এই ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার পাব ভাবিনি

নাটক ও চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু। এ বছর শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রের জন্য ২০১৬ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। অভিনয় ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কথা হলো তার সঙ্গে-
আনন্দ আলো: জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভ‚ষিত হয়ে কেমন লাগছে?
ফজলুর রহমান বাবু: পুরস্কারপ্রাপ্তির অনুভ‚তি সব সময় আনন্দের। আর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দেশের সর্বোচ্চ পুরস্কার এটি প্রাপ্তির অনুভ‚তিটা সব শিল্পীর জন্যই দ্বিগুণ ভালো লাগার। আমারও অনেক ভালো লাগছে। এ জন্য পৃষ্ঠপোষক ও দর্শকদের অসংখ্য ধন্যবাদ। তাদের জন্যই আজ আমি অভিনেতা হিসেবে এ পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হয়েছি।
আনন্দ আলো: পুরস্কারটি কী প্রত্যাশা করেছিলেন?
ফজলুর রহমান বাবু: তৌকির আহমেদের ‘অজ্ঞাতনামা’ ছবির জন্য প্রত্যাশা করেছিলাম। কিন্তু পুরস্কার পেয়েছি ‘মেয়েটি এখন কোথায় যাবে’ চলচ্চিত্রের জন্য। এ ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার পাব তা কখনো ভাবিনি। আমার বড় একটা আক্ষেপ, ‘অজ্ঞাতনামা’ ছবিটির জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেলাম না। কারণ ‘অজ্ঞাতনামা’ ছবিতে আমার অভিনয় দারুণ প্রশংসিত হয়।
আনন্দ আলো: এখন কোন কোন ছবিতে কাজ করছেন?
ফজলুর রহমান বাবু: আশীষ রায় পরিচালিত কলকাতার ‘সিতারা’ ছবিতে কাজ করে এসেছি। চমৎকার গল্পের একটি ছবি। ভারতীয় অভিনেত্রী রাইমা সেনের স্বামীর চরিত্রে অভিনয় করেছি। ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে তৌকির আহমেদের ‘ফাগুন হাওয়া’ ছবিতে কাজ করছি। ‘পোড়ামন-২’ মুক্তির অপেক্ষায়। সম্প্রতি মুক্তি পেল গিয়াস উদ্দীন সেলিমের ‘স্বপ্নজাল’। এ ছাড়াও নতুন নতুন চলচ্চিত্রে কাজের প্রস্তাব আসছে।
আনন্দ আলো: আর নাটকের কী খবর?
ফজলুর রহমান বাবু: বেশকিছু খÐ ও ধারাবাহিক নাটকের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত আছি। আমার অভিনীত বেশকিছু ধারাবাহিক বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচার হচ্ছে। সেগুলোতে নিয়মিত অভিনয় করতে হয়।

আনিসুল হকের এক লক্ষ লাইক

ভিন্ন ধারার গল্প নিয়ে চ্যানেল আইতে শুরু হয়েছে আনিসুল হকের লেখা ধারাবাহিক ‘এক লক্ষ লাইক’। পরিচালনা করেছেন হিমেল আশরাফ। অভিনয়ে আফরান নিশো, সখ, সামিয়া, ফারুখ আহমেদ, নরেশ ভুঁইয়া, শিল্পী সরকার অপু, মাসুম বাসার, মিলি বাসার, ডিকন নূর, মনিরা মিঠু, আব্দুল্লাহ রানা, মহসিন আহমেদ, কায়েস চৌধুরী, হিন্দোল রায় প্রমুখ। ধারাবাহিকটি চ্যানেল আইতে প্রচার হচ্ছে সপ্তাহের প্রতি মঙ্গল ও বুধবার রাত ৯.৩৫ মিনিটে। নাটকের গল্পে দেখা যাবে- আমাদের চারপাশে ঘটে যাচ্ছে নানান ঘটনা, কিছু ভালো, কিছু খারাপ। আমরা বেশির ভাগ মানুষই অন্যায় দেখে চুপ করে থাকি, এড়িয়ে যাই, সহ্য করি। কিন্তু সবাই তা নয়, কেউ কেউ আছেন যারা ¯্রােতের উল্টো দিকে হাঁটেন, যারা অন্যায়ের প্রতিবাদ করেন, নির্যাতিতর পাশে গিয়ে দাঁড়ান। ‘এক লক্ষ লাইক’ তেমনি এক মানুষের গল্প। ইমতিয়াজ টিপু, যার সংক্ষেপে নাম ইটি, যিনি তার জীবন উৎসর্গ করেছেন মানুষের সেবায়, অন্যায়ের প্রতিবাদে। আমাদের এই নাটকের মূল লক্ষ সমাজে এরকম আরো হাজার হাজার ইটি তৈরি করতে উদ্বুদ্ধ করা। আমরা সবাই মিলে যেদিন অন্যায়ের প্রতিবাদ করবো সেদিন থেকেই সমাজ বদলে যেতে শুরু করবে, খারাপগুলো পালিয়ে যাবে। ইটি সেই দিনের স্বপ্ন দেখে, আমরা সেইদিনের স্বপ্ন দেখি।

এই সময়ে মিথিলার ব্যস্ততা

এবারই প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন ছোট পর্দার অন্যতম জনপ্রিয় তারকা রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। এর নাম ‘মুখোমুখি’। এটি পরিচালনা করেছেন পার্থ সেন। এ প্রসঙ্গে মিথিলা বলেন, ‘এ ছবিতে আমি ঢাকার একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা। শুটিং করতে কলকাতায় গিয়ে রাস্তা হারিয়ে ফেলি। তখন একজন ফটোগ্রাফারের সঙ্গে পরিচয় হয়। সে আমাকে সহযোগিতা করে। একসময় আমাদের বন্ধুত্ব হয়। আমি ঢাকায় ফিরে আসি। তাই আমাদের যোগাযোগ থেমে যায়। অনেক দিন পর আবার আমাদের দেখা হয়। এর মধ্যে অনেক ঘটনা ঘটে যায়। ছবির শুটিং হয়েছে কলকাতার নিউমার্কেট, সাউদার্ন অ্যাভিনিউ, গলফ গার্ডেনসহ বিভিন্ন জায়গায়। ছোটবেলা থেকে কলকাতা আমার ভালোবাসার শহর। এই ভালোবাসা তৈরি হয়েছে বই পড়ে আর গান শুনে। এবারই প্রথম ভালোবাসার শহরে গিয়েছি। সবচেয়ে ভালো লেগেছে কলকাতায় আমার ভক্ত আছে, যা জানা ছিল না।’
এদিকে, বর্তমানে মিথিলাকে অভিনয়ে একেবারেই কম দেখা যাচ্ছে। কারণ তিনি অভিনয়ের চেয়ে সন্তান এবং পেশাগত কাজেই বেশি ব্যস্ত রয়েছেন। তবে স¤প্রতি রেডিও স্বাধীন ৯২.৪ এফএমে একটি অনুষ্ঠান শুরু করেছেন মিথিলা। এর নাম ‘বেড়ে ওঠার গল্প’। তিনি আরও বলেন, ‘আমি ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের ‘আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট’ বিভাগের প্রধান। শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ নিয়ে আমার কাজ। এ ছাড়া ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার দ্বিতীয় মাস্টার্সের বিষয়ও ছিল ‘আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট’। আফ্রিকার উগান্ডা, তানজানিয়া আর লাইবেরিয়াতেও আমাদের ‘শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ’-এর প্রোজেক্ট আছে। আমাকে সেসব দেশে প্রায়ই যেতে হয়।’

  • টিভি গাইড