আমাদের যেন লেখক বলা হয়

নাজিয়া জেবিন

নাজিয়া জেবিন একজন শিশু সাহিত্যিক। এবারের একুশে বইমেলায় তার দু’টি বই প্রকাশ হয়েছে। তার মধ্যে একটি রাতুল প্রকাশনী থেকে ‘আয়শা ও পুষি’ অন্যটি চন্দ্রাবতী থেকে ছড়া সংকলন। নাজিয়া জেবিন গত নয় বছর ধরে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের বই পড়া এবং ব্রেইল পদ্ধতিতে বই প্রকাশনা নিয়ে কাজ করছেন। গত কয়েক বছর ধরে বাংলা একাডেমিতে স্পর্শ ব্রেইল প্রকাশনা নামে একটি স্টল নিয়ে সাধারন মানুষকে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের লেখাপড়ার ব্যাপারে সচেতন করছেন। নাজিয়া জেবিনের বইও ব্রেইল পদ্ধতি করা হয়েছে। তার লেখা এ পর্যন্ত ১৮টি বই প্রকাশিত হয়েছে।  নাজিয়া জেবিন বলেন, বইমেলা এলেই মনটা ভালো হয়ে যায়। কত বন্ধু বান্ধব, দুরের, কাছের প্রিয়জনের সঙ্গে দেখা হয়। তাদের সঙ্গে কাজে- আড্ডায় সময় কিভাবে পার হয় বুঝতেই পারি না। এবারের বইমেলা অনেক সাজানো গোছানো এবং দৃষ্টি নন্দন তবে ফাঁকা জায়গা গুলোতে ঘাস ও ফুল গাছ থাকলে আরো সুন্দর লাগত। সেই সঙ্গে বাংলা একাডেমির একটি ব্রেইল কর্ণার থাকা উচিৎ ছিল। প্রসঙ্গক্রমে একটি কথা বলতে চাই। আমরা যারা নারী, লেখালেখি করি তাদের যেন লেখিকা না বলে লেখক বলা হয়। লেখালেখিতে নারী পুরুষ বিভাজন থাকা জরুরী নয়? যদিও বর্তমানে নারী পুরুষ দৃষ্টিভঙ্গির অনেক পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমানে প্রতিটি জায়গায় নারীরা পুরুষদের সঙ্গে পাল­া দিয়ে কাজ করছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে নারীরা ঘরে ও বাইরে পুরুষদের চেয়েও বেশি কাজ করছে।

  • বইমেলা প্রতিদিন
Comments (০)
Add Comment