Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৩, নারীর সংগ্রাম আরও মসৃন হোক

রেজানুর রহমান
প্রথম কথা হল তথ্যপ্রযুক্তির এই বিস্ময়কর যুগে পৃথক ভাবে নারী দিবস পালনের আদৌ প্রয়োজন আছে কী? বিশেষ করে যে দেশে প্রধানমন্ত্রী নারী, বিরোধীদলীয় নেত্রী নারী, স্পীকার নারী সেই দেশে পৃথক ভাবে নারী দিবস পালন করতে হবে কেন? এ নিয়ে জোর তর্ক হতে পারে। তবে এটা সত্য, দেশে নারীর মর্যাদা এখনও কাঙ্খিত অবস্থানে পৌছায়নি। নারীর ক্ষমতায়ন প্রশ্নে হয়তোবা কিছুটা সাফল্য আছে। তবে সার্বিক দৃষ্টি কোনে প্রান্তিক পর্যায়ের নারীরা এখনও অবহেলিত। অচলায়তন ভাঙ্গার প্রশ্নে নারী এখনও অনেক পিছিয়ে আছে। তবে বাহ্যিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করলে নারীর সাফল্য অনেক। সদ্য ঘোষিত এইচএসসি পরীক্ষার কথাই যদি ধরি। পুরুষের তুলনায় নারীর পাসের হার বেশী। অর্থাৎ পুরুষের তুলনায় অধিক সংখ্যক নারী বেশী পাস করেছে। ক্রীড়া ক্ষেত্রেও নারীর জয়-জয়কার। সাফ নারী ফুটবলে বাংলাদেশের জাতীয় নারী ফুটবল দলই শ্রেষ্ঠ। পাশাপাশি অনুর্ধ্ব ২০ নারী ফুটবল দলও সম্প্রতি সাফ নারী ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। অর্থাৎ দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে বাংলাদেশের মেয়েরাই এখন শ্রেষ্ঠ। ক্রিকেটেও নারীর অগ্রযাত্রা প্রশংসনীয় হয়ে উঠেছে। শুধু কি ফুটবল আর ক্রিকেট? দেশের অন্যান্য ক্ষেত্রেও নারীর অগ্রযাত্রা বেশ অহংকার করার মত। শিক্ষা, সংস্কৃতি, ব্যবসা, ক্রীড়া, শোবিজ অঙ্গন, সঙ্গীত, চলচ্চিত্র, অভিনয় রাজনীতি, আইটি সেক্টর, কর্পোরেট সেক্টর, নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা সব ক্ষেত্রেই অতীতের তুলনায় নারীর অগ্রযাত্রা বেশ আনন্দের পাশাপাশি গৌরবেরও বটে। শুরুতে শিক্ষার কথা বলেছি। শিক্ষা ক্ষেত্রে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের অগ্রগতির গ্রাফ এখন অনেক উচুতে।
সংস্কৃতিতেও মেয়েদের ভূমিকা বেশ উজ্জ্বল। মঞ্চ নাটকের কথাই যদি ধরি। এক ঝাক নিবেদিত প্রাণ নাট্যকর্মী মঞ্চ নাটককে আপন যোগ্যতায় এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। গুণী অভিনেত্রী ফেরদৌসী মজুমদার, সারা যাকের, লাকী ইনাম, শিমুল ইউসুফ, সুবর্না মুস্তাফা, রোকেয়া রফিক বেবীর পথ অনুসরণ করে ত্রপা মুজমদার, শমী কায়সার, বিপাশা হায়াত, আফসানা মিমি, তারিন, মিতা নূর, বাঁধন, তমালিকা কর্মকার, বিজরী বরকত উল্লাহ সহ আরও অনেকে টিভি নাটকে নারীর অবস্থান শক্ত করে তোলেন। পরবর্তিতে প্রভা, মেহজাবীন চৌধুরী, শবনম ফারিয়া, সাফা কবীর, তানজিন তিশা, ফারিন, নওশীন, সারিকা, নোভা, মৌসুমী হামিদ, স্পর্শিয়া, নাদিয়া মিম, মিম মানতাশা, নাবিলা ইসলাম, তাসনুভা তিশা আরও অনেকে এখন অভিনয়ে বেশ উজ্জ্বল ভূমিকা রাখছেন।
চলচ্চিত্রে সম্ভাবনার আলো ফেলেছিলেন কবরী, শবনম, সুজাতা, সুচন্দা, ববিতা, চম্পা, নতুন, রোজিনা, সুচরিতা সহ আরও অনেকে। তাদেরই পথ ধরে চলচ্চিত্রে আসেন মৌসুমী, শাবনুর, পুর্নিমা, দীতি, অরুনা বিশ্বাস সহ আরও অনেকে। বর্তমান সময়ে বিদ্যা সিনহা মিম, পরীমনি, পুজা চেরি সহ আরও কয়েকজন আমাদের সিনেমায় গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা রেখে চলেছেন।
রাজনীতিতেও বর্তমান সময়ে নারীর ভূমিকা বেশ গুরুত্বপুর্ন হয়ে উঠেছে। আইটি ও কর্পোরেট সেক্টরে নারীরাই বিশেষ ভূমিকা পালন করছেন। স্যাটেলাইট টেলিভিশনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি বেশ প্রশংসনীয়। একটা সময় দেশে সাংবাদিকতা পেশায় নারীর অংশগ্রহণ খুব একটা দেখা যেত না। যুগ পাল্টেছে। সংবাদপত্র, রেডিও টেলিভিশনে নারী কর্মীরাই এখন অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। টেলিভিশনের ক্ষেত্রে মাঠ পর্যায়েও নারীর পুরুষের তুলনায় এগিয়ে আছেন। অধিকাংশ টেলিভিশন চ্যানেলের গুরুত্বপুর্ন পদে নারীরাই নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন।
একটা সময় দেশে মহিলা পুলিশের উপস্থিতির বিষয়টি ভাবাই যেত না। এখন পুরুষদের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মহিলা পুলিশ দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। বিমান চালায় নারীরা। মেট্রোরেল চালু হয়েছে। সেখানেও চালকের আসন পেয়েছেন দু’জন নারী।
রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। প্রশাসনের গুরুত্বপুর্ন পদেও নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে। জেলা প্রশাসক পদেও নারীরা ঈর্ষনীয় ভূমিকা পালন করছেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনে জিএম হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন একজন মেধাবাী নারী। তার নাম মাহফুজা আক্তার। জাতীয় প্রেসক্লাবের ইতিহাসে প্রথম নারী সভাপতি হিসেবে পর-পর দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন একজন মেধাবী নারী। তাঁর নাম ফরিদা ইয়াসমিন। বাংলা একাডেমির সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করছেন বিশিষ্ট কথাসিহিত্যিক সেলিনা হোসেন। শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করছেন গুণী অভিনেত্রী লাকী ইনাম।
ব্যবসা, শিক্ষা, প্রশাসন ও রাজনীতিতেও এখন নারীরাই গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা পালন করছেন। এখন আর কাজের ক্ষেত্রে নারী পুরুষের বিভাজন সহজে কেউ করেন না। পুরুষ যে কাজে পারদর্শি নারীরাও সেই কাজে সমান পারদর্শি এই সত্যটা এখন প্রমাণিত। ফেেল সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর অগ্রযাত্রা বেশ প্রশংসনীয় ব্যাপার। বিশেষ করে শোবিজে নারীর মেধাদীপ্ত পদচারনা বেশ প্রশংসনীয়।
সহজেই বলা যায়, ১০ বছর আগেও নারীর জীবন সংগ্রামে যতটা বাধা ছিল এখন সেটা নেই। শিক্ষা, সংস্কৃতি, সমাজ সেবা, রাজনীতি, কর্পোরেট, ব্যবসা, আইটি সেক্টর, সাংবাদিকতা, খেলাধুলা সর্বত্রই নারীরা পুরুষের মতোই সমান তালে ভূমিকা রাখছেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুরুষের তুলনায় নারীরাই বেশ এগিয়ে আছে।
তাই বলে অর্জনটা যে খুব বড় তা বলা যাবে না। নারী এগিয়ে যাচ্ছে ঠিকই তবে নারীর প্রতি অন্যায়, অবিচার ও সহিংসতার চিত্র কমেনি মোটেই। এখনও বাল্য বিবাহের শিকার হচ্ছে নারী। পুরুষের লালসার শিকার হচ্ছে প্রতিদিন। অচলায়তন ভাঙ্গতে চাওয়া নারীর সংগ্রাম এখনও বেশ কষ্টের। কখনও কখনও মনে হয়, নারীর এগিয়ে যাওয়ার পথে পুরুষের বাধা যতখানি রয়েছে ততখানি রয়েছে নারীর প্রতি নারীরই অসহযোগিতা। সম্প্রতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের নারীকীয় ঘটনায় এই ধরনের নানা প্রশ্ন বেশ গুরুত্বপুর্ন হয়ে উঠেছে। নারীর সাফল্যে নারী আসলে কতটা খুশি হয় তাও প্রশ্ন সাপেক্ষ। এবারের নারী দিবস উপলক্ষে নারী পুরুষের সমতার জায়গা আরও বলিষ্ঠ হোক- এই প্রত্যাশা আমাদের।
নারী দিবসের ইতিহাস
১৯০৮ সালে নিউইয়র্কে নারীকর্মীদের ওই ধর্মঘটের পর ১৯০৯ সালে ফেব্রুয়ারি মাসের ২৪ তারিখে আমেরিকান সোশালিস্ট পার্টি নিউইয়র্কে প্রথম ‘ন্যাশনাল উইমেনস ডে’ পালন করে। বিভিন্ন সূত্রমতে জানা যায়, ১৯০৮ সালে নারীকর্মীদের স্ট্রাইকের আগেও ১৮৫৭ সালের ৮ই মার্চ, সুতা কারখানার নারীকর্মীরা হরতাল পালন করে। তবে বেশকিছু সূত্র ১৮৫৭ সালের ওই ঘটনাকে ‘মিথ’ হিসেবে অভিহিত করে। এমনকি ইন্টারন্যাশনাল উইমেন’স ডে’র অফিশিয়াল ওয়েবসাইটেও ১৮৫৭ সালের ওই স্ট্রাইকের কোন ঘটনা উল্লেখ নেই।
তাই বলা হয়ে থাকে নিউইয়র্কের রাস্তায় নারীদের প্রথম বিপ্লব ছিল ১৯০৮ সালেই। বরং প্রথম ‘ন্যাশনাল উইমেন’স ডে পালন করার বছরেই আবার নারীকর্মীরা হরতাল পালন করে। ব্লাউজ তৈরির কারখানায় ১৯০৯ সালের নভেম্বর থেকে ১৯১০ সালের জানুয়ারি অবধি টানা তিনমাসের ধর্মঘট চালায় বিশ হাজার নারীকর্মী। যাদের নেতৃত্ব দেন ক্লারা লেমলিখ। এই ধর্মঘটটি ইতিহাসের পাতায় Uprising ২০,০০০ হিসেবে পরিচিত।
নারীর সংগ্রাম এবং মুক্তির ইতিহাস
১৯১০ সালের আগস্ট মাসেই, কোপেনহেগেনে আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই নারী সম্মেলন আয়োজন করার পুরো কৃতিত্ব সোশ্যালিস্ট ইন্টারন্যাশনালদের (যারা ১ মে কে বিশ্ব শ্রমিক দিবস হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিল)। এই সম্মেলনেই জার্মান সোশ্যালিস্ট লুইস জিজ ‘নারীদের জন্য একটি বিশেষ দিন’ পালনের প্রস্তাব দেন। উপস্থিত বিভিন্ন সোশালিস্ট এবং কমিউনিস্ট নেতাকর্মীরা তার এই প্রস্তাবকে সমর্থন জানান। কিন্তু বছরের কোন দিনটি সেই বিশেষ দিন হবে তা নিয়ে সেদিন কোন আলোচনা হয়নি।
সেই সম্মেলনে উপস্থিত ১৭টি দেশের ১০০ জনেরও বেশি প্রতিনিধি এই প্রস্তাবনা লুফে নেন। কারণ, তখনো নারীরা ভোট দেবার অধিকারপ্রাপ্ত হয়নি। সেইজন্য তারা মনে করেছিল, ভোটাধিকার পাওয়ার আন্দোলনে এই বিশেষ একটি দিন অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে। আর তাই পরের বছরেই ১১ মার্চ অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, জার্মানি এবং সুইজারল্যান্ডে প্রথম আন্তর্জাতিক নারী দিবস অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম নারী দিবসে প্রায় এক মিলিয়ন মানুষ অংশগ্রহণ করেছিল।
পালনের ধারা
১৯১৪ সালে প্রথমবারের মতো নারী দিবস পালিত হয় ৮ই মার্চ। এর একটা কারণ হিসেবে ধরা হয়েছে, সে বছর ৮ই মার্চ ছিল রোববার মানে ছুটির দিন এবং ওই দিনে কোন মিছিল বা মার্চ ছিল না।
তবে পাশাপাশি ১৯১৪ সালে ৮ই মার্চ “রুশ বিপ্লব” এর জন্য একটি স্বর্ণাক্ষরে লেখা দিন। এইদিন রাশিয়ার নারী টেক্সটাইল কর্মীরা পুরো শহরজুড়ে ধর্মঘট পালন করে। আর এইটিই ছিল রুশ বিপ্লবের সূচনা।
সোভিয়েত ইউনিয়নে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত বিশ্ব নারী দিবস কোন ছুটির দিন হিসেবে ঘোষিত হয়নি। ১৯৬৫ সালে প্রথমবারের মত ছুটির দিন হিসেবে ঘোষিত হয় এই দিনটি। চায়নাতে ১৯৪৯ সালে এই দিনটি নারীদের জন্য অর্ধদিবস ছুটি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
কেবলমাত্র কমিউনিস্ট দেশগুলোতে মহাসমারোহে এই দিন পালিত হলেও, ১৯৭৫ সালে জাতিসংঘ প্রথম আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করে। ১৯৭৭ সালে এই দিনটি জাতিসংঘের নারীর অধিকার এবং বিশ্ব শান্তি দিবস হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়।
১৯৯৬ সাল থেকে জাতিসংঘ নারীদের জন্য বিভিন্ন প্রতিপাদ্য বিষয় তুলে ধরে এই দিনটির জন্য। যেন ওই প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে প্রচুর আলোচনা হয়। সারাবিশ্বের মানুষ সচেতন হয়। জাতিসংঘের নির্ধারিত প্রথম প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল,Celebrating the Past, Planning for Future কেন দরকার আন্তর্জাতিক নারী দিবস?
সভ্যতা একদিনে সৃষ্টি হয়নি। এই সভ্যতার বেদীমূলে ছিল নারীর রক্তঝরা অবদান। আমেরিকান শিক্ষাবিদ ম্যারি ম্যাকলড বেথুন বলেছেন, ‘সময়ের পরিক্রমায় যে উজ্জ্বল উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছি আমরা, তাতে সিংহভাগ দাবিদার নারীরা। নারী হচ্ছে সেই শক্তি, যা সৃষ্টি করে, পালন করে এবং সময়ের বদল ঘটায়। কিন্তু পুরুষতান্ত্রিক রাজনীতি চিরকাল দমন করে রাখতে চেয়েছে এই শক্তিকে। সামন্ত ব্যবস্থায় নারীকে ঘরবন্দী করেছে। বাইরের কাজ থেকে শুরু করে রাষ্ট্র পরিচালনা কে করবে সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার থেকেও বঞ্চিত করেছে।’ আর সেই অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে নারীরা নেমে এসেছে উনিশ শতকে। তাই আন্তর্জাতিক নারী দিবস কেবল একটি সাধারণ দিবস নয়! বরং এই দিবস নারীর অধিকার আদায়ের দিবস। নারীমুক্তি স্বপ্ন দেখার দিবস।
নারীদিবসের শুরু হয়েছিল শ্রমজীবী নারীর আন্দোলন থেকে যেখানে একজন নারী কেবল লৈঙ্গিক কারণে মজুরি বৈষম্যের শিকার হয়। তাই নারীদিবস লিঙ্গবৈষম্যের বিরুদ্ধে এক বলিষ্ঠ প্রতিবাদ।
এখনো নারী সহিংসতার শিকার হচ্ছে প্রতিদিন। জঅওঘঘ এর সমীক্ষা অনুযায়ী, আমেরিকায় প্রতি ছয়জন নারীর একজন জীবদ্দশায় ধর্ষণের শিকার হয়। নারীর ক্ষমতায়নের এক বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এই সহিংসতা।
এই সহিংসতা নিয়ে সর্বস্তরের মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে এবং মূল্যবোধ তৈরির লক্ষ্যেই আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রয়োজনীয়তা এখনো বিদ্যমান।