একুশে বইমেলার প্রসারের ক্ষেত্রে আামাদের গণমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এটা স্বয়ং বাংলা এাকডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান নিজেও কয়েকবার বলেছেন। পুরো বইমেলা প্রাঙ্গনজুড়েই থাকে বিভিন্ন গণমাধ্যমের ক্যামেরা। কেউ মেলামাঠ থেকে সরাসরি অনুষ্ঠান প্রচার করছে। কেউবা ধারনকৃত প্রোগ্রাম আবার কোনো কোনো চ্যানেল নিউজের জন্যও ক্যামেরা নিয়ে ছুঁটে বেড়ান মেলার এই এলাকা থেকে সেই এলাকা। আর তাই তো টিভি চ্যানেলের ক্যামেরা দেখলেই মেলায় আসা দর্শনার্থীরা ভিড় জমান তা দেখার জন্য। উপস্থাপক কিভাবে রিপোর্ট করেন, প্রোডিউসার কিভাবে ডিরেকশন দিচ্ছেন, লেখক সাহিত্যিকরা কি বলছেন সেইসব কথা শোনা এবং তা দেখার জন্য দর্শনাথীদের আগ্রহের সীমা নাই। আবার কোনো কোনো সময় উৎসুক জনতা ক্যামেরার ফ্রেমে আসার জন্যও ভীড় করে। এবারের মেলামাঠ থেকে বেশ কয়েকটি টিভি চ্যানেল সরাসরি অনুষ্ঠান প্রচার করছে। মেলার একাডেমি চত্বরের বর্ধমান হাউসের সামনে ভাষা চত্বর থেকে বইমেলা নিয়ে সরাসরি অনুষ্ঠান প্রচার করছে চ্যানেল আই। প্রতিদিন ৫.৩০ মিনিট থেকে চ্যানেলটি সরাসরি অনুষ্ঠানটি প্রচার করছে। লুৎফর রহমান রিটনের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানটি বৃহস্পতিবার ৬.৩০ মিনিটে প্রচার হয়। সরাসরি অনুষ্ঠান প্রচারের সময় ক্যামেরার পেছনে উৎসুক মানুষের বেশ ভিড় দেখা যায়। বর্ধমান হাউসের কোনায় বিটিভি লাইভ অনুষ্ঠান প্রচার করে থাকে। আর সংবাদভিত্তিক টিভি চ্যানেল একাত্তর টেলিভিশনও একাডেমি চত্বরে চ্যানেলটির স্টল থেকে লাইভ প্রচার করে থাকে। বাংলাভিশনও একাডেমি চত্বর থেকে সরাসরি অনুষ্ঠান প্রচার করছে। মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে সময় টেলিভিশন সরাসরি মেলা নিয়ে অনুষ্ঠান প্রচার করছে। এজন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চ্যানেলটির একটি স্টল রয়েছে। চ্যানেল টুয়েন্টিফোর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে মেলা নিয়ে বিভিন্ন ভাগে ভাগে সরাসরি অনুষ্ঠান প্রচার করছে।
টিভি চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার দর্শনার্থীদের অন্যতম আকর্ষণ
- বইমেলা প্রতিদিন