অভিনেত্রী নাদিয়া আহমেদ। দুই দশক ধরে নাচ, মডেলিং আর অভিনয় দিয়ে তিনি দর্শকদের হৃদয় জয় করে চলেছেন। সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে কথা হলো তার সঙ্গে-
আনন্দ আলো: বর্তমান ব্যস্ততা কী নিয়ে?
নাদিয়া আহমেদ: বর্তমানে আমি অভিনয় নিয়েই বেশি ব্যস্ত সময় পার করছি। বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচার চলতি প্রায় এক ডজন ধারাবাহিকে অভিনয় করছি। পাশাপাশি নাচের স্কুল ‘নৃত্যকথা’ ও শো নিয়ে ব্যস্ততা রয়েছে। এর বাইরে সংসারের ব্যস্ততা তো রয়েছেই।
আনন্দ আলো: প্রচার চলতি ধারাবাহিকগুলো কি কি?
নাদিয়া আহমেদ: চ্যানেল নাইনে প্রচার হচ্ছে ‘বহে সমান্তরাল’, একুশে টিভিতে ‘ভবঘুরে’, এনটিভিতে ‘গল্পগুলো আমাদের’, আরটিভিতে ‘ক্যাট হাউস’ ও ‘চম্পাকলি টকিজ’, বাংলাভিশনে ‘বিড়ম্বনা’, এশিয়ান টিভিতে ‘সালিশ মানি তালগাছটা আমার’ ও দেশ টিভিতে ‘ফ্যামিলি ফ্যান্টাসি’সহ আরো কিছু নাটক। আর প্রচারের অপেক্ষায় রয়েছে ‘উল্টো পথে উল্টো রথে’, ‘সবজান্তা শমসের’ ও ‘চম্পাকলি’ ধারাবাহিকগুলো।
আনন্দ আলো: এতগুলো ধারাবাহিকে কাজ করছে, সিডিউল মিলান কীভাবে?
নাদিয়া আহমেদ: এতগুলো ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করলেও আমার সিডিউল নিয়ে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। কারণ বর্তমানে আমি শুধু ধারাবাহিক নাটকই করছি। প্রতি মাসে একেকটি ধারাবাহিক নাটকের জন্য দুই থেকে তিন দিন সিডিউল দিতে হয়। তাই অনায়াসে এক ডজন ধারাবাহিক নাটক করা যায়। তাছাড়া আমি অভিনয়কে ভালোবাসি। তাই প্রতিদিন নিত্যনতুন চরিত্রে অভিনয় করতে আমার ভালো লাগে।
আনন্দ আলো: খÐ নাটকে কাজ করছেন না?
নাদিয়া আহমেদ: ধারাবাহিক নাটকের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকার ফলে ইচ্ছা থাকা সত্তে¡ও খÐ নাটকের জন্য সময় বের করতে পারছি না। তাছাড়া বিশেষ দিবসের বাইরে খÐ নাটক নির্মাণের সংখ্যাও কম।
সেরা আমি সঙ্গে মা
জমকালো আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো আরটিভির ‘সেরা আমি সঙ্গে মা সিজন ৪’ এর গ্র্যান্ড ফিনালে। এবারের আসরের বিজয়ী হয়েছেন সিফাতুল ইসলাম ও তার মা ফরিদা ইয়াসমিন। প্রথম রানারআপ হন আরিয়ানা ও শামীমা, দ্বিতীয় রানারআপ হন সুলতান আল আমিন জিসান ও জেফরিন আক্তার। এছাড়া চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেয়া রঙিন ও তার মা রুমার হাতে শুভেচ্ছা পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
সম্প্রতি নগরীর এক পাঁচতারকা হোটেলে জনপ্রিয় তারকাদের নাচ, গান আর বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের উপিস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় ‘বেঙ্গল সেরা আমি সঙ্গে মা’ সিজন ৪ এর গ্র্যান্ড ফিনালে। এই প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেন ৪ মা ও তার সন্তান। অনুষ্ঠানের শেষ ভাগে ঘোষণা করা হয় এবারের বিজয়ীদের নাম। প্রতিযোগিতার বিচারক হিসেবে ছিলেন অভিনয়শিল্পী মুনীরা ইউসুফ মেমী ও নৃত্য ব্যক্তিত্ব মুনমুন আহমেদ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আরটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান। তিনি বলেন, ‘চতুর্থবারের মতো আরটিভি এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করছে। আমরা অনুপ্রাণিত হয়, যখন দেখি অনুষ্ঠানটির জনপ্রিয়তা বাড়ছে। পর পর দুইবার ইউনিসেফ কর্তৃক প্রদত্ত মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে এই অনুষ্ঠানটি। আমাদের কৃতজ্ঞতা দর্শকের কাছে, যারা আমাদের অনুপ্রেরণা দিয়ে যাচ্ছেন এ ধরনের অনুষ্ঠান করতে।’ প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, ‘আরটিভির অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সময় আমি এসেছি, দেখেছি তাদের সব অনুষ্ঠানেই কিছু শিক্ষণীয় বার্তা থাকে। আপনাদেরকে ধন্যবাদ, আপনারা আমাদের কৃষ্টি-সংস্কৃতিকে তুলে ধরছেন।’