‘মনে হয়েছিল ভিন্ন কোনো গ্রহে আছি’

দর্শকপ্রিয় অভিনেতা সজল। স¤প্রতি ইন্দোনেশিয়ায় কয়েকটি নাটকে অভিনয় করে দেশে ফিরেছেন তিনি। ইন্দোনেশিয়া সফর ও সমসাময়িক নানা প্রসঙ্গে কথা হলো তার সঙ্গে-

আনন্দ আলো: হঠাৎ ইন্দোনেশিয়ায় গেলেন…?

সজল: ঈদের ছুটির পরপরই ইন্দোনেশিয়ায় যাই। ভ্রমণের জন্য নয়। সেখানে রুমান রুনীর দুটি টেলিছবির শুটিং করেছি। টেলিছবি দুটি হলো- ‘আকাশ ছোঁয়া বন্ধুত্ব’ ও ‘দারোগ দাগ’। দুটিতেই আমার বিপরীতে অভিনয় করেছেন তানজিন তিশা। সেখানে চারদিন বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে অনেক মজা করে শুটিং করেছি। আশা করছি দর্শকদের টেলিছবি দুটি ভালো লাগবে।

আনন্দ আলো: দেশে এসে কী কাজ করেছেন?

সজল: তিনটি এক ঘণ্টার নাটকের জন্য চট্টগ্রামে গিয়েছিলাম। এই তিনটি নাটকে আমার সঙ্গে আছেন তানজিন তিশা ও অর্ষা। নাটক তিনটি পরিচালনা করেছেন হারুন রুশো। নাটক দুটির গল্প ও আমার চরিত্র বেশ মজার। আরো অভিনয় করেছি ‘প্রতীক্ষার প্রহর শেষে‘ এক ঘণ্টার একটি নাটকে। যেখানে আমার সঙ্গে জুটি হয়েছেন নাদিয়া নদী।

আনন্দ আলো: চরিত্র নির্বাচনের ক্ষেত্রে কেমন আপনার ভাবনা কেমন?

সজল: এখন আগের মতো সব রোমান্টিক চরিত্রে অভিনয় করছি না। বিভিন্ন চরিত্রে নিজেকে দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করছি। ঈদের নাটক ‘আশালতা এবং মন্দ বাতাসের গল্প’র শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা বলছি- মানিকগঞ্জের একটি অঞ্চলে নাটকটির শুটিং হয়। সেখানে থাকার ভালো কোনো জায়গা ছিল না। সবাই অনেক কষ্ট করে অল্প একটু জায়গায় বিশ্রাম নিয়েছি। লাঠি চালানোর জন্য বেশ কয়েকদিন ট্রেনিং নিয়েছি। নিজেকে মনে হয়েছিল পৃথিবীর বাইরের কোনো গ্রহে আছি। এছাড়াও ঈদে ‘লাঠিয়াল, অন্ধ, মাস্তান, ফকিরসহ বেশ ক’টি ব্যতিক্রমী চরিত্রের নাটকে অভিনয় করেছি। দর্শকদের কাছ থেকেও ভালো সাড়া পেয়েছি।

আনন্দ আলো: বিয়ে করছেন কবে?

সজল: এই মুহূর্তে বিয়ে নিয়ে কোনো পরিকল্পনা নেই। ভালো কিছু কাজ করতে চাই। এমন কিছু কাজ করতে চাই যা আমাকে দর্শকদের কাছে বাঁচিয়ে রাখবে। অভিনয়ের সঙ্গেই এখন আমার প্রতিদিন প্রেম হচ্ছে। নিজেকে ভেঙে বহুমাত্রিক চরিত্রে অভিনয়ের প্রেমে মত্ত আছি। আরও অনেকদিন এতে মগ্ন থাকতে চাই।

  • টিভি গাইড
Comments (০)
Add Comment