আমার নামটা যেনো ব্র্যান্ড হয়

২০০৮ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার আসরে প্রথম রানার্স আপ হোন সৈয়দা তাজ্জি। প্রতিযোগিতা থেকে বের হয়ে বেশকিছু দর্শকনন্দিত নাটক-টেলিফিল্ম তিনি দর্শকদের উপহার দেন। কয়েক বছরের মাথায় তিনি বিয়ে করে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমান। এখন সেখানেই নিয়মিত থাকেন। তবে দেশে আসেন প্রতিবছরই। তিন মাসের জন্য দেশে এলেই অভিনয় করেন নাটক-টেলিফিল্মে। এবার অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আগে তিনি কথা বলেছেন আনন্দ আলোর সঙ্গে
আনন্দ আলো: এবার দেশে এসে কি কি কাজ করলেন?
তাজ্জি: এবার অনেকগুলো কাজের প্ল্যান করে এসেছিলাম। কিন্তু আমার মেয়েটা অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় অনেক ভালো কাজের অফার পাওয়ার পরও করতে পারিনি। এটার জন্য সত্যিই আমি দুঃখিত। অনেক ভালো ভালো নির্মাতার ভালো কিছু কাজের প্রস্তাব পেয়েছিলাম। তিন মাসের মধ্যে দুই মাসেরও বেশি সময় মেয়ের অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতাল আর বাসায় দৌঁড়াদৌঁড়ি করতে হয়েছে। এরপরও সাগর জাহান ভাইয়ের নির্দেশনায় একটি নাটকে অভিনয় করেছি এবং কিছু পত্রিকায় ফটোশ্যুট করেছি।
আনন্দ আলো: অস্ট্রেলিয়ায় আপনার ব্যস্ততা কি নিয়ে?
তাজ্জি: অস্ট্রেলিয়ায় আমি পোস্ট গ্রাজুয়েট এবং জব নিয়ে ব্যস্ত থাকি। সিডনীর ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতে মার্কেটিংয়ে পোস্ট গ্রাজুয়েট করছি। আপাতত পড়ালেখা কমপ্লিট করতে চাই। যদিও বাচ্চা এবং সংসার সামলিয়ে এটা খুব কঠিন। তারপরও করে যাচ্ছি।
আনন্দ আলো: বাংলাদেশের মিডিয়ায় কাজ করাটা মিস করেন না?
তাজ্জি: অনেক মিস করি। আমার প্যাশন এর জায়গা হচ্ছে এটা। তাই তো দেশে এলেই কিছু না কিছু নাটক-টেলিফিল্মে অভিনয় করি। তাছাড়া অস্ট্রেলিয়াতেও কিছু নাটকের শুটিং হয়েছিল, যেগুলোতে আমি অভিনয় করেছি।
আনন্দ আলো: নিজের ভবিষ্যত পরিকল্পনা বলবেন-
তাজ্জি: এমনকিছু কাজ করতে চাই যেগুলো আমাকে মানুষের মাঝে হাজার হাজার বছর বাঁচিয়ে রাখবে। আমি চাই আমার নামটা যেনো একটা ব্র্যান্ড হয়। সেটা শুধু মিডিয়ায় কাজ করে নয়। এই সমাজ এবং সমাজের মানুষের জন্য কিছু করে যাওয়ার ইচ্ছা আছে আমার। আর এজন্যই আমি মিডিয়ার পাশাপাশি অন্যান্য কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত হই।

  • টিভি গাইড