ঘড়ি ধরে শুটিং বাকি সময় মেয়ের জন্য

অভিনেত্রী, মডেল ও উপস্থাপক আজমেরী হক বাঁধন। নিয়মিত অভিনয় নিয়েই তার বেশি ব্যস্ততা। নাটকে অভিনয়সহ অন্যান্য ব্যস্ততা নিয়ে কথা বলেছেন তিনি-

আনন্দ আলো: আপনাকে ‘এই কূলে আমি ঐ কূলে তুমি’ নাটকে অন্যরকম একটি চরিত্রে কাজ করেছেন। এ চরিত্রে চেনা-জানা কোনো মানুষের ছায়া খুঁজে পেয়েছিলেন?

বাঁধন: মা হওয়ার জন্য একজন নারীর যে স্বপ্ন ও আকাঙক্ষা থাকে তা আমি নিজেও অনুভব করতে পেরেছি। সে কারণে ‘এই কূলে আমি ঐ কূলে তুমি’ নাটকে রুমা চরিত্রে অভিনয় করতে আপত্তি করিনি। রুমা কেবল একটি নাটকের চরিত্র নয়, আমাদের আশপাশে চেনা অনেকের একজন। পুরুষতান্ত্রিক সমাজের কুসংস্কার যাকে প্রতিনিয়ত লাঞ্ছিত করেছে। হতে পারে এই চরিত্র ও গল্প কাল্পনিক, তাই বলে এতে বাস্তব জীবনের ছায়া নেই- এমন ভাবা ঠিক হবে না।

আনন্দ আলো: উপস্থাপনায় আর দেখা যাচ্ছে না কেন?

বাঁধন: এর মধ্যে নতুন কোনো অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করিনি। তাই বলে উপস্থাপনা ছেড়ে দিয়েছি- এটা ভাবা ঠিক হবে না। সুযোগ পেলে আবার উপস্থাপনা করব। এ কাজটি অসম্ভব ভালোলাগে, কখনও তাই ছাড়তে চাই না। জিটিভির ‘আজকের অনন্যা’ ও বৈশাখী টিভির ‘শুধুই আড্ডা’ এনটিভির ‘হাঁ-শো’, অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করে ভালো সাড়া পেয়েছি। ভালোলাগার আরেকটি কারণ এর মাধ্যমে অনেকের নানা অভিজ্ঞতার কথা জানার সুযোগ হয়। নিজেও কথা বলতে পারি প্রাণ খুলে।

আনন্দ আলো: এখন কি কেবল নাটকের অভিনয় নিয়ে ব্যস্ত?

বাঁধন: হ্যাঁ, এখন কেবল ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করছি। মেয়েকে সময় দিতে হয় বলে একক নাটকে কম কাজ করছি। ‘এ কূলে আমি ঐ কূলে তুমি’, ‘মেঘের পরে মেঘ জমেছে’ আর ‘লড়াই’ নাটকের পাশাপাশি মানিক মানবিকের নতুন ‘মেঘের কোলে সূর্য হাসে’ ধারাবাহিকে কেবল কাজ করছি।

আনন্দ আলো: এবার আপনার মেয়ে সায়রার খবর বলুন-

বাঁধন: সময় পেলেই মা ও মেয়ে খুনসুটিতে মেতে উঠি। ওর হাজার হাজার প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে কাহিল হয়ে পড়ি। তারপরও ওর মিষ্টি মুখ, দুষ্টুমি আর একসঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো আমার কাছে সবচেয়ে আনন্দের। শত ব্যস্ততার মধ্যেও ওকে ভুলে থাকতে পারি না। কেননা তারকার চেয়ে বড় পরিচয় আমি একজন মা। পাঁচ বছরে পা দিয়েছে সায়রা। প্লে গ্রুপ থেকে এবার নার্সারিতে উঠেছে। তাই ওকে সময় দেয়াটা বেশি জরুরি। এ জন্য নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে কখনই বাড়তি কাজ করি না। ঘড়ি ধরে শুটিং করি, এরপর বাকি সময় মেয়ের সঙ্গে কাটাই।

শেষ হলো সাতটি তারার তিমির

সম্প্রতি শেষ হয়েছে ধারাবাহিক নাটক ‘সাতটি তারার তিমির’। ২০১৪ সালের ২৯ নভেম্বর এটিএন বাংলায় শুরু হয় আফসানা মিমি পরিচালিত ‘ডলস হাউজ-২: সাতটি তারার তিমির। শুরুতে এটি ডেইলি সোপ হিসেবে প্রচার হলেও পরবর্তীতে তা সপ্তাহে ২দিন করে প্রচার হয়। এটি ডলস হাউস ধারাবাহিকের সিক্যুয়াল। আফসানা মিমি’র মূল ভাবনা এবং নজরুল ইসলামের নাট্যরূপে ধারাবাহিকটি যৌথভাবে পরিচালনা করেছেন আফসানা মিমি ও রাকেশ বসু। ধারাবাহিকটিতে অভিনয় করেছেন মৌসুমী হামিদ, জয়িতা মহলানবীশ, স্বর্ণা, শর্মিমালা, সানজিদা প্রীতি, মৌটুসী বিশ্বাস এবং মুমতাহিনা টয়া। এছাড়া আরও ছিলেন দিলারা জামান, আল মামুন, সুবর্ণা মুস্তাফা, ইনেৱখাব দিনার প্রমুখ।

জোভান-তিশার যেভাবে সন্ধ্যা নামে

সময়ের আলোচিত দুই অভিনয় শিল্পী তাসনুভা তিশা ও ফারহান আহমেদ জোভান। দু’জনই এক ঘণ্টার নাটক-টেলিছবিতে নিয়মিত অভিনয় করেন। পাশাপাশি সপ্তাহের প্রায় প্রতিদিনই ভিন্ন ভিন্ন ধারাবাহিকে দেখা মেলে তাদের। তবে নতুন করে একটি খণ্ড নাটকে জুটি হয়ে কাজ করেছেন তিশা-জোভান। নাটকের নাম ‘যেভাবে সন্ধ্যা নামে’। নূর সিদ্দিকীর রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন তুহিন হোসেন। এখানে জোভান ও তিশার সঙ্গে আরও দেখা যাবে জনপ্রিয় অভিনেতা ইনেৱখাব দিনারকে। সম্প্রতি রাজধানীর উত্তরায় দিয়াবাড়িসহ বিভিন্ন লোকেশনে নাটকটির শুটিং হয়েছে। তাসনুভা তিশা বলেন, ‘কোরবানি ঈদের পর এটিই আমার প্রথম খণ্ড নাটকে কাজ করা। নামের মতোই চমৎকার একটি গল্পে নির্মিত হচ্ছে নাটকটি। হৃদয় ছুঁয়ে যাবার মতো। মরণব্যাধিতে আক্রান্ত একটি ছেলের প্রেমিকা, ভাই ও তার চারপাশের মানুষজনের আবেগ, অনুভূতি ও লড়াইয়ের নাটক যেভাবে সন্ধ্যা নামে।’ জোভান বলেন, ‘অন্যরকম একটি গল্পের নাটক এটি।’

  • টিভি গাইড
Comments (০)
Add Comment