বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ। এখনো অভিনয় নিয়েই তাঁর সব ব্যস্ততা। অভিনয় ও সমসাময়িক বিভিন্ন প্রসঙ্গে কথা হলো তার সঙ্গে-
আনন্দ আলো: এখনকার ব্যস্ততা কী নিয়ে?
রাইসুল ইসলাম আসাদ: মঞ্চ নাটক নিয়ে ব্যস্ততা আছে। ক’দিন আগে ভাষা দিবসের একটি নাটক করেছিলাম। যেটা একুশে ফেব্রæয়ারি প্রচার হয়। সম্প্রতি আরো কিছু নাটকের কাজ করছি। এছাড়াও বাংলাভিশনে প্রচার হচ্ছে আমার অভিনীত ধারাবাহিক নাটক ‘একঝাঁক মৃত জোনাকি’। নাগরিক জীবন ও পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে এর গল্প। তিন বছর আগে নাটকটির কাজ হয়েছিল। একটানা অনেকগুলো পর্বের কাজ করেছিলাম। এরপর জানলাম যে, নির্মাতা পরিবর্তন হয়েছেন। শুরুতে এটি নির্মাণ করছিলেন শহীদুজ্জামান সেলিম। এখন নতুন নির্মাতা হিসেবে কাজ করছেন শাখাওয়াত শিবলী।
আনন্দ আলো: এখন কাজ করে তৃপ্তি পান?
রাইসুল ইসলাম আসাদ: এখন তো অভিনয় আমার কাছে রুটিন জব বলে মনে হয়। তাই অভিনয় করে আত্মতৃপ্তি পাব কিনা, সেটা নিয়ে ভাবি না। তাই বলে কাজের প্রতি ভালোবাসা বা শ্রদ্ধা নেই- বিষয়টা এমনও নয়। কাজ করছি, সেটা ভালো না মন্দ-সেই বিচারের ভার দর্শকের ওপর ছেড়ে দিয়েছি। ভালো নাটক আগেও হতো এখনো হয়। কিন্তু সব কিছুর ব্যয় বাড়লেও নাটক নির্মাণে বাজেট দিনের পর দিন কমেই যাচ্ছে। এরপরও নাটক নির্মাণ থেমে নেই।
আনন্দ আলো: চলচ্চিত্রের কী খবর?
রাইসুল ইসলাম আসাদ: এরমধ্যে তিনটি ছবিতে অভিনয় করেছি। সবগুলো মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। ছবিগুলো হলো হাসান শিকদারের ‘অবতার’, আঁকা রেজা গালিবের ‘কালের পুতুল’ ও আশরাফ শিশিরের ‘আমরা একটি সিনেমা বানাবো’।
তিশা-ইরফানের ‘চশমায় লেগে থাকা ভালোবাসা
৭০০ পর্বে ‘পালকী’
দীপ্ত টিভিতে প্রতি শনি থেকে বৃহস্পতিবার সপ্তাহে ছয়দিন সন্ধ্যা ৬টায় প্রচার হচ্ছে ধারাবাহিক নাটক ‘পালকী’। নাটকটি সম্প্রতি ৭০০ পর্ব অতিক্রম করে। এক সাধারণ মেয়ের অসাধারণ হয়ে ওঠার গল্প নিয়ে মেগা সিরিয়াল ‘পালকী’। অভিনয় করেছেন তানিয়া বৃষ্টি, রানী আহাদ, ইমতু রাতিশ, নওশিন, ঝুনা চৌধুরী, নূনা আফরোজ, মোহাম্মদ বারী, সুজাতা, গীতশ্রী, শিরিন আলম, হিল্লোল আরো অনেকে। গ্রামের এক সাধারণ মেয়ে পালকি। ঘটনাক্রমে ঢাকার বিখ্যাত রহমান পরিবারের ছেলে সোহেলের সাথে বিয়ে হয় তার। শ্বশুরবাড়িতে কেউ তাকে মেনে না নিলেও নিজের ভালোবাসা ও সাধনায় সবার মন জয় করে নেয় সে। অনেক প্রতিকূলতা পাড় হয়ে পালকি রহমান পরিবারের পুত্রবধূর স্বীকৃতি পায়। এরপর পালকি তার স্বপ্নপুরণের লক্ষ্যে এগিয়ে যায়।