আনন্দ সংবাদ। ২০০৬ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘোষনা করা হয়েছে। ২৬টি শাখায় শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন আয়নাবাজি খ্যাত তারকা চঞ্চল চৌধুরী এবং শ্রেষ্ঠ অভিনত্রেীর পুরস্কার পেয়েছেন যৌথভাবে অস্থিত্ব ছবিতে অভিনয়ের জন্য কুসুম শিকদার। ২৬টি পুরস্কারের মধ্যে ৯টিই ইসপ্রেস প্রযোজিত ৪টি ছবির অভিনয় শিল্পীরা পেয়েছেন। এছাড়াও এবার গুণী অভিনেত্রী ফরিদা আকতার ববিতা ও আকবর হোসেন পাঠান ফারুককে আজীবন সম্মাননা প্রদানের সিদ্ধান্ত ঘোষনা করা হয়েছে। পুরস্কার প্রাপ্তরা অন্যান্যরা হলেন, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের জন্যÑ ফরিদুর রেজা সাগর (প্রযোজক অজ্ঞাতনামা) শ্রেষ্ঠ স্বল্পদের্ঘ্য চলচ্চিত্রের জন্য এস এম কামরুল আহসান (প্রযোজক ঘ্রান) শ্রেষ্ঠ প্রামান্য চলচ্চিত্রÑ জন্মসাথী (প্রযোজক একাত্তর মিডিয়া লিমিটেড ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর) শ্রেষ্ঠ পরিচালকÑ অমিতাভ রেজা চৌধুরী (আয়নাবাজি) শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রাভিনেতাÑ যৌথভাবে আলীরাজ (পুড়ে যায় মন) ও ফজলুর রহমান বাবু (মেয়েটি এখন কোথায় যাবে) শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রাভিনেত্রীÑতানিয়া আহমেদ (কৃষ্ণপক্ষ) শ্রেষ্ঠ খল অভিনেতা-শহীদুজ্জামান সেলিম (অজ্ঞাতনামা) শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী আনুম রহমান খান সাঝবাতি (শঙ্খচিল) শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক- ইমন সাহা (মেয়েটি এখন কোথায় যাবে) শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার- তৌকির আহমেদ (অজ্ঞাতনামা) শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা- রুবাইয়াত হোসেন (আন্ডার কনস্ট্রাকশন) শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার- অনম বিশ্বাস ও গাউসুল আলম (আয়নাবাজি) শ্রেষ্ঠ সম্পাদক- ইকবাল আহসানুল কবির (আয়নাবাজি) এবং শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক- উত্তম গুহ (শঙ্খচিল)।
১২ বছরে ১৭০টি পেয়েছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম
মিষ্টি হাসির মিষ্টি মেয়ে!
একথা তো বলার অপেক্ষা রাখে না ববিতা আমাদের বাংলা চলচ্চিত্রে কতটা শ্রদ্ধার আসনে আধষ্ঠিত। ববিতা আমাদের বাংলা চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তী। ববিতার চলচ্চিত্রে আসার পেছনে বড় বোন গুণী অভিনেত্রী সুচন্দার অনেক অবাদন আছে। সুচন্দা অভিনীত জহির রায়হানের ‘সংসার’ ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে ববিতার অভিনয় জীবন শুরু হয়। মজার ব্যাপার হলো সংসার ছবিতে রাজ্জাক ও সূচন্দার মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ববিতা। তখন অবশ্য তার নাম ছিল সুবর্না। ‘কলম’ নামে একটি টিভি নাটকেও অভিনয় করেছেন ববিতা। জহির রায়হান পরিচালিত ‘জ্বলতে সুরুজ কি নীচে’ নামে একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে সবুর্না হয়ে যান ববিতা। ১৯৬৯ সালে ‘শেষ পর্যন্ত’ নামের একটি চলচ্চিত্রে তিনি প্রথম নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করেন। তারপর তো শুধুই সাফল্যের ইতিহাস। বাদী থেকে বেগম, লাঠিয়াল, সংসার সীমান্তে, সূর্যগ্রহণ, নয়নমনি, গোলাপি এখন ট্রেনে, কিযে করি, এক মুঠো ভাত, অনন্ত প্রেম, নিশান, পদ্মা মেঘনা যমুনা, শ্বশুর বাড়ি, মহামিলন, পোকামাকড়ের, ঘরবসতি, দীপু নাম্বার টু, প্রাণের চেয়ে প্রিয়, এজীবন তোমার আমার, এখনো অনেক রাত, ম্যাডাম ফুলি, হাছন রাজা, কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি, চার সতীনের ঘর, সবাই তো ভালোবাসা চায়, অবুঝ বউ, ওরা আমাকে ভালোবাসতে দিল নাসহ কয়েকশ ছবিতে অভিনয় করেছেন ববিতা। অভিনয়ের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। চলচ্চিত্রে সামগ্রিক অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ রাষ্ট্রকর্তৃক তিনি আজীবন সম্মাননা পেতে যাচ্ছেন। আনন্দ আলো পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁকে অনেক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।
সবার প্রিয় মিয়া ভাই!
১৯৪৮ সালের ১৮ আগস্ট ঢাকায় ফারুক জন্ম গ্রহণ করেন। পাঁচ বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার ছোট। আকবর হোসেন পাঠান ওরফে আমাদের চলচ্চিত্রের অতি আপনজন ফারুক একজন মুক্তিযোদ্ধা। দেশের স্বাধীনতার জন্য তিনি লড়াই করেছেন। চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য আজীবন সম্মাননা পেতে যাাচ্ছেন তিনি। আনন্দ আলো পরিবারের পক্ষ থেকে প্রিয় অভিনেতা ফারুককে অনেক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।