Ananda ALo
Ultimate magazine theme for WordPress.

কেমন আছেন খালামনি!

আমাদের একজন খালামনি আছেন। বড়ই আদরের ও শ্রদ্ধার মানুষ তিনি। ২৮ জুন ছিল তাঁর জন্মদিন। পাঠক, নিশ্চয়ই ধরতে পেরেছেন কার কথা বলছি। হ্যা, প্রিয় খালামনি, দেশ সেরা সঙ্গীত শিল্পী ফেরদৌসী রহমানের কথা বলছি। বিটিভির একটা গান শেখার অনুষ্ঠান দীর্ঘদিন উপস্থাপনা করছেন ফেরদৌসী রহমান। ক্ষুদে শিল্পীরা ওই অনুষ্ঠানে গান শিখতো। মায়ের মমতা দিয়ে গান শেখাতেন ফেরদৌসী রহমান। বাচ্চারা তাকে খালামনি বলে সম্মোধন করতো। সেই থেকে প্রিয়শিল্পী ফেরদৌসী রহমান সবার প্রিয় খালামনি হয়ে ওঠেন। হয়তো কোনো বাবা-মা তাকে ডাকছেন খালামনি। তাদের সন্তানেরাও ডাকছে খালামনি বলে।
৮২ বছরে পা দিলেন ফেরদৌসী রহমান। পল্লিগীতি সম্রাটখ্যাত আব্বাস উদ্দিনের কন্যা তিনি। সংগীতের সঙ্গে বসবাস খুব ছোটবেলা থেকে। করোনার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ঘর থেকে খুব একটা বের হন না তিনি। বাংলাদেশ টেলিভিশনের ‘এসো গান শিখি’ অনুষ্ঠানের কয়েকটি পর্বের শুটিং করেছেন শুধু।
ফেরদৌসী রহমানের বাড়িতে জন্মদিন সেভাবে উদ্‌যাপন করা হতো না। তিনি বলেন, ‘একমাত্র আমার বড় ভাই (সাবেক প্রধান বিচারপতি) মোস্তফা কামালের জন্মদিন হইচই করে উদ্‌যাপন করা হতো। গান হতো, কবিতা হতো, খাওয়াদাওয়া হতো। আমার জন্মদিন সেদিনই উদ্‌যাপন করা হয় ১৯৫৬ সালে যেদিন আমি মেট্রিকে স্ট্যান্ড করলাম, সারা দেশে মেয়েদের মধ্যে প্রথম হলাম। আমার রেজাল্ট বেরোল ২৬ জুন। ২৮ জুন ছিল আমার জন্মদিন।’
প্রকৌশলী রেজাউর রহমানের সঙ্গে সুখি সংসার জীবনের শুরু। তাঁদের দুই ছেলে। একজন রুবাইয়াত রহমান, যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে থাকেন, ফেসবুকে চাকরি করেন। রুবাইয়াতের তিন ছেলেমেয়ে। আর ছোট ছেলে রাজিন রহমান, লন্ডনে থাকেন তিনিও ওখানকার একটা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। রাজিনের দুই মেয়ে। আর ফেরদৌসী রহমানের স্বামী রেজাউর রহমান এখন অবসরজীবন যাপন করছেন। তিনি ছিলেন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। তাঁর একটা ইন্ডাস্ট্রি ছিল, ফিল্টার তৈরির। দেশের একমাত্র ফিল্টার তৈরির প্রতিষ্ঠান। ছেলেরা বাইরে চলে যাওয়ার পর ফ্যাক্টরিও বিক্রি করে দেওয়া হয়।
ফেরদৌসী রহমান বেশ কিছুদিন ধরে আত্মজীবনী লিখছেন। এখনো লেখার কাজ শেষ হয়নি। জানালেন, মাঝে অনেক দিন লেখার কাজ ঠিকমতো করতে পারেননি। খুব শিগগির আবার লেখালেখির কাজ শুরু করবেন তিনি। বললেন, ‘এই বইয়ে আমার জন্ম থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত যা কিছু করেছি, যা যা করিনি, দুঃখ-বেদনা, সবকিছুই পাওয়া যাবে।’
অবসরে গান শোনেন ফেরদৌসী রহমান। নতুন শিল্পীদের যাঁরা টেলিভিশনে গাইতে আসেন, সবার গানই কমবেশি শোনা হয় তাঁর। উচ্চাঙ্গসংগীতের প্রতি একটা দুর্বলতা আছে বলে কারও কণ্ঠে উচ্চাঙ্গসংগীত শুনলে মনটা নাকি ওদিকেই চলে যায়। খুব শুনতে ইচ্ছা করে। উচ্চাঙ্গসংগীতের প্রচুর রেকর্ড ও সিডিও তাঁর কাছে আছে। ছবি: সংগৃহীত৫. ৮০ বছর পার করা বরেণ্য শিল্পী ফেরদৌসী রহমান জীবনকে নিয়ে অতটা স্বপ্ন দেখেননি। তবে তাঁকে নিয়ে যিনি বেশি স্বপ্ন দেখেছেন, তিনি তাঁর আব্বা। তিনি চেয়েছিলেন, মেয়ে সিএসপি অফিসার হবেন, পড়াশোনায় তুখোড় হবেন। ভালো স্কুলে পাঠিয়েছেন, ভালো ওস্তাদ রেখেছেন, গানেও তুখোড় হবেন। একটা মাত্র মেয়ে, তাঁকে নিয়ে বাবার প্রচুর স্বপ্ন ছিল
অবসরে গান শোনেন ফেরদৌসী রহমান। নতুন শিল্পীদের যাঁরা টেলিভিশনে গাইতে আসেন, সবার গানই কমবেশি শোনা হয় তাঁর। উচ্চাঙ্গসংগীতের প্রতি একটা দুর্বলতা আছে বলে কারও কণ্ঠে উচ্চাঙ্গসংগীত শুনলে মনটা নাকি ওদিকেই চলে যায়। খুব শুনতে ইচ্ছা করে। উচ্চাঙ্গসংগীতের প্রচুর রেকর্ড ও সিডিও তাঁর কাছে আছে। ৮০ বছর পার করা বরেণ্য শিল্পী ফেরদৌসী রহমান জীবনকে নিয়ে অতটা স্বপ্ন দেখেননি। তবে তাঁকে নিয়ে যিনি বেশি স্বপ্ন দেখেছেন, তিনি তাঁর আব্বা। তিনি চেয়েছিলেন, মেয়ে সিএসপি অফিসার হবেন, পড়াশোনায় তুখোড় হবেন। ভালো স্কুলে পাঠিয়েছেন, ভালো ওস্তাদ রেখেছেন, গানেও তুখোড় হবেন। একটা মাত্র মেয়ে, তাঁকে নিয়ে বাবার প্রচুর স্বপ্ন ছিল।
করোনার এই সময়ে বেশির ভাগ সময়ে মুঠোফোনে সময় কাটে ফেরদৌসী রহমানের। তিনি বলেন, ‘কোনো দিন ভাবিনি, জীবনে এমন দিন দেখতে হবে। জীবনের শেষের দিনগুলো একটু কষ্টে কাটছে মনে করছি। তারপরও ভালো আছি। বই পড়ি, গান শুনি, লেখালেখি করি। তবে মনোযোগ দিতে পারি না।’কেমন আছেন খালামনি!
আমাদের একজন খালামনি আছেন। বড়ই আদরের ও শ্রদ্ধার মানুষ তিনি। ২৮ জুন ছিল তাঁর জন্মদিন। পাঠক, নিশ্চয়ই ধরতে পেরেছেন কার কথা বলছি। হ্যা, প্রিয় খালামনি, দেশ সেরা সঙ্গীত শিল্পী ফেরদৌসী রহমানের কথা বলছি। বিটিভির একটা গান শেখার অনুষ্ঠান দীর্ঘদিন উপস্থাপনা করছেন ফেরদৌসী রহমান। ক্ষুদে শিল্পীরা ওই অনুষ্ঠানে গান শিখতো। মায়ের মমতা দিয়ে গান শেখাতেন ফেরদৌসী রহমান। বাচ্চারা তাকে খালামনি বলে সম্মোধন করতো। সেই থেকে প্রিয়শিল্পী ফেরদৌসী রহমান সবার প্রিয় খালামনি হয়ে ওঠেন। হয়তো কোনো বাবা-মা তাকে ডাকছেন খালামনি। তাদের সন্তানেরাও ডাকছে খালামনি বলে।
৮২ বছরে পা দিলেন ফেরদৌসী রহমান। পল্লিগীতি সম্রাটখ্যাত আব্বাস উদ্দিনের কন্যা তিনি। সংগীতের সঙ্গে বসবাস খুব ছোটবেলা থেকে। করোনার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ঘর থেকে খুব একটা বের হন না তিনি। বাংলাদেশ টেলিভিশনের ‘এসো গান শিখি’ অনুষ্ঠানের কয়েকটি পর্বের শুটিং করেছেন শুধু।
ফেরদৌসী রহমানের বাড়িতে জন্মদিন সেভাবে উদ্‌যাপন করা হতো না। তিনি বলেন, ‘একমাত্র আমার বড় ভাই (সাবেক প্রধান বিচারপতি) মোস্তফা কামালের জন্মদিন হইচই করে উদ্‌যাপন করা হতো। গান হতো, কবিতা হতো, খাওয়াদাওয়া হতো। আমার জন্মদিন সেদিনই উদ্‌যাপন করা হয় ১৯৫৬ সালে যেদিন আমি মেট্রিকে স্ট্যান্ড করলাম, সারা দেশে মেয়েদের মধ্যে প্রথম হলাম। আমার রেজাল্ট বেরোল ২৬ জুন। ২৮ জুন ছিল আমার জন্মদিন।’
প্রকৌশলী রেজাউর রহমানের সঙ্গে সুখি সংসার জীবনের শুরু। তাঁদের দুই ছেলে। একজন রুবাইয়াত রহমান, যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে থাকেন, ফেসবুকে চাকরি করেন। রুবাইয়াতের তিন ছেলেমেয়ে। আর ছোট ছেলে রাজিন রহমান, লন্ডনে থাকেন তিনিও ওখানকার একটা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। রাজিনের দুই মেয়ে। আর ফেরদৌসী রহমানের স্বামী রেজাউর রহমান এখন অবসরজীবন যাপন করছেন। তিনি ছিলেন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। তাঁর একটা ইন্ডাস্ট্রি ছিল, ফিল্টার তৈরির। দেশের একমাত্র ফিল্টার তৈরির প্রতিষ্ঠান। ছেলেরা বাইরে চলে যাওয়ার পর ফ্যাক্টরিও বিক্রি করে দেওয়া হয়।
ফেরদৌসী রহমান বেশ কিছুদিন ধরে আত্মজীবনী লিখছেন। এখনো লেখার কাজ শেষ হয়নি। জানালেন, মাঝে অনেক দিন লেখার কাজ ঠিকমতো করতে পারেননি। খুব শিগগির আবার লেখালেখির কাজ শুরু করবেন তিনি। বললেন, ‘এই বইয়ে আমার জন্ম থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত যা কিছু করেছি, যা যা করিনি, দুঃখ-বেদনা, সবকিছুই পাওয়া যাবে।’
অবসরে গান শোনেন ফেরদৌসী রহমান। নতুন শিল্পীদের যাঁরা টেলিভিশনে গাইতে আসেন, সবার গানই কমবেশি শোনা হয় তাঁর। উচ্চাঙ্গসংগীতের প্রতি একটা দুর্বলতা আছে বলে কারও কণ্ঠে উচ্চাঙ্গসংগীত শুনলে মনটা নাকি ওদিকেই চলে যায়। খুব শুনতে ইচ্ছা করে। উচ্চাঙ্গসংগীতের প্রচুর রেকর্ড ও সিডিও তাঁর কাছে আছে। ৮০ বছর পার করা বরেণ্য শিল্পী ফেরদৌসী রহমান জীবনকে নিয়ে অতটা স্বপ্ন দেখেননি। তবে তাঁকে নিয়ে যিনি বেশি স্বপ্ন দেখেছেন, তিনি তাঁর আব্বা। তিনি চেয়েছিলেন, মেয়ে সিএসপি অফিসার হবেন, পড়াশোনায় তুখোড় হবেন। ভালো স্কুলে পাঠিয়েছেন, ভালো ওস্তাদ রেখেছেন, গানেও তুখোড় হবেন। একটা মাত্র মেয়ে, তাঁকে নিয়ে বাবার প্রচুর স্বপ্ন ছিল
অবসরে গান শোনেন ফেরদৌসী রহমান। নতুন শিল্পীদের যাঁরা টেলিভিশনে গাইতে আসেন, সবার গানই কমবেশি শোনা হয় তাঁর। উচ্চাঙ্গসংগীতের প্রতি একটা দুর্বলতা আছে বলে কারও কণ্ঠে উচ্চাঙ্গসংগীত শুনলে মনটা নাকি ওদিকেই চলে যায়। খুব শুনতে ইচ্ছা করে। উচ্চাঙ্গসংগীতের প্রচুর রেকর্ড ও সিডিও তাঁর কাছে আছে। ৮০ বছর পার করা বরেণ্য শিল্পী ফেরদৌসী রহমান জীবনকে নিয়ে অতটা স্বপ্ন দেখেননি। তবে তাঁকে নিয়ে যিনি বেশি স্বপ্ন দেখেছেন, তিনি তাঁর আব্বা। তিনি চেয়েছিলেন, মেয়ে সিএসপি অফিসার হবেন, পড়াশোনায় তুখোড় হবেন। ভালো স্কুলে পাঠিয়েছেন, ভালো ওস্তাদ রেখেছেন, গানেও তুখোড় হবেন। একটা মাত্র মেয়ে, তাঁকে নিয়ে বাবার প্রচুর স্বপ্ন ছিল।
করোনার এই সময়ে বেশির ভাগ সময়ে মুঠোফোনে সময় কাটে ফেরদৌসী রহমানের। তিনি বলেন, ‘কোনো দিন ভাবিনি, জীবনে এমন দিন দেখতে হবে। জীবনের শেষের দিনগুলো একটু কষ্টে কাটছে মনে করছি। তারপরও ভালো আছি। বই পড়ি, গান শুনি, লেখালেখি করি। তবে মনোযোগ দিতে পারি না।’