জা তী য়  ক বি তা  উ ৎ স ব কবিদের মেলায় শান্তি ও মৈত্রীর আহবান

অনেকে বলেন এটা হাকিম চত্বর। হাকিম ছিলেন একজন চাওয়ালা। চায়ের দোকান ছিল তার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা তার দোকানে চা খেতে আসতেন দল বেধে। একদিন তার নামের সাথে যুক্ত হয় একটি এলাকার নামণ্ডহাকিম চত্বর। আবার অনেকে এই চত্বরকে চিনেন লাইব্রেরি চত্বর হিসেবে। কারণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির পাশেই এর অবস্থান। গত দুই দিন চত্বরটি ছিল প্রিয় কবিদের দখলে। এককথায় ‘কবি চত্বর’ হয়ে উঠেছিল গোটা এলাকা। যে দিকে তাকাই সেদিকে কবি। তরুণ কবি, প্রবীণ কবি। নামকরা কবি, অখ্যাত কবি। দেশের কবি। বিদেশের কবি। কবিদের অনিন্দ্য সুন্দর এক মেলা বসেছিল হাকিম চত্বরে। প্রতিবছরই একবার অর্থাৎ ১লা ফেব্র“য়ারি দুইদিন ব্যাপি কবিতা উৎসব উপলক্ষে হাকিম চত্বরে কবিদের মেলা বসে। এ যেন প্রাণের মেলা। অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর প্রেরণা সঞ্চারী জমায়েত। তাই তো এবার জাতীয় কবিতা উৎসবের শ্লোগান ছিল ‘কবিতা মৈত্রীর কবিতা শান্তির’।  গতকাল মঙ্গলবার ছিল জাতীয় কবিতা উৎসবের শেষ দিন। উৎসব মঞ্চে একাধিক অধিবেশনে দেশ-বিদেশের কবিদের অংশ গ্রহণ ছিল বিশেষভাবে উলে­খ করার মতো। সকাল ১১টায় ‘কবিতা মৈত্রীর কবিতা শান্তির’ শীর্ষক প্রবন্ধ পাঠ করেন ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ। সভাপতিত্ব করেন কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। বিকেলে একাধিক পর্বে দেশ-বিদেশের নিবন্ধিত কবিরা কবিতা পাঠ করেন।  সন্ধ্যায় আমন্ত্রিত শিল্পীদের অংশগ্রহণে কবিতার গান পরিবেশিত হয়। সভাপতিত্ব করেন নাসির উদ্দিন ইউসুফ। দেশ-বিদেশের কয়েকশ কবির পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক দর্শক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

  • বইমেলা প্রতিদিন
Comments (০)
Add Comment