টিভি নাটক, মঞ্চনাটক দু’জায়গাতেই সমানতালে অভিনয় করছেন জনপ্রিয় অভিনেতা তারিক আনাম খান। চলচ্চিত্রেও অভিনয় করছেন তিনি। অভিনয় এবং সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কথা হলো তার সঙ্গে-
আনন্দ আলো: ২০১৪ সালের ‘দেশা-দ্য লিডার’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন কেমন লাগছে?
তারিক আনাম খান: আমার কাছে মনে হয় শিল্প, বিনোদন ও শিক্ষা একসঙ্গে চলতে হবে। একটাকে বাদ দিয়ে আরেকটা চলতে পারে না। একটা চলচ্চিত্র বিনোদনধর্মী যেমন হতে হবে, তেমনি হতে হবে শিক্ষামূলক। সেদিক থেকে ভাবলে দেশা-দ্য লিডার এ দুটি বিষয় রয়েছে। আমার অভিনয় করে ভালো লেগেছে। পুরস্কার পেয়ে আরও ভালো লাগছে।
আনন্দ আলো: বেশ কয়েক বছর পর মহিলা সমিতি মঞ্চ সংস্কার করে আবার নতুন করে চালু হলো। মঞ্চের অভিনেতা হিসেবে এটা নিশ্চয় আপনাদের জন্য আনন্দের?
তারিক আনাম খান: অবশ্যই আনন্দের। কিন্তু সমস্যা একটা আছে। নতুন করে মিলনায়তনটির যে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে তা ঢাকার দলগুলোর জন্য বহন করা কঠিন। নাটক মঞ্চায়ন করে আর কতটাকা ওঠে। ছুটির দিন ছাড়া ভাড়া ওঠানোই কঠিন হয়ে যাবে আমাদের জন্য।
আনন্দ আলো: বছর তিনেক আগে বাংলাদেশে হলিউডের ছবি অ্যাভেঞ্জার্স: দ্য এজ অব আল্ট্রন এর শুটিং হয়েছিল। সেই শুটিংয়ের বাংলাদেশ অংশের মূলদায়িত্বে ছিলেন আপনি। বাংলাদেশে এ রকম আনত্মর্জাতিক মানের চলচ্চিত্রে শুটিং হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু।
তারিক আনাম খান: সম্ভাবনা অনেক। তবে সরকারের কিছু সহযোগিতা লাগবে। অনুমতি পাওয়ার জন্য বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়। এর মধ্যে কিছু জায়গা যেমন বান্দরবন, খাগড়াছড়িতে শুটিং করার অনুমতিই মেলেনা। একই সঙ্গে নিরাপত্তার ব্যাপারটিও আছে। এসব দিক থেকে একটু সহজ হলেই এদেশে আনত্মর্জাতিক চলচ্চিত্রের শুটিং হতে পারে।