত দুই দিনে বইমেলায় যারা এসেছেন তাদের মধ্যে বইয়ের ক্রেতার সংখ্যাই ছিল বেশী। বিভিন্ন স্টল ও প্যাভিলিয়নে ভীড় করে ক্রেতারা বই কিনছেন। জনপ্রিয় কবি লেখকদের মধ্যে অনেকেই গতকাল বইমেলায় এসেছিলেন। জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক মুহম্মদ জাফর ইকবাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যাণের মেলা মাঠে আসার সাথে সাথেই তাঁর ভক্ত পাঠকেরা ঘিরে ধরে। সবার হাতে ছিল লেখকের নতুন প্রকাশিত কোনো না কোনো বই। সবারই আকুতি ছিল ‘স্যার একটি অটোগ্রাফ চাই’। গতকাল লেখক বলছি অনুষ্ঠান বেশ জমেছিল। নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন মঞ্চে ভীড় ছিল বেশী।

  • বইমেলা প্রতিদিন