৪০ বছর আমরা সুখে দুঃখে কাটিয়েছি

জেমস
দেশের ব্যান্ড সংগীতের কিংবদন্তি গায়ক ও গিটার বাদক আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুতে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন আরেক জনপ্রিয় রকস্টার জেমস। নগরবাউলের এই গায়ক আইয়ুব বাচ্চুকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করে বলেন, তিনি বাংলা সংগীতের কিংবদন্তি।
আইয়ুব বাচ্চুকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করে উপমহাদেশের বিখ্যাত এই রকস্টার বলেন, ১৯৮০ সালের শুরুর দিকে আমাদের পরিচয়। এরপর দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর আমরা একে অপরের সুখে-দুঃখে, মানে-অভিমানে কাটিয়েছি। একসঙ্গে প্রচুর শো করেছি, গান করেছি, দেশ-বিদেশে ঘুরেছি। উনি হঠাৎ এভাবে আমাদের সবাইকে ছেড়ে চলে যাবেন- খবরটা শুনে মানতে পারছি না।
জেমস মনে করেন, ‘রক সংগীত’-এ আইয়ুব বাচ্চুর যে অবদান সেটা এই জাতি চিরদিন মনে রাখবে বলেই বিশ্বাস করি।’
জেমস আরও বলেন, উনি অত্যন্ত উদার মনের মানুষ ছিলেন। প্রচÐ রসাত্মবোধ ছিল তাঁর মধ্যে। ওনার সাথে আমার যে সম্পর্কটা সেটা আসলে বলে বোঝানো যাবে না। বিভিন্ন সময়ে কারণে-অকারণে আমরা একজন আরেকজনের পাশে সবসময় ছিলাম। সম্পর্কের এই গভীরতার কথা কখনও বোঝাতে পারবো না। কেউ হয়তো জানবেও না আমাদের হৃদয়ে একে অপরের প্রতি কতটা জায়গা ছিল।
জেমস বলেন, মিডিয়া আমাদের সম্পর্কের বিচার কীভাবে করছে সেটা নিয়ে মাথা ব্যথা নেই। তবে আমি মনে করি আমাদের মধ্যে একটা সুস্থ প্রতিযোগিতা ছিল। এটা ভালো গান তৈরির প্রতিযোগিতা। এখানে ব্যক্তিগত কোনও জেলাসি ছিলো না। আপনারা হয়তো অনেকেই দেখেছেন, আমাদের যখন যেখানে দেখা হয়েছে চারপাশ অগ্রাহ্য করে একে অপরকে জড়িয়ে ধরেছি পরম ভালোবাসায়। আড্ডায় মেতেছি। এসব টান কিংবা হিডেন সম্পর্কের বিষয়গুলো ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। করতেও চাই না।
জেমস আর বললেন, ‘আমি এখন বরগুনায় আছি। এটা আমার জন্য দুর্ভাগ্যজনক। ঢাকায় থাকলে ছুটে যেতে পারতাম। বরগুনা স্টেডিয়ামে আজ সন্ধ্যায় একটি রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে গাইতে হচ্ছে। আমি খবরটি পেয়েই মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের (আসাদুজ্জামান নূর) সঙ্গে কথা বলেছি। সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আজকের কনসার্টটি উনাকে (আইয়ুব বাচ্চু) ডেডিকেটেড করে করবো। কতটা প্রাণখুলে গাইতে পারবো জানি না।’

  • মুখোমুখি
  • শীর্ষ কাহিনি