একেই বলে যুগের দাবী!

একুশে বইমেলার পরিসর বাড়ানোর বাদী উঠেছিল অনেক আগেই। কিন্তু এ নিয়ে বিতর্কও শুরু হয়েছিল। একুশে বইমেলা যেন বাংলা একাডেমির বাইরে চলে না যায় এমন দাবীও করেছিল কেউ কেউ। কিন্তু যুগের দাবী বলে একটা কথা আছে। সময়ের প্রয়োজনে যুগের দাবী মেটাতে পাঁচ বছর আগে একুশে বইমেলাকে একাডেমির বাইরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যাণে সম্প্রসারণ করা হয়। প্রথম ২/৩ বছরে ক্রেতা-দর্শক একটু যেনো দ্বিধায় ছিল। কারণ বহু বছরের অভ্যাস, বইমেলা মানেই বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রাণের মেলা। সে কারণে অভ্যাসবশতঃ অনেকে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনেই প্রথমে ঢুকে যেতেন। এবছর মেলায় এমন চিত্র আর চোখে পড়ছে না। ক্রেতা-দর্শকের অভ্যাস যেন বদলে গেছে। তারা প্রথমেই ঢুকছেন মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে। সেখান থেকে কেউ কেউ ঢুঁ মারছেন মেলার বাংলা একাডেমি অংশে। এটাকেই বলে যুগের দাবী। একুশে বইমেলা এবার অন্যান্য বছরের চেয়ে একেবারেই আলাদা অবয়ব পেয়েছে। দৃষ্টিনন্দন স্টলের পাশাপাশি ঝলমলে প্যাভিলিয়ন মেলার সৌন্দর্য অনেকাংশে বাড়িয়ে তুলেছে। বইমেলার উভয় অংশে তথ্যকেন্দ্র সাজিয়েছে কর্তৃপক্ষ। শিশুদের জন্য শিশুকর্নার রয়েছে সোহওয়ার্দী উদ্যান অংশে। নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের মঞ্চও রয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যাণে। প্রতিদিনের মূল আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকছে একাডেমি প্রাঙ্গণে বইমেলার মূলমঞ্চে।

  • বইমেলা প্রতিদিন