ঢাকা অ্যাটাক কোনো ক্লাসিক ছবি নয়

ফেসবুকের কল্যাণে মানুষ এখন ঘরে বসেই অনেক কিছু জানতে পারছে, জানাতেও পারছে। তবে ফেসবুকের সহজ লভ্যতায় মানুষ যখন যা কিছু মনে আসছে তাই শেয়ার করছে। মন ভালো নেই তাও শেয়ার করছে। বউয়ের সঙ্গে ঝামেলা চলছে তাও বলে দিচ্ছে। দাম্পত্য জীবন সুখের যাচ্ছে না তাও প্রকাশ করছে অনায়াসে। কেউ কেউ ফেসবুককে বলছেন জীবনের খোলা কাগজ। যে কেউ লিখতে পারে, পড়তে পারে। আবার ছিঁড়েও ফেলতে পারে।

ঢাকা অ্যাটাক, বাংলাদেশের একটি আলোচিত সিনেমা। ইটালীতে সিনেমাটির শো করে এক বন্ধুকে নিয়ে রাত দুটোয় এক সমুদ্র তীরে বেড়াতে যাচ্ছিলেন ছবির পরিচালক দীপঙ্কর দীপন। ফেসবুক লাইভে দেখা গেল তাকে। এবার বউকে সঙ্গে নিতে পারেননি সে কথা বলে বারবার রসিকতাচ্ছলে বউভীতির কথা জানালেন। প্রমিজ করলেন জীবনে এই শেষ। জীবনে আর কখনও বউকে ছাড়া ইউরোপের কোথাও বেড়াতে যাবেন না। প্রসঙ্গ ক্রমে বললেন, ইটালীতে ঢাকা অ্যাটাকের একটা সফল শো করলাম। তাই আমার মন খুব ভালো। ৮০০ সীটের একটি বড় হলে ঢাকা অ্যাটাকের শো হচ্ছে। হাউস ফুল। মনের ভিতর সুখকর এক অনুভ‚তি বিরাজ করছে। একটা কথা পরিষ্কার করে বলিÑ ঢাকা অ্যাটাক বিশেষ মানের ক্লাসিক ছবি হয়েছে এটা বলা যাবে না। এই ছবি বড় কিছু হয়নি। কিন্তু ঢাকা অ্যাটাককে একটি ভালো সিনেমা বানানোর চেষ্টা ছিল। মানুষজন এখন অন্যরকমের সিনেমা দেখতে চায়। সিনেমার কাহিনী ভালো হলে দর্শকের কাছে নায়ক নায়িকার প্রেমই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে না। ছবি নির্মাণের ক্ষেত্রে সবার ভালোবাসাই যথেষ্ট। আগামীতেও ভালোবেসেই ছবি বানাতে চাই। ফেসবুক লাইভে আবারও বউয়ের কথা তুললেন দীপন। বউ বলেছে আগামীতে বিদেশে ভ্রমণে আমাদের নাকি খরচ বাড়বে। কারণ আগামীতে দু’জন নয় আমরা তিনজন এক সঙ্গে ভ্রমণে বের হবো। মানে বুঝতে পারছেন? আমাদের সংসারে অতিথি আসছে… ওয়াও…

  • সিনেমা