আমিও সেই দায়িত্ববোধ থেকে কাজ করছি

জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরি হক বাঁধন। বর্তমানে ছোট পর্দায় অভিনয় নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। অভিনয় ও সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে কথা হলো তার সঙ্গে-
আনন্দ আলো: নতুন বছর শুরু হলো। কী কাজ করলেন?
বাঁধন: নতুন বছরে কয়েকটি ধারাবাহিকের কাজ শুরু করেছি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- সাগর জাহানের ‘ল্যামপোস্ট’, অঞ্জন আইচের ‘অবাক দিন রাত্রি’, মাসুদ সেজানের ‘পোস্টমর্টেম’ ও সৈয়দ শাকিলের ‘সোনার শিকল’। প্রতিটি ধারাবাহিকে আমাকে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে দেখা যাবে। আমি বরাবরই ধারাবাহিকের গল্প ও চরিত্র পছন্দ হলেই তবে কাজ করি।
আনন্দ আলো: খণ্ড নাটকে আপনাকে খুব কম দেখা যায়…
বাঁধন: আমি মূলত ধারাবাহিক নাটকে কাজ করতে পছন্দ করি। এজন্য খণ্ড নাটকে আমাকে খুব কম দেখা যায়। বিশেষ দিবস ও এর বাইরে ভালো গল্প ও ভালো পরিচালক হলে খণ্ড নাটকেও কাজ করি।
আনন্দ আলো: সামনের দিনগুলোর জন্য কোনো পরিকল্পনা আছে?
বাঁধন: এ বছর ভালো ভালো কিছু কাজ করতে চাই। একজন মানুষ ইচ্ছে করলে দেশের জন্য কিংবা তার পেশায় ভালো কিছু করতে পারে। সবাই নিজ দায়িত্ববোধ থেকে এগিয়ে এলে ভালো কিছু করা অবশ্যই সম্ভব। আমিও সেই দায়িত্ববোধ থেকে কাজ করছি।
আনন্দ আলো: উপস্থাপনার কী খবর?
বাঁধন: চ্যানেল ২৪ এ ‘বোকা বাক্সের আড্ডাখানা’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করছি। এরই মধ্যে এর দুটি পর্বে আমাকে দেখা গেছে। তবে ভবিষ্যতে এটি উপস্থাপনা করব কি না আমি নিশ্চিত নই। কারণ অভিনয়ের বাইরে ভালোলাগা থেকেই উপস্থাপনা করি।
আনন্দ আলো: এখনকার নাটক নিয়ে কী বলবেন?
বাঁধন: আমাদের দেশে অনেক ভালো নাটক নির্মাণ হচ্ছে। কিন্তু দর্শকরা দেখছে না বলেই সেসব নাটক সম্পর্কে জানে না। না দেখার পেছনে আমাদের নেতিবাচক চিনৱা-ভাবনাই বেশি। আমাদের বেশির ভাগ মানুষই কথায় কথায় বলে, ভালো কিছু হচ্ছে না। কিন্তু তারা অনেকে না দেখেই একথা বলে।

বিজ্ঞাপনের জুটি অনন্ত-বর্ষা

‘খোঁজ-দ্য সার্চ’, ‘হৃদয় ভাঙা ঢেউ’, ‘মোস্ট ওয়েলকাম’, ‘নিঃস্বার্থ ভালোবাসা’, ‘মোস্ট ওয়েলকাম টু’- এসব ছবির সুবাদে বড়পর্দায় জনপ্রিয় জুটি হয়েছেন অনন্ত জলিল ও বর্ষা। ব্যক্তিজীবনে তারা দম্পতি। এবার একসঙ্গে একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হবেন অনন্ত জলিল ও আফিয়া নুসরাত বর্ষা। প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের কোমল পানীয় ম্যাক্স কোলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে এতে দেখা যাবে তাদেরকে। সম্প্রতি একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে চুক্তিবদ্ধ হন অনন্ত ও বর্ষা। চুক্তি অনুযায়ী এই তারকা দম্পতি আগামী এক বছর ম্যাক্স কোলার বিভিন্ন প্রচারণামূলক কাজে অংশ নেবেন। বিজ্ঞাপনটি তারই অংশ। অনুষ্ঠানে ম্যাক্স কোলার চিফ অপারেটিং অফিসার ওয়ারেসুল হাবিব বলেন, ‘জনপ্রিয়তা, মেধা ও গ্রহণযোগ্যতার বিষয়টি ভেবে অনন্ত ও বর্ষাকে অ্যাম্বাসেডর করা হয়েছে। তাদের সম্পৃক্ততা ম্যাক্স কোলার জনপ্রিয়তাকে বাড়িয়ে দিতে পারে।’ এর আগে একটি মোবাইল ফোন ও মোটরসাইকেলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন অনন্ত। অভিনয়ের বাইরে ব্যবসার কাজে ব্যস্ত সময় কাটছে তার। শিগগিরই ‘দ্য স্পাই-অগ্রযাত্রার মহানায়ক’ নামে একটি ছবির কাজে তিনি হাত দেবেন বলে জানা গেছে।

ধারাবাহিক ‘শূন্যতা’

প্রতি মঙ্গল ও বুধবার রাত ৮টা ১৫ মিনিটে মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচারিত হচ্ছে ধারাবাহিক নাটক ‘শূন্যতা’। পান্থ শাহরিয়ারের রচনায় এটি পরিচালনা করেছেন অম্লান বিশ্বাস। এতে অভিনয় করেছেন আফরান নিশো, সুমাইয়া শিমু, জোভান, শশী, নাজনীন চুমকি, রাইসুল ইসলাম আসাদসহ আরও অনেকে। গল্পে দেখা যাবে, জামান সাহেবের বয়স প্রায় পঁয়ত্রিশ। কিছুটা বোকা আর সাদাদিধে টাইপের এই লোকটি এক ট্রাভেল এজেন্সি চালায়। পাশের ফ্ল্যাটের আমজাদ সাহেবের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রয়েছে তার। আমজাদ সাহেবের স্ত্রী জামানকে নিজের ছেলের মতো পছন্দ করে এবং বাসায় ভালোমন্দ রান্না হলে মেয়েকে দিয়ে পাঠিয়ে দেয়। ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া তৃনা নামের মেয়েটিকে ভালো লাগে জামানের। কিন্তু মেয়েটি অন্য এক ছেলেকে পছন্দ করে। এদিকে, গ্রামের আত্মীয়রা জামানের বিয়ের জন্য উঠে-পড়ে লেগেছে। এক মেয়েকে পছন্দও করে ফেলে জামান। তার সঙ্গে কিছুদিন ঘোরাফেরা আর মন বিনিময় হয়। কিন্তু ঘটনার আবর্তে এই মেয়ের সঙ্গে বিয়ে ভেঙে যায় জামানের। সেই থেকে মেয়েদের প্রতি জামানের মধ্যে এক ধরনের তিক্ততা তৈরি হয়।

  • টিভি গাইড
Comments (০)
Add Comment