আমার চরিত্রটি একেবারেই ইতিবাচক

নন্দিত অভিনেতা তারিক আনাম খান। মঞ্চ, টেলিভিশন, চলচ্চিত্র তিন মাধ্যমেই তার সমান ব্যস্ততা। অভিনয় ও সমসাময়িক নানা বিষয়ে কথা হলো তার সঙ্গে-

আনন্দ আলো: সম্প্রতি কী কাজ করলেন?

তারিক আনাম খান: সম্প্রতি পল্লী কবি জসীম উদ্দীনের ‘কবর’ কবিতা অবলম্বনে শর্টফিল্মের প্রস্তাব পেয়েই রাজি হয়ে যাই। কারণ, এমন কোনো বাংলাদেশি নেই, যে এই কবিতার প্রেমে পড়েনি। এতে একটি বিয়োগান্তক গল্প উঠে এসেছে। আমি দাদুর চরিত্রে অভিনয় করেছি। কাজটি খুব যতœ করে করেছেন নির্মাতা রাশিদ পলাশ। তাই ইউটিউবে প্রকাশের পর এত অল্প সময়ে শর্টফিল্মটি আলোচনায় এসেছে। এতে আরও অভিনয় করেছেন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী চম্পা, নওশাবা, মাহি বি প্রমুখ।

আনন্দ আলো: আর অন্যান্য কাজগুলো নিয়ে বলবেন-

তারিক আনাম খান: আমি ইদানিং নাটকের চেয়ে চলচ্চিত্র নিয়েই বেশি ব্যস্ত আছি। এক কথায় বলতে, চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের ফাঁকে নাটকের কাজ করছি। স¤প্রতি ভারতের রামুজি ফিল্ম সিটিতে ‘নোলক’ ছবির শুটিং করে এলাম। এই ছবিটি নিয়ে আমি খুবই আশাবাদী। কারণ এই ছবিটির গল্প একেবারে মৌলিক। তাছাড়া পারিবারিক গল্প দেখতে দর্শক সব সময় পছন্দ করেন। এই ছবিতে শাকিব খান আমার ছেলের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। আমার চরিত্রটি একেবারেই ইতিবাচক। তবে তার মধ্যেও বাঁক রয়েছে।

আনন্দ আলো: আপনি আর নিমা রহমান একসাথে দুটি ছবিতে অভিনয় করেছেন এবং সেখানেও স্বামী স্ত্রী ছিলেন…

তারিক আনাম খান: হ্যাঁ। আমি আর নিমা রহমান অনেক দিন পর একসঙ্গে দুটি কাজ করেছি। আরো মজার বিষয় হলোÑ দুটি ছবিতেই বাস্তবের মতো পর্দায়ও আমরা স্বামী-স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছি। এরমধ্যে একটি হলো ‘নোলক’, অন্যটির নাম ‘বেপরোয়া’। প্রথম ছবিটিতে ইতিবাচক চরিত্র হলেও দ্বিতীয়টিতে আমি নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করেছি।

আনন্দ আলো: নাটকের কোনো খবর আছে?

তারিক আনাম খান: দীপ্ত টিভির জন্য সম্প্রতি ছয় পর্বের একটি নাটকে  অভিনয় করেছি। ‘১০২ ডিগ্রী সেলসিয়াস’ শিরোনামের এই নাটকে আমি একজন বিজ্ঞানীর চরিত্র রূপদান করেছি। আর আমার অভিনীত বিভিন্ন চ্যানেলে কয়েকটি ধারাবাহিক নাটক প্রচার হচ্ছে। সেগুলোর নিয়মিত শুটিং করতে হচ্ছে। নাটকগুলো হচ্ছে চ্যানেল আইতে ‘হিংটিংছট’, আরটিভিতে ‘বন্ধু বটে’ ও এটিএন বাংলায় ‘সিনেমা হল’সহ আরো কিছু নাটক।

  • টিভি গাইড