এখন আর জুটির ওপর ভরসা করা যায় না

অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব সারাবছর ব্যস্ত থাকেন অভিনয় নিয়ে। নাটক টেলিছবিতে তাকে পাওয়া যায় নানামাত্রিক চরিত্রে। অনেকে তাকে ছোটপর্দার সুপারস্টারও বলে থাকেন। কথা হলো অপূর্বের সঙ্গে-

আনন্দ আলো: বড় ছেলের পর নতুন করে প্রত্যাবর্তন হলো বলে মনে করেন?

অপূর্ব: তা তো অবশ্যই। নাটকের প্রতি মানুষের ঝিমিয়ে যাওয়া ভালোবাসা বড় ছেলের মাধ্যমে হঠাৎ করে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। এটাকে প্রত্যাবর্তনই বলা যেতে পারে। তবে নাটকটিতে কাজ করার সময় টের পাইনি মানুষের এত সাড়া পাবো। চেষ্টা করছি বড় ছেলের মতো সাফল্য পায় এমন সব নাটকে কাজ করার জন্য।

আনন্দ আলো: দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। অনেকের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন। জুটি প্রথাটা আপনার কাছে কেমন লাগে?

অপূর্ব: জুটি প্রথাটা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। অবশ্যই কিছু সহশিল্পী থাকে যাদের কাজ দর্শক বেশি পছন্দ করে। অনেকের সঙ্গে কাছ করতে আমি ব্যক্তিগতভাবে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। তবে আমি বলবো কাজ কাজই। জুটি প্রথা বলে কিছুই নেই। যেই যখন আমার সহশিল্পী সেই তখন আমার জুটি। আমি আমার দিকটা বললাম।

আনন্দ আলো: অভিনয়ের পাশাপাশি মাঝে মাঝে আপনাকে গল্প ভাবনায় দেখা যায়। পরিচালনাও করেছেন। এখন কী খবর পরিচালনার?

অপূর্ব: আমি কিন্তু শখের বসে একটি নাটক পরিচালনা করেছি ২০১১ সালে। নাটকটির নাম ছিল ‘ব্যাকডেটেড’। নিয়মিত নাটক নির্মাণের ইচ্ছে আছে, তবে কাজের ব্যস্ততায় সেটা সম্ভব নয়। আরো কয়েক বছর পর দেখা যাবে। তবে প্রযোজনায় আসার ইচ্ছে নেই। আমি টুকটাক গান করি। এখন ব্যস্ততার কারণে গান নিয়েও ভাবার সময় পাচ্ছি না। এতটাই ব্যস্ততা যে নিজেকে বা নিজের পরিবারকেও সময় দিতে পারছি না। অভিনয় ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে এখন ভাবতে চাচ্ছি না।

আনন্দ আলো: গ্যাংস্টার রিটার্নস দিয়ে চিত্রনায়ক তকমা গায়ে লেগেছে ২০১৫ সালে। এরপর চলচ্চিত্রে আর দেখা যায়নি কেন?

অপূর্ব: চলচ্চিত্র নিয়ে চিন্তা ভাবনা আছে। ছবি করার অফার আসে কিন্তু ব্যাটে বলে মেলে না। তবে একটা ছবির ব্যাপারে কথা হচ্ছে। হয়তো আগামী বছর বিস্তারিত জানাতে পারেনা। ফিল্মে লিখিতভাবে চুক্তি না হলে কিছু বলা যায় না।

আনন্দ আলো: কাজ করার আগে কোন দিকগুলো মাথায় রেখে একটা প্রোডাকশনে কাজ করেন?

অপূর্ব: ওত চিন্তা করে আমি কাজ করি না। কাজ করি আমার অনুভূতি দিয়ে। আমার যখন যে অনুভূতি কাজ করে  সেই জায়গা থেকে আমি কাজটা করি। এটা আমার স্টাইল। আমি এভাবে করি তার মানে আবার এটা না যে আমার সব ঠিক। কিন্তু আমি এভাবে করে অভ্যস্ত।

ক্যাট হাউজ

বাড়ির নাম দখিনা হাওয়া। এ বাড়ির মালিককে সবাই আ হা খান নামেই চেনে। পুরো নাম- আবুল হাসান খান। আ হা খানের বড় মেয়ে চৈতি ইতিহাসে পড়াশোনা শেষ করে বাংলা ভাষা নিয়ে গবেষণা করছে। এই বিষয়ে যে তাকে সবসময় সহযোগিতা এবং উৎসাহ দেয় সে তার বাধ্য স্বামী ডাঃ ইয়াকুব। এমবিবিএস ডাক্তার ভেবেই ফেসবুকে ইয়াকুবের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করার পর জানতে পারে সে হোমিও ডাক্তার। বিয়ের পর থেকেই সে ঘরজামাই। তার আপন দুই ভাই মফিজ ও ইজ্জত আলীও এই বাড়িতে থাকে তার কম্পাউন্ডার হিসেবে। মেঝ মেয়ে আঁখি ব্যস্ত ব্যান্ড সংগীত নিয়ে। গলায় বেহাল দশা বলেই তার ব্যান্ড সংগীত বেছে নেয়া। ঝগড়াটে ও বদমেজাজী বলেই কোনো ছেলে তার ধারে ঘেঁষতে ভয় পায়। তবে একজন ব্যতিক্রম, সে মফিজ। মফিজকে তার পছন্দ হয় না। সে পছন্দ করে ভাড়াটিয়া বনিকে। তিন ভাইবোনের মধ্যে সে বড়। তাদের বাবা মা নেই তাই ফুফু যুথিমালার কাছে মানুষ সবাই। ফুফু এখনো কুমারী। তবে বর্তমানে আ হা খানকে দেখলেই তার মনের ভেতর তার মনটা কেমন যেন করে উঠে। আ হা খানেরও তাই হয়। ছোট মেয়ে তিথি খুব দস্যি। বখাটে টাইপের ছেলেদের তার পছন্দ। এমনই গল্পের ধারাবাহিক নাটক ‘ক্যাট হাউজ’। মানস পালের রচনা ও আকাশের পরিচালনা নাটকে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত, মীর সাব্বির, ইন্তেখাব দিনার, ফজলুর রহমান বাবু, রাশেদ মামুন অপু, ডলি জহুর, মনিরা মিঠু,  নাদিয়া,  ফারজানা রিক্তা, জামাল রাজা, সানজিদা প্রমুখ। নাটকটি প্রচার হচ্ছে প্রতি রবি, সোম ও মঙ্গলবার রাত ৭.৩০ মিনিটে আরটিভিতে।

  • টিভি গাইড