গানবাজনা

এ বছরই হয়তো নতুন অ্যালবাম আসবে-নকীব খান

জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক নকীব খান। তার অসংখ্য গান বেশ জনপ্রিয়। ১৯৮৫ সাল থেকে রেনেসাঁর সঙ্গে সঙ্গীতের পথে হাঁটছেন। গানে পথচলা শুরু করেছিলেন জনপ্রিয় ব্যান্ড সোলস-এর সঙ্গে। এরপর গান করে চলেছেন প্রায় তিনযুগ ধরে এবং ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছেন সঙ্গীতের নানান শাখায়। সঙ্গীতের নানা প্রসঙ্গে কথা হলো তার সঙ্গে।

আনন্দ আলো: অনেক ব্যসৱতার মাঝেও একটি টেলিভিশন চ্যানেলে আপনি ‘টিউনস অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনার দায়িত্ব পালন করছেন কীভাবে?

নকীব খান: সত্যি বলতে কী সময় সুযোগ পাই না তারপরও অনেক চেষ্টায় একটু সময় বের করে নেই। দুই বছর ধরে বৈশাখীতে টিউনস অব দ্য ওয়ার্ল্ড অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করছি। চাইলেইতো আর এখন ছেড়ে দিতে পারি না।

আনন্দ আলো: উপস্থাপনায় আগ্রহী হয়েছিলেন কীভাবে?

নকীব খান: প্রথমত, সঙ্গীত প্রধান অনুষ্ঠান এটি। দ্বিতীয়ত, এ আয়োজনে বিশ্বের এমন কিছু গানের ইতিহাস তুলে ধরা হয়, যা অনেকের অজানা। বিশ্বে সঙ্গীতের যে মহা ভান্ডার, সেখানে রয়েছে নানান প্যাটার্ন, নানান ঘরানা। কখনও পাশ্চাত্য থেকে সুর বাতাসে ভেসে এসেছে প্রাচ্যে আবার কখনও তার উল্টো। যুগ যুগ ধরে মানুষকে মোহিত করা এমন কিছু সুর ও গান নিয়ে এই আয়োজন। অনুষ্ঠানের এই পরিকল্পনাই মূলত আমাকে উপস্থাপনায় আগ্রহী করে তুলেছে।

আনন্দ আলো: অনুষ্ঠানটি নিয়ে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?

নকীব খান: শুরু থেকে এখনও পর্যনৱ দর্শকের কাছে ভালো সাড়া পাচ্ছি। যার কারণে এটা বলতে পারি যে পরিকল্পনা নিয়ে আমরা এই আয়োজন শুরু করেছিলাম, তা কিছুটা হলেও সফল হয়েছে।

আনন্দ আলো: রেনেসাঁর পঞ্চম অ্যালব্যামের কী খবর?

নকীব খান: অ্যালবামের জন্য নতুন গান তৈরি করেও রেকর্ডের সুযোগ পাচ্ছি না। কারণ রেনেসাঁর কেউ পেশাদার শিল্পী বা মিউজিশিয়ান নন। সবাই এখন অন্য কোনো পেশায় ব্যসৱ। তাই চাইলেও যখন তখন নতুন গান করার সুযোগ পাই না। এরপরও অবসরে বেশ কিছু গানের কথা, সুর তৈরি করেছি। সে হিসেবে এবছরই হয়তো নতুন অ্যালবাম প্রকাশ করতে পারব বলে আশা করি।

ডিয়ন চকলেট-চ্যানেল আই ক্ষুদে গানরাজ সিজন-৬

চলছে ক্যাম্প রাউন্ড ক্ষুদে সঙ্গীত শিল্পী অন্বেষণে প্রতিযোগিতামূলক রিয়েলিটি শো ‘ক্ষুদে গান রাজ’। এ প্রতিযোগিতাটি ইতোমধ্যে শেষ করেছে পঞ্চম সিজন। এরই ধারাবাহিকতায় এবার শুরু হয়েছে ক্ষুদে গানরাজের ৬ষ্ঠ সিজন। এবারের প্রতিযোগিতার মূল পৃষ্ঠপোষক ‘ডিয়ন অ্যালমন্ড চকলেট বার’। তাই তো প্রতিযোগিতাটির এবারের নাম ‘ডিয়ন চকলেট-চ্যানেল আই ক্ষুদে গানরাজ সিজন-৬ পাওয়ার্ড বাই শরীফ কিচেন স্টার’। আট বিভাগের প্রাথমিক অডিশনে অংশ নেন প্রায় ৩৭ হাজার প্রতিযোগী। সেখান থেকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়েছে ১০১ জন প্রতিযোগীকে। পরবর্তীতে তাদেরকে নিয়ে তিনটি গ্রুপে ভাগ করে গ্র্যান্ড অডিশন সম্পন্ন হয়েছে। গ্র্যান্ড অডিশনে ছিলেন প্রতিযোগিতার প্রধান দুই বিচারক বিশিষ্ট নজরুল সঙ্গীত শিল্পী ফেরদৌস আরা এবং ব্যান্ড তারকা এস আই টুটুল। ১০১ প্রতিযোগীর গান শুনে পরবর্তী ফ্রি ক্যাম্প রাউন্ডের জন্য ৩৭ জন ক্ষুদে প্রতিযোগীকে ইয়েস কার্ড দেয়া হয়। সেখান থেকে সেরা ২০ জন প্রতিযোগীকে নির্বাচন করা হবে। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করছেন জীম চৌধুরী। প্রতিযোগিতাটির পরিকল্পনা ও পরিচালনা করছেন খ্যাতিমান রিয়েলিটিশো নির্মাতা ইজাজ খান স্বপন।

আঁখি আলমগীরের চমক

কিংবদনিৱ সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলী আবারও গানে ফিরেছেন। দীর্ঘদিন ধরেই ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রানৱ হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। এখন তার অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। আর তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি নতুন একটি গান করলেন আলাউদ্দিন আলী। তার সুর করা এ গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী আঁখি আলমগীর। আর গানটির কথা লিখেছেন স্বনামধন্য গীতিকবি শহিদুল্লাহ ফরায়জী। এ গানটি মূলত পহেলা বৈশাখের জন্য করা হয়েছে। গানটি প্রসঙ্গে আঁখি আলমগীর বলেন, আলাউদ্দিন আলীর মতো কিংবদনিৱ সুরকারের সুরে গাইলাম। এটা আমার জন্য অনেক বড় একটা পাওয়া আমি মনেকরি। গানটি লিখেছেন আমার অনেক প্রিয় গীতিকবি শহিদুল্লাহ ফরায়জী। অনেক বেশি ভালোলাগার কাজ করেছে গুণী এ মানুষগুলোর সঙ্গে কাজ করে। অনেকেই বলে এ প্রজন্ম নাকি দুর্ভাগ্যবান মিউজিকের ক্ষেত্রে। কে বলেছে। আমরা আসলেই অনেক লাকি, না হয় কিংবদনিৱদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ মিলতো না। আমার বিশ্বাস গানটি ভালো লাগবে সবার।

শুভ্র জ্যোতি কুণ্ডুর ‘বিরহ গাঁথা’ অ্যালবামের প্রকাশনা অনুষ্ঠিত

ইমপ্রেস অডিও ভিশনের ব্যানারে প্রকাশিত হয়েছে তরুণ প্রতিভাবান নজরুল সঙ্গীত শিল্পী শুভ্র জ্যোতি কুণ্ডুর প্রথম নজরুল সঙ্গীতের একক অ্যালবাম ‘বিরহ গাঁথা’। এ উপলক্ষে চ্যানেল আই এর ছাদ বারান্দায় এক প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক সচিব নজরুল ইসলাম খান। অ্যালবামটির মোড়ক উম্মোচন করেন চ্যানেল আই-এর পরিচালক জহির উদ্দিন মাহমুদ মামুন, অতিরিক্ত সচিব, নজরুল ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন পরিচালক ইকরাম আহমেদ, আই ইউ সি এন এর কান্ট্রি ডিরেক্টর, প্রাক্তন প্রধান বন সংরক্ষক ইসতিয়াক উদ্দিন আহমেদ, অব: বন সংরক্ষক ড. সুনীল কুমার কুণ্ডু, বন সংরক্ষক রিজাউল সিকদার, বন সংরক্ষক অসিত রঞ্চন পাল, উপ-প্রধান বন সংরক্ষক অবনী ভূষণ ঠাকুরসহ সঙ্গীতাঙ্গনের বিভিন্ন শিল্পী ও কলাকুশলীবৃন্দ। নজরুল সঙ্গীতের ১০টি জনপ্রিয় গান নিয়ে সাজানো হয়েছে ‘বিরহ গাঁথা’ অ্যালবামটি।

অ্যালবামের গানগুলো হলো- ‘মোর প্রথম মনের মুকুল’, ‘বধূ তোমার আমার ওই যে বিরহ’, ‘ফিরে ফিরে কেন তারি স্মৃতি’, ‘যারে হাত দিয়ে মালা’, ‘জানি জানি প্রিয় এ জীবনে’, ‘নয়ন ভরা জল গো তোমার’, ‘মোরা আর জনমে হংসমিথুন ছিলাম’, ‘ভুলে যেয়ো ভুলে যেয়ো’, ‘হে প্রিয় আমাদের দিব না ভুলিতে’, ও ‘হে প্রিয় তোমার আমার মাঝে’। অ্যালবামটির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন ইফতেখার হোসেন সোহেল। অ্যালবাম প্রসঙ্গে শুভ্র জ্যোতি কুণ্ডু বলেন, আমি ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং এ কোরিয়া থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নেয়ার পরও নিজেকে ছোটবেলার স্মৃতি থেকে সরাতে পারিনি। তাই আবার নজরুল সঙ্গীতের দিকে আগ্রহী হয়েছি। নজরুল সঙ্গীত নিয়েই আমার ব্যসৱ জীবন কাটাতে চাই।

এক সঙ্গে বাপ্পা-মুন্নী

এক সঙ্গে একটি গানে কণ্ঠ দিলেন জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী বাপ্পা মজুমদার ও দিনাত জাহান মুন্নী। তবে এটি কোনো অ্যালবামের গান নয়, একটি সিনেমায় একসঙ্গে প্লেব্যাক করেছেন তারা দুজন। ছবির নাম ‘গহীন বালুচর’। এটি পরিচালনা করছেন বদরুল আনাম সৌদ। গানটি লিখেছেনও পরিচালক নিজে। আর সুর ও সঙ্গীতায়োজন করেছেন ইমন সাহা। সম্প্রতি এ গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন বাপ্পা ও মুন্নী। এ প্রসঙ্গে বাপ্পা মজুমদার বলেন, আমি অন্যের সুর ও সঙ্গীতে খুব কম গান করি। তবে ভালো হলে অবশ্যই সেটি করার চেষ্টা করি। ইমন সাহার মিউজিক আমার পছন্দের। এ গানটি আমার সঙ্গে গেয়েছেন মুন্নী। সব মিলিয়ে চমৎকার গান হয়েছে। আমার বিশ্বাস শ্রোতাদের ভালো লাগবে। গানটি প্রসঙ্গে মুন্নী বলেন, ইমন সাহা ও বাপ্পা মজুমদার দুজনই অত্যনৱ গুণী মানুষ। তাদের সঙ্গে নতুন গানটি করতে ভালো লেগেছে। কথা ও সুর অসাধারণ ছিল। আমার মনে হয় ভালো লাগবে সবার।

ইমন সাহা বলেন, গানটি বাপ্পা দা ও মুন্নী অনেক ভালো গেয়েছেন। বিশেষ করে বাপ্পা দা কে অনেক ধন্যবাদ যে, তিনি তার গোল্ডেন ভয়েজটা নিয়ে কাজ করার সুযোগ দিচ্ছেন অন্য সঙ্গীত পরিচালকদের। আমার মনে হয় এ গানটি ভালো লাগবে শ্রোতাদের।

অনলাইনে ন্যানসির গান

জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী ন্যানসি। ব্যসৱ সময় পার করছেন নতুন অ্যালবাম নিয়ে। সাম্প্রতিক সময়ে তার ব্যস্ততার চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো- আনন্দ আলোর পাঠকদের জন্য।

আনন্দ আলো: এবারই প্রথম দেশের গান প্রকাশ করলেন। কেমন সাড়া পাচ্ছেন?

ন্যানসি: ‘আমার বাংলাদেশ’ গানটি বেশ কিছুদিন আগে রেকর্ড করেছিলাম। কিন্তু বিজয় দিবসে এটি ভিডিও আকারে প্রকাশ করি। গানের কথাগুলো এমন- ‘গোলাপ ফোটার ব্যাকুল দিনে/হাসনা হেনার রাতের ঋণে/ বৃষ্টি মাধব সকাল হলে/ ঘুঘু ডাকা দুপুর বেলা’। গানের সুরে আমরা দেশের রূপ ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। লুৎফর হাসানের কথা ও সুরে এর সঙ্গীতায়োজন করেছেন অমিত কর। গানচিল মিউজিকের ইউটিউব চ্যানেলে এবং জিপি ও রবি ইয়োন্ডার মিউজিকে গানটি পাওয়া যাচ্ছে।

আনন্দ আলো: আপনার নতুন অ্যালবামের কী খবর?

ন্যানসি: এখন অনেকে এক-দুইটি গান দিয়ে অ্যালবাম প্রকাশ করে থাকেন। আমিও এবার তাই করছি। তিনটি গান দিয়ে একটি অ্যালবাম প্রকাশ করার সিদ্ধানৱ নিয়েছি। অ্যালবামের নাম ‘মিলন ফিচারিং ন্যানসি’। গানগুলোর কথা লিখেছেন রবিউল ইসলাম জীবন। মোহাম্মদ মিলনের সুরে সঙ্গীতায়োজন করেছেন রেওয়ান শেখ। একটি গানে আমার সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠ দিয়েছেন ইমরান। অ্যালবামটি সিডি আকারে প্রকাশ করছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সঙ্গীতা। এর পাশাপাশি আরও কিছু নতুন গানের কাজ করছি। গানগুলো ধারাবাহিকভাবে অনলাইনে প্রকাশ করা হবে। ইচ্ছে আছে এ বছরের মাঝামাঝিতে একটি পূর্ণাঙ্গ অ্যালবাম প্রকাশ করব।

আনন্দ আলো: শোনা যাচ্ছে ভিডিও অ্যালবাম প্রকাশ করবেন?

ন্যানসি: ইচ্ছে আছে, আমার জনপ্রিয় কিছু গান নিয়ে একটি অ্যালবাম প্রকাশ করব। তবে এজন্য সময় লাগবে। ভিডিও অ্যালবামে জনপ্রিয় ৫/৭টি গান রাখব। এ বিষয়ে একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমার কথাও হয়েছে।

আনন্দ আলো: এবারও শীতার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন?

ন্যানসি: হ্যাঁ। গত বছরের মতো এবারও শীতার্তদের মাঝে কম্বল ও চাদর বিতরণ করেছি। আমার বর জায়েদ ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন মিলে আমরা ময়মনসিংহের বাসায় শীতবস্ত্র বিতরণ করি। আর বাবা ও ভাই শীতবস্ত্র বিতরণ করেছেন নেত্রকোনায়। গরিবদের মাঝে আমরা ১৫০০ গরম কাপড় তুলে দেই। আমাদের এবারের  োগান ছিল ‘গরিব বাঁচান, দেশ বাঁচান। ২০ ডিসেম্বর আমার মায়ের মৃত্যু বার্ষিকী ছিল। তাই আমরা শীতবস্ত্র বিতরণের জন্য এই দিনটা বেছে নেই।

  • গানবাজনা
Comments (০)
Add Comment